ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বর্ডার হাটের কাজ এগিয়ে চললেও সবচেয়ে পুরনো ধর্মনগর হয়ে রাগনা দিয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগের জন্য যে রাগনা হাট তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। তা আবারও আপাতত স্থগিত হয়ে থাকলো।
২ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রাগনা হাটের কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছিলো। সেই মোতাবেক প্রশাসন থেকে মনসা ডেকোরেটার্সকে দায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল সীমান্ত এলাকায় ট্যান্ট বানিয়ে সুসজ্জিত করে তোলা হবে ২ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। মা মনসা ডেকোরেটরসের পক্ষ থেকে সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে কাজ করতে গেলে বিজেবি বাধার সৃষ্টি করে।
তারা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় কোন ধরনের প্রশাসনিক লেভেলে ডকুমেন্ট তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তাছাড়া ব্যাপারটি আন্তর্জাতিক স্তরের হওয়ায় তা খুব ই স্পর্শকাতর। এর উপর রয়েছে পাঁচ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচন এবং ৭ ডিসেম্বর ভোট গণনা। তাই উচ্চ পর্যায়ের কোন ধরনের নির্দেশ না আসলে এই ধরনের অনুষ্ঠান করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সম্পর্ক দু’দেশের মধ্যে যতই ভালো হোক না কেন আন্তর্জাতিক স্তরের কোন কিছু করতে গেলে তা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এবং নির্দেশ ছাড়া করা সম্ভব না। তাই এই ব্যাপারটি একটু চূড়ান্ত স্পর্শকাতর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তার ওপর বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা উত্তাল। তাই যা হওয়ার ভোট গণনার পরে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ধর্মনগর বাসীর মধ্যে আক্ষেপ দেখা দিয়েছে এবারও নাকি ভেস্তে যায় রাগনা সীমান্ত দিয়ে বর্ডার হাটের পরিকল্পনা।