খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি তুখোড় খেলোয়াড় ছিলেন। পেশাদার হকি লীগে অধিনায়ক হিসেবে সে সময় তিনি দেশের অন্যতম সেরা ক্লাব আবাহনীকে শিরোপা জিতিয়েছেন। মাঠের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে তিনি অল্প দিনের মধ্যেই মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের হয়ে তিনি মাঠে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যে ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। মাঠের হিরো থেকে তিনি আজ দেশের মানুষের জীবনে ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে মসজিদ নির্মাণ, গরীব মানুষের জরাজীর্ণ বসতভিটা নতুন করে নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ, সাইক্লোন ভিক্টিমদের সহায়তা, কর্মহীন ও দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, মহিলাদের সেলাই মেশিন বিতরণ, অসহায় পুরুষদের রিকশা প্রদান, দরিদ্র ছাত্রদের আর্থিক অনুদান, ক্যান্সার ও কিডনি জটিলতায় আক্রান্তদের সহায়তা, বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ স্থাপন ও রমজান মাসে খাবার এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। ২০১২ সালে সিলেট জেলার গোয়াইন ঘাট উপজেলার সীমার বাজার এলাকায় নিজস্ব ভূমি কিনে ‘জাস্ট হেল্প সিলেট প্রাইড রোটারী আই হসপিটাল’ তৈরী করে তিনি এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বর্তমানে এই হাসপাতাল থেকে মানুষ বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার পাশাপাশি সাধারণ স্বাস্থ্য সেবাও নিচ্ছেন। গত ছয় বছরে আনুমানিক ছয় হাজারের বেশি রোগীর স্বাস্থ্যসেবা ও দেড় হাজারেরও বেশি রোগীর অন্ধত্ব দূরীকরণে তিনি সমর্থ হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের অন্যান্য চ্যারিটি সংস্থাগুলো যেখানে বেতন ভাতার পেছনে অনেক টাকা ব্যায় করছেন, সেখানে তিনি ও তার চ্যারিটি সংস্থা মানুষের দানের শতভাগ টাকা সেবা কার্যক্রমে ব্যয় করছেন। ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ এর ট্রাস্টিরা যাতায়াত, প্রশাসনিক খরচ, লিফলেট বা অন্যান্য খরচ দানের অর্থ থেকে ব্যয় না করে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ব্যয় করছেন। সিলেটের গোয়াইন ঘাটে প্রতিষ্ঠিত ‘জাস্ট হেল্প সিলেট প্রাইড রোটারি আই হসপিটাল’এর জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি ক্রয় এবং আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য আসছে ১০ই এপ্রিল ৯ই রমজান রবিবার ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে বিকাল ৫:৩০ মি. থেকে রাত ৩:০০ টা পর্যন্ত চ্যারিটি আপিলের উদ্যোগ নিয়েছেন। উক্ত চ্যারিটি আপিলে তিনি সকলকে অংশ গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন। সর্বস্তরের মানুষ চ্যারিটি আপিলে সাড়া দেবেন বলে তিনি আশা করছেন। এসব নিয়েই ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ এর চেয়ারম্যান জনাব মিজানুর রহমান মিজান দ্যা গ্রেইট বেঙ্গল টুডে’র মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো: হাসান শোয়াইব খান।
প্রশ্ন:- আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন মিজান ভাই?
উত্তর:- ওয়ালাইকুম আসসালাম। খুব ভালো আছি ভাই। কোভিড সিচুয়েশনে ও পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহ যে আমাকে আর আমার পরিবারকে ভালো রেখেছেন এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।
প্রশ্ন:- পৃথিবীর সব দেশের ন্যাশনাল হিরোরা, জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেন। আমাদের দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়, পাবলিক ফিগার বা সেলিব্রিটিরা এমন কাজের সঙ্গে সাধারনত কম যুক্ত থাকেন। আপনি কিভাবে যুক্ত হলেন?
উত্তর:- আমার জীবনে একটা বড় দু:খ আছে। মাত্র ১৪ মাস বয়সে আমি আমার মাকে হারাই। যখনই আমার মায়ের কথা মনে হয় তখনই আমি ভালো কাজের চিন্তা করি। আশির দশকে আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন পুরাতন কাপড়, লাচ্ছি, সেমাই, দুধ এগুলো গরীব মানুষকে দিতাম। ঈদ উপলক্ষে গিফট করতাম। সেই থেকে আমার চ্যারিটি কাজের শুরু। আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চ্যারিটি কাজ করি। আমি বিশ্বাস করি আমার ভালো কাজের মাধ্যমে আমার মা, বাবা ও আত্নীয় স্বজন যারা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন তারা পরকালে ভালো থাকবেন। আল্লাহ তাদের ভালো রাখবেন। আমাকে দেখে আমার সন্তানরাও ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
প্রশ্ন:- ১৫ বছর পেরিয়ে ১৬ বছরে পদার্পণ করলো যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের নিয়ে গড়া আপনার ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’। আপনাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন! এই ১৫ বছরে আপনারা যা অর্জন করতে চেয়েছেন তা কি অর্জন করতে পেরেছেন?
উত্তর:- আপনাদেরকেও অভিনন্দন! সেই সাথে বিগত ১৫ বছরে যারা ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’এর পাশে ছিলেন, আমাদের সাথে ছিলেন তাদেরকেও অভিনন্দন! তাদের কারণেই আমরা এতদুর আসতে পেরেছি। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আসলে চ্যারিটি কাজের কোন লিমিট নেই। তবে ১৫ বছরে আল্লাহপাক আমাদেরকে যতটুকু কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট।
প্রশ্ন:- এই দীর্ঘ পথ চলতে গিয়ে আপনি কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন? জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন ও আপনার ১৫ বছরের জার্নিটা একটু সংক্ষেপে আমাদেরকে বলেন।
উত্তর:- অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি। আমি ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হয়েছি। অনেকেই অনেক সমালোচনা করেছেন, পরনিন্দা করেছেন আমাকে নিয়ে। এসব বলতে গেলে অনেক কষ্ট হবে। তাছাড়া সব কিছু বলা সম্ভবও হবে না। আমার ব্যাক্তিগত সময়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সময় ও পরিবারের সময় থেকেও কিছু সময় আমি এই ফাউন্ডেশনের পেছনে ব্যয় করেছি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। প্রতিবন্ধকতাকে বড় করে না দেখে আমি ধৈর্য্য নিয়ে সব মোকাবিলা করেছি। সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আমি এগিয়ে গেছি। সাবেক বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, বৃটিশ বাংলাদেশি শিল্পপতি ইকবাল আহমেদ ওবিই, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন ভাই তারা সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বিশেষ করে ‘চ্যানেল এস’ এর তাজ ভাই ও বাংলা টিভির প্রয়াত ফিরোজ খান ভাই অনেক সহযোগিতা করেছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ফিরোজ ভাইয়ের কাছে আমি ব্যাক্তিগতভাবে ঋণী। ফিরোজ ভাই যদি সে সময় আমাকে সহযোগিতা না করতেন তাহলে জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের পক্ষে আজকে এতদুর বা এই অবস্থানে আসাটা সম্ভব হতোনা।
প্রশ্ন:- ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ এ দাতারা কিভাবে ডোনেট করতে পারেন? সাহায্যপ্রার্থী মানুষেরা কিভাবে সাহায্য পেতে পারেন?
উত্তর:- কেউ যদি ডোনেশন দিতে চান আমাদের ওয়েবসাইট (https://justhelpfoundation.org.uk/) ভিজিট করে ডোনেট অপশনে ক্লিক করে অনলাইনে দিতে পারেন। অথবা সরাসরি ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’এর একাউন্ট এ ক্যাশ জমা দিতে পারেন। রবিবারে ‘চ্যানেল এস’ এ আমরা ফান্ড রেইজিং প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি। বিকেল ৫:৩০ থেকে রাত ৩:০০ টা পর্যন্ত ‘চ্যানেল এস’ এর ডোনেশন হটলাইনে ফোন করেও ডোনেশন দিতে পারেন। আর সাহায্য প্রার্থী মানুষেরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, ইমেইলে, টেলিফোনে অথবা সরাসরি সমস্যার কথা জানিয়ে আবেদন করতে পারেন।
প্রশ্ন:- ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ একটি আর্ন্তজাতিক চ্যারিটি সংস্থা। এই সংস্থার চেয়ারম্যান ও একজন ট্রাস্টি হিসাবে আপনি কীভাবে ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ কে বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরছেন?
উত্তর:- জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম বাংলাদেশে হলেও বিশ্বব্যাপী আমাদের ডোনার রয়েছেন। যুক্তরাজ্য ছাড়াও আমেরিকা, ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতে আমাদের শুভাকাঙখী, বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন রয়েছেন। ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ কে বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে তারা সব সময় সহযোগিতা করছেন। আপাতত আমরা বাংলাদেশে কাজ করলেও ভবিষ্যতে আমরা বহির্বিশ্বেও কাজে করবো ইনশাআল্লাহ।
প্রশ্ন:- ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অংশ নিচ্ছেন, নানা দাতব্য কাজ করছেন। এই সংস্থার জন্য কাজ করার বিষয়ে আপনি ব্যক্তিগতভাবে কোনটি পছন্দ করেন?
উত্তর:- সেবামূলক কাজের সুযোগ আল্লাহ সবাইকে দেন না, আমাকে দিয়েছেন। আমি ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ এর হয়ে যেকোন কাজ করতেই পছন্দ করি।
প্রশ্ন:- আপনার দাতব্য সংস্থার বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলি কী? এই সংস্থার জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে আপনি কোনটি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন?
উত্তর:- বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডাক্তার সংকট। বিশেষ করে আমাদের ‘জাস্ট হেল্প সিলেট প্রাইড রোটারি আই হসপিটাল’এর জন্য বিশেষজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ যারা রয়েছেন তাদের হেভি ডিমান্ড। চ্যারিটি কাজেও তাদের অনেকের অনীহা। সবাই পয়সার পেছনে ঘুরছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পাওয়া বর্তমানে খুবই দুষ্কর হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের এই হাসপাতালটা সিলেটের রিমোট এরিয়ায় হওয়ায় ওখানে কেউ যেতে চায় না। সবাই শহরে থাকতে চায়। এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন:- ‘জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন’ নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? আরও ১৫ বছর পর এই সংস্থাকে আপনি কোথায় দেখতে চান?
উত্তর:- মানুষের অনেক আশা থাকে, পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু আমরা ক‘দিন বেঁচে থাকবো কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে আমার বিশ্বাস যদি আল্লাহ বাচিয়ে রাখেন আর সবাই যদি সহযোগিতা করেন ইনশাআল্লাহ আমাদের এই আই হসপিটাল ভবিষ্যতে অনেকদুর এগিয়ে যাবে। জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতে নতুন প্রজেক্ট হাতে নিবে। যেখানে যা ডিমান্ড রয়েছে, সেটা পূরণে কাজ করবে।
প্রশ্ন:- হকিতে বাংলাদেশ দিন দিন আরও পিছিয়ে পড়েছে। আর্ন্তজাতিক হকি র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের অনেক নীচে অবস্থান করছে। একজন সাবেক তারকা খেলোয়াড় হিসেবে হকির উন্নয়নে আপনার কী বিশেষ কোন পরামর্শ আছে?
উত্তর:- বাংলাদেশ হকিতে দিন দিন আরও পিছিয়ে পড়েছে এর প্রধান কারণ পর্যাপ্ত কৃত্রিম ঘাসের মাঠ বা এস্ট্রো টার্ফ না থাকা। দেশে মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম ও বিকেএসপি ছাড়া কৃত্রিম ঘাসের আর কোন মাঠ নেই। সাধারণ মাঠে খেলে এসে এস্ট্রো টার্ফে খেলাটা খুবই মুশকিল। বিশেষ করে বিদেশে এসে এই কারণে খেলোয়াড়েরা পারফর্ম করতে পারেন না। জেলায় জেলায় সরকার যদি কৃত্রিম ঘাসের মাঠ তৈরী করেন, খেলোয়াড়দের যদি এস্ট্রো টার্ফে খেলার ব্যবস্থা করেন তাহলে হকির উন্নয়ন হবে, না করলে হবে না।
প্রশ্ন:- জাতীয় দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ‘দ্যা গ্রেইট বেঙ্গল টুডে‘র পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?
উত্তর:- ‘দ্যা গ্রেইট বেঙ্গল টুডে‘র পাঠকদের প্রতি আমার ও জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা। আপনারা আমার ও আমার ফাউন্ডেশনের পাশে থাকবেন, সহযোগিতা করবেন। শুধু জাস্ট হেল্প না, যারাই ভালো কাজ করবে তাদের পাশে থাকবেন, তাদের রেকগনাইজ করবেন। আমি নিজেও একজন সংবাদকর্মী। সবাই আমার জন্য ও জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের অগ্রযাত্রার জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেনো দেশ ও সমাজকে কিছু দিতে পারি। সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য যেনো কাজ করে যেতে পারি।
চ্যারিটি আপিলের কাজে আপনার অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমাদেরকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদেরকেও আমার ও জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।
