এই ঘটনায় আরও এক বার পুরীর ভোগ মণ্ডপ থেকে মন্দিরের বিগ্রহের কক্ষে যাওয়ার রাস্তাটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ, মন্দির চত্বরের ওই পথটি জল পড়ে প্রায় সব সময়েই পিচ্ছিল হয়ে থাকে।
ওড়িশা নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগের গরম ডাল গায়ে চলকে পড়ে গুরুতর জখম হলেন ২ জন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার পুরীর মন্দির চত্বরের ভোগ মণ্ডপের কাছেই। উনুন থেকে নামিয়ে আনা ডাল মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছিলেন মন্দিরের দুই বোঝিয়া সেবাইত (এঁরা জগন্নাথ মন্দিরে মহাপ্রসাদ বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন)। কিন্তু জল পড়ে পিচ্ছিল রাস্তায় আচমকাই পা পিছলে যায় একজনের। টাল সামলাতে না পেরে ডালের পাত্র নিয়ে পড়ে যান দ্বিতীয় জনও। তাঁদের উপরেই চলকে পড়ে যায় গরম ডাল।
পুরীর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ওই দুই সেবাইতের শরীরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করার ব্যবস্থাও করা হয়। পুরীর সদর হাসপাতালে এখনও তাঁরা চিকিৎসাধীন। তবে এই ঘটনায় আরও এক বার পুরীর ভোগ মণ্ডপ থেকে মন্দিরের বিগ্রহের কক্ষে যাওয়ার রাস্তাটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ, মন্দির চত্বরের ওই পথটি জল পড়ে প্রায় সব সময়েই পিচ্ছিল হয়ে থাকে। আর মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী ওই বিপজ্জনক পথ ধরেই মাথার উপর গরম ভোগের পাত্র নিয়ে যেতে হয় জগন্নাথ দেবের ভোগ এনে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা বোঝিয়া সেবাইতদের। এর আগেও এই চত্বরে বহু বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা-ও নিয়মে কোনও বদল আনেননি মন্দির কর্তৃপক্ষ। ব্যবস্থা করা হয়নি ওই পথটিকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ রাখারও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুই সেবাইতের নাম প্রদীপকুমার সাহু এবং পাপী প্রধান। এক জন ওড়িশার ব্রহ্মগিরির বাসিন্দা। অন্য জন থাকেন তালাজঙে। মন্দিরের বোঝিয়া সেবাইতদের সংগঠন ‘বোঝাবাহক সঙ্ঘের’ সভাপতি রোহিত দাসও বলেছেন, ‘‘ভোগ মণ্ডপের ওই রাস্তাটি সারা দিনই জল পড়ে পিচ্ছিল হয়ে থাকে। তাই আমরা যখনই ওই রাস্তা ধরে যাই, অত্যন্ত সাবধানে যাই। বিশেষ করে মাথায় প্রসাদ থাকলে আরও বেশি সতর্ক হতে হয়। কিন্তু তার পরও অনেক সময় কিছু করার থাকে না। দুর্ঘটনা ঘটে। আগেও বহু বার ঘটেছে।’’