রায়পুর, ১৮ জুলাই : ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ভিলাইয়ের বাসভবনে শুক্রবার সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ফের তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এর মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার মদ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত তাদের তদন্ত আরও জোরদার করা হয়েছে।
সকাল ৬টা নাগাদ, প্রায় ১২ জন ইডি কর্মকর্তার একটি দল, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এর একটি বিশাল দল নিয়ে দুর্গের বাঘেলের বাসভবনে পৌঁছায়। গত ছয় মাসে এই নিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় এমন অভিযান।
ইডি-র এই পদক্ষেপটি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এর অধীনে একটি অর্থ পাচারের তদন্তের সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে। এই তদন্তে বাঘেলের ছেলে, চৈতন্য বাঘেলকে কেন্দ্র করে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
সংস্থা দাবি করেছে যে, তাদের কাছে চৈতন্যের বিরুদ্ধে নতুন প্রমাণ এসেছে, যিনি কথিত মদ সিন্ডিকেট থেকে অবৈধ অর্থ গ্রহণ করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট রাজ্যের কোষাগারের ২,১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে অভিযোগ। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অভিযানটি চৈতন্যের জন্মদিন এবং রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের শেষ দিনের সাথে মিলে যায়, যা রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
যেকোনো ধরনের উত্তেজনা প্রতিরোধে জেলা জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং একাধিক স্থান থেকে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও ইডি এখনও অভিযানের বিশদ বিবরণ দিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি, তবে ছত্তিশগড়ের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এর প্রভাব ইতিমধ্যেই অনুভূত হচ্ছে। এই ঘটনাটি রাজ্যের বিরোধী নেতা এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে তুলে ধরেছে, যা আইন প্রয়োগ এবং রাজনৈতিক কৌশলের মধ্যে সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ভিলাইয়ে বিপুল সংখ্যক কংগ্রেস কর্মী ইডি এবং সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ব্যারিকেডের উপর চড়ে “ইডি ফিরে যাও” স্লোগান দিচ্ছে। গত মার্চ মাসে বাঘেলের বাসভবনে ইডির অভিযানের সময়ও ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল, যার মধ্যে পাথর ছোড়ার খবরও ছিল।
অনুরূপ বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায়, দুর্গ জেলার সমস্ত থানা থেকে পুলিশ বাহিনী তলব করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে, ভূপেশ বাঘেল চলমান রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন।