সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডা. মুরাদের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন নারী নেত্রীরা। রবিবার মুরাদের দেশে ঢোকার সংবাদের পরপরেই তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সবর হন। তাদের প্রতিবাদের পোস্ট ও প্লাকার্ডগুলো অনেকেই শেয়ার করছেন।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের পর এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে মুরাদের অশালীন বক্তব্যের অডিও ফাঁস হয়। সেই অডিওতে ওই চিত্রনায়িকাকে তিনি ‘ধর্ষণের’ হুমকি দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র নিন্দার মুখে পড়লে তিনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যান। এরপর গত সোমবার রাত প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। পরদিন মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।
পদত্যাগের পর মুরাদ হাসান সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন এবং তাতে তিনি লিখেছিলেন, যদি তার কোনো ভুল হয় তাহলে যেন ক্ষমা করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ের মুরাদ।
সবশেষে রবিবার বিকেলে দেশেই ফিরতে হয় তাকে। এ সময় অনেকে তার দেশে ঢোকা নিয়ে আপত্তি জানান।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেমিনিস্ট অ্যাকটিভিস্ট লামিয়া ইসলাম লিখেন, ‘অনেকে দেখছি মুরাদকে দেশে ঢুকতে না দেওয়ার পক্ষে, দেশে থাকতে না দেওয়ার জন্য অনেকে বিক্ষোভ করছেন। এসব মুভমেন্ট করবেন না। এটা তার দেশ। নাগরিক হিসেবে দেশে থাকতে পারা তার অধিকার। আমরা দেশ থেকে কাউকে বের করে দেওয়ার পক্ষে না। বরং অপরাধীকে অ্যারেস্ট করে শাস্তি দেওয়ার পক্ষে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডা. মুরাদকে গ্রেপ্তারে সোচ্চার হয়েছেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষক মির্জা তসলিমা, নাসরিন খন্দকার, ফেমিনিস্ট অ্যাকটিভিস্ট লামিয়া ইসলাম, অ্যাকটিভিস্ট সৈয়দা গুলরুখ ও আরো অনেকে।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহজুড়েই তিনি ছিলেন সংবাদের শিরোনামে। নারীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে তার ফোনালাপ ফাঁসের পর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়। এর পর গত বৃহস্পতিবার তিনি কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। কিন্তু ইমিগ্রেশন জটিলতা ও তার বিতর্কিত অবস্থানের কারণে তিনি সেদেশে ঢুকতে পারেননি। এরপর তার দুবাইতে ঢোকার খবর পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানেও ঢুকতে পারেননি।
অবশেষে চার দিনের নিরাশ্রয়ের মতো ঘুরে ফিরে তিনি ফিরলেন ক্লান্ত বিধ্বস্ত নীরব এক মূর্তি নিয়ে।