পঙ্কজকুমার দেব, হাফলং: জিএসটি কনস্যালটেন্সির নামে এসডি অ্যাসোসিয়েটস নামের এক প্রতিষ্ঠান অসমের শৈল শহর হাফলঙে দীর্ঘ দিন থেকে ট্যাক্স রিটার্নের কাজ করে আসছে। দেবাশিষ সাহা মালিকানাধীন ওই প্রতিষ্ঠানের নামে শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল। তবে দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত একাংশ গ্রাহক দেবাশিষ সাহা অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয় এবং পরিশেষে আজ সন্ধ্যায় হাফলং পুলিশ দেবাশীষ সাহার ট্যাক্সি স্ট্যাণ্ডের এসডি অ্যাসোসিয়েটসে হানা দেয়।
ততক্ষণে অভিযোগকারী একাংশ ঠিকাদাররাও সেখানে উপস্থিত হয় এবং তাঁদের ট্যাক্স রিটার্ন নিয়ে দেবাশীষের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলে ঠিকাদাররা সাহার কার্যালয় ঘেরাও করে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে। এতে পুলিশের প্রাথমিক জেরায় দেবাশীষ সদুত্তর দিতে সক্ষম হয়নি।ঠিকাদারদের অভিযোগ মতে তাঁদের কাছ থেকে দেবাশিষ ট্যাক্স রিটার্নের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নিলেও বাস্তবে সেই টাকা সরকারের খাতায় জমা পড়েনি। এতেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। জনৈক ঠিকাদার বলেন যে তিনি ট্যাক্স রিটার্নের নামে দেবাশীষ সাহাকে পনেরো লক্ষ টাকা তুলে দিলেও বাস্তবে সে টাকা দেবাশিষ সাহা জমা করেনি। এহেন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
ওই ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন বিষয়টি তিনি অসমের হাফলংস্থিত সেলস্ ট্যাক্স কার্যালয়ের সুপারিনটেনডেন্টের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন রিটার্ন জমা হয়নি। তবে সুপারিনটেনডেন্ট এবং দেবাশীষকে একসঙ্গে পাওয়া যায়নি। এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা অবধি হাফলং থানার ওসি রঞ্জিত শইকিয়া দেবাশীষ সাহাকে জেরা করতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ডিএসপি (সদর) উপস্থিত হন। অবশ্যে এসডি অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্বাধিকারী দেবাশীষ সাহা সাফাই দিতে চাইলেও তিনি ব্যর্থ হোন এবং জিএসটি কনস্যালটেন্সি খুলে বসার কোনো ধরনের বৈধ নথিপত্র দেখাতে সক্ষম হয় নি।
অর্থাৎ কোনো ধরনের সরকারি অনুমতি ছাড়াই শহরের বুকেই দেবাশীষ অবৈধভাবে জিএসটির নামে ব্যবসায় চালিয়ে গেছে। কারণ দেবাশীষ নিজে স্বীকার করে যে জিএসটি রিটার্নের নামে কোনো ধরনের চার্জ তিনি নিতেন না। তাহলে অফিস কর্মচারীদের বেতন বা অফিস ভাড়া কোথা থেকে আসে ? এতেই রহস্যের সৃষ্টি করেছে। এবার পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় তা হবে লক্ষ্যণীয়।