পঙ্কজকুমার দেব, হাফলং: আসামের মূখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন বিজেপি মিত্রজোট সরকারের নতুন বছরের প্রথম রাজ্যিক কেবিনেট বৈঠক শৈল শহর হাফলঙে অনুষ্ঠিত হবে। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য একদিবসীয় এই বৈঠকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা ছাড়া চৌদ্দ জন মন্ত্রী এবং বিভাগীয় শীর্ষ আমলারাও উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে হাফলং আবর্ত ভবনের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হবে এই হাইপ্রোফাইল কেবিনেট। ইতিমধ্যে মন্ত্রী সভার বৈঠককে ঘিরে ব্যস্ত হাফলঙের বিধায়ক থেকে পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ কর্তৃপক্ষ। অনুরূপ ভাবে জেলা প্রশাসনও প্রথম বারের জন্য অনুষ্ঠিতব্য হাইপ্রোফাইল বৈঠক সফল করতে ডে ওয়ান থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন এবং পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েকদফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়েও চলছে বৈঠক। এককথায় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধীনস্থ ত্রিশটি সরকারী বিভাগীয় মুরব্বীরা সামগ্রিক ভাবে ব্যস্ত। গত বুধবার কেবিনেট বৈঠক ইস্যুতে পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী তথা অভিভাবক মন্ত্রী যোগেন মোহন এবং রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব জিষ্ণু বরুয়া হাফলং ভ্রমণ করে যান।
বিশেষ করে মন্ত্রী সভার বৈঠকের স্থান, মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর মন্ত্রী সভার সদস্যদের নৈশ যাপনের ব্যবস্থা কোথায় করা হবে। এমনকি শীর্ষ আমলারা কোথায় থাকবেন বা খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি। এরমধ্যে নতুন কোনো প্রকল্পের শিলান্যাস বা উদ্বোধন কোথায় হবে ? এসব বিষয় নিয়ে অভিভাবক মন্ত্রী এবং মুখ্য সচিব স্থানীয় বিধায়ক নন্দিতা গর্লোসা, জেলাশাসক নাজনিন আহমেদ এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের প্রধান সচিব এল জেড নাম্পুইর সঙ্গে আলোচনা করেন।
এক কথায় সামগ্রিক দিক খতিয়ে দেখতেই অভিভাবক মন্ত্রী যোগেন মোহন এবং মুখ্য সচিব জিষ্ণু বরুয়ার পাহাড় সফর ছিল।এদিকে মন্ত্রী সভার বৈঠককে ঘিরে সেজে উঠছে শৈল শহর হাফলং। বিশেষ করে শহরের সবকটি সড়ককে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা হচ্ছে। শহরের একাংশ ফুটপাত গুলো নতুন রূপ লাভ করছে। এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা বিশাল লেককেও নতুন রূপ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ত্রুটি রাখছে না। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে লেককেও।
শহরের বিশেষ করে রামনগর এলাকার সড়ক পথ ছাড়া ফুটপাত নির্মাণে গুরুত্ব দিয়েছে স্বশাসিত পরিষদ। শহরের প্রবেশ পথ সিনোড রোটারি ছাড়া সম্ভুধন পয়েন্টও সেজে উঠছে। এমনিতে শৈল শহর হাফলং স্বচ্ছ ও সুন্দর তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তথাপি আরও সুন্দর করতে শহরের অলিগলির দুই পাশের দেওয়ালে রঙের প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে।