বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে কোচদের দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্বে থাকার নজির নেই বললেই চলে। দেশি-বিদেশি সবার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। তবে জেমি ডে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী উদাহরণ স্থাপন করলেন। টানা দুই বছর বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে থাকার পর আজ আবারো নতুন করে আরো দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি। জাতীয় দলের খেলা না থাকায় আগামী ১৪ই আগস্ট থেকে জামাল-তপুদের দায়িত্ব নেবেন ৪০ বছর বয়সী এই বৃটিশ কোচ।
একটা রেকর্ড জেমি অবশ্য আগেই করেছিলেন। সেটা ম্যাচ সংখ্যার দিক দিয়ে। ২০১৮ সালের ১৭ই মে দায়িত্ব নেয়ার পর তার অধীনে ১৯ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। দেশের ফুটবল ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। এর মধ্যে জয় ৮ ম্যাচে। ড্র দুটি ও হার বাকি ৯ ম্যাচে।
জেমির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন নিয়ে বাফুফে সাধারন সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আগামী তিন মাস জাতীয় দলের কোনো খেলা নেই। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ফের শুরু হবে অক্টোবরে। এ কারনেই কোচের সঙ্গে চুক্তিটা আমরা তিন মাস পিছিয়ে আগস্টে করেছি। আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিলেও জেমি কাজ শুরু করবেন আগে।’
গত ২৬শে মার্চ সিলেটে হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ। করোনা মহামারিতে সেই ম্যাচ আর হতে পারেনি, স্থগিত হয়ে যায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাকি সব ম্যাচ। নতুন সূচিতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ হবে ৮ই অক্টোবর।
মাসের হিসেবে জাতীয় দলের সবচেয়ে বেশি দিন দায়িত্বে ছিলেন ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। তিন মেয়াদে তিনি জাতীয় দলের কোচ ছিলেন মোট ৩১ মাস। ২০১৩’র ২৯শে জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ১৪ই অক্টোবর, দ্বিতীয় দফায় ২০১৫ সালের ২৪শে জানুয়ারি থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর এবং শেষ দফায় দায়িত্বে ছিলেন মাত্র দুই মাস। ২০১৬’র ৭ই মে থেকে ৭ই জুন পর্যন্ত।
বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলেছে চার ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে নিরপেক্ষ ভেন্যু তাজিকিস্তানের দুশানবে’তে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে ১-০ গোলে। ঢাকায় হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে কাতারের কাছে হেরেছে ২-০ গোলে।