সরকার রাখতে পারবেন কি না! বড় পরীক্ষা ইমরানের উপর। গোটা বিশ্বের নজর পাকিস্তানের উপর। আস্থাভোটের আগে ক্রমশ চড়ছিল উত্তেজনা। এমনকি গোটা বিশ্বের নজর ছিল পাকিস্তানের উপর। আর শেষ মুহূর্তে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন স্পিকার। একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারকে এভাবে ফেলে দেওয়া সংবিধান বিরোধী বলে ব্যাখ্যা করা হয়।
আর এরপরেই অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়। আর এহেন দোলাচলের মধ্যেই পাক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ারও সুপারিশও করেন ইমরান।
যদিও এহেন সুপারিশের কয়েক ঘন্টার মধ্যে পার্লামেণ্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেন পাক প্রেসিডেন্ট। আর জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরেই পাকিস্তানে নতুন করে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পাক সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর ৯০ দিনের মাথাতেই ভোট করাতে হবে।
তবে এর মধ্যে একাধিক আপডেট সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিকমহল। কারণ ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন বিরোধীরা। এক্ষেত্রে আদালত কি নির্দেশ দেয় সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার সকাল থেকে টানটান নাটক! সরকার থাকবে না পড়ে যাবে। সেদিকেই নজর ছিল গোটা বিশ্বের। তবে এদিন সকাল থেকে ইমরান খানের যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এদিন লক্ষ্য করা যায় তা ছিল একেবারে ক্রিকেটিয় ভাষায় কূল! কখনও হাসছিলেন তো আবার কখনও হালকা ছলেই কথা বলতে দেখা যায়।
তবে সংসদ শুরু হওয়ার আগেই তাঁর সঙ্গে থাকা সাংসদদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ইমরান। আর এরপরেই রাষ্ট্রপতির কাছে চলে যান।
আর এরপরেই জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ইমরান বলেন, আমি রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেছি এই বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার জন্যে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের মানুষকে নতুন করে ভোটের জন্যে প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দেন। দেশবাসীই স্থির করুন, তারা কাকে ক্ষমতায় দেখতে চান। জনতার উদ্দেশ্যে এহেন মন্তব্য ছুঁড়ে দেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
একই সঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশ্যেও তোপ দাগেন ইমরান। বলেন, বিদেশীদের ষড়যন্ত্রে বিরোধীরা সরকারকে ফেলতে চেষ্টা করেছিল যারা এই কাজ করেছে তাঁদের বিশ্বাসঘাতক বলেও তোপ দাগেন তিনি। একই সঙ্গে সরকারকে ফেলতে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও মারাত্মক অভিযোগ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
জাতির উদ্দেশ্যে এহেন বার্তার পরেই তথ্য মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী টুইট করেন। সেখানে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন। টুইট করেন আরও এক ইমরানপন্থী মন্ত্রী। ফারুখ হাব্বিব টুইটে লেখেন, ৯০ দিনের মাথায় নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে শেষবেলায় ইমরানের এহেন মাস্টারস্ট্রোকে দিশেহারা অবস্থা বিরোধীদের।