পঙ্কজকুমার দেব, হাফলং: বর্তমানে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিদ্যার দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি সভ্যতার প্রতিটি ধাপ বিদ্যুৎ শক্তি অবিহনে চলতে পারবে না। সে গুড মর্নিং থেকে গুড নাইট। এহেন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উত্পাদন বৃদ্ধি করাও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে চাই উন্নত পরিকাঠামো। সেই লক্ষ্যেই মঙ্গলবার অসমের হাফলঙের লংখুক গ্রামে পাওয়ার গ্রিডের ১৩২ কেভি জিআইএস সাব স্টেশনের দ্বারোদ্ঘাটন করলেন হাফলঙের বিধায়ক নন্দিতা গর্লোসা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সদস্য এস টি জেম রাংখল, পাওয়ার গ্রিডের চিফ ম্যানেজার বি কে পাল প্রমুখ। দেশজুড়ে বিদ্যুৎ শক্তির চাহিদা বাড়ছে। সেই চাহিদা পূরণে কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর। আর তাই ওয়ান ইণ্ডিয়া, ওয়ান ন্যাশন এবং ওয়ান গ্রিডের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে উত্পাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নেও অধিক গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। হাফলং পাওয়ার গ্রিডের চিফ ম্যানেজার বি কে পাল বলেন এর আগে ডিমা হাসাও জেলার হাইভোল্টেজ লাইনে কোনো ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি হলে জেলাকে কালো অন্ধকারের মধ্যে রাত কাটাতে হয়েছে। তবে এখন থেকে আর উপরোক্ত সমস্যার পুনরাবৃত্তি হবে না। বরং এই সমস্যার অবসান হয়েছে। চিফ ম্যানেজার বি কে পাল বলেন ‘ বর্ষা বা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়।
তবে এখন থেকে এহেন সমস্যার সৃষ্টি হলেও অতি সহজেই তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তাছাড়া উমরাংশুর খান্ডং থেকে বিদ্যুৎ আসতে সমস্যা হলেও আপত্তি নেই। মেঘালয় থেকে বিদ্যুৎ আসবে এবং সাধারণ বাধাহীন বিদ্যুৎ পরিষেবা লাভে সক্ষম হবেন। বিধায়ক নন্দিতা গর্লোসা বলেন এত সুন্দর পরিকাঠামো। বিদ্যুৎ উত্পাদন ছাড়া এর থেকে ছাত্র ছাত্রীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারলে অবশ্যই উপকৃত হবেন।





