মলয় কুণ্ডু: আট দিনে এক কোটি পার! ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের মানুষ এক কোটিরও বেশি আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত যত আবেদন জমা পড়েছে যার মধ্যে প্রথম স্থানে অতি অবশ্যই রয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে আবেদন। তারপরই রয়েছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র আবেদনপত্রের সংখ্যা।
নবান্ন সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘দুয়ারে সরকারে’ এদিন পর্যন্ত জমা পড়েছে ১ কোটি ২২ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৩৪টি আবেদন। যার মধ্যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ই জমা পড়া আবেদনের সংখ্যা ৭৪ লক্ষ ২৬ হাজার ২৬৫। ‘স্বাস্থ্যসাথী’তে আবেদন ১৯ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭০৬। এরপরই রয়েছে জাতি শংসাপত্র পেতে আবেদন। গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে দ্বিতীয়বারের ‘দুয়ারে সরকার’। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু মানুষের ঢল সামনের মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন না। দ্রুত আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন শিবিরে এসে। এদিন পর্যন্ত দুয়ারে সরকারের ১০ হাজার ৭৫২টি শিবিরে এসেছেন প্রায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৯০ হাজার ১০৬ জন।
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কোচবিহারের জনসংখ্যার ১৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ শিবিরে এসেছেন। পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ার জেলায় ১৫ শতাংশের উপর মানুষকে দুয়ারে সরকার শিবিরের আওতায় নিয়ে আসা গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। দুয়ারে সরকার শিবির থেকে ১৮টি প্রকল্পে পরিষেবা মিলছে। শিবিরে একদিকে যেমন ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ চলছে, তেমনই শিবিরে জমা পড়া ফর্ম যাচাই করার কাজও পুরোদমে চলছে। এদিন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী দুয়ারে সরকার শিবির নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, শিবিরে কাজ কেবলমাত্র সরকারি কর্মীদের মাধ্যমেই যাতে হয়, কোনও রাজনৈতিক নেতা না থাকেন, সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুয়ারে সরকার বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে জমা পড়া সব আবেদনপত্র গ্রহণ করতে হবে। কোনও আবেদন বাতিল করা যাবে না বলে জেলাশাসকদের জানিয়েছে নবান্ন।