উড়িষ্যা প্রতিনিধি: করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে উড়িষ্যা। ইতিমধ্যে ভারতে থাবা বসিয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’। এই ভাবা হয় বুঝি স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ল, কিন্তু কোথায় কী! এখনও পর্যন্ত ভারতে ২৫ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে নতুন স্ট্রেনের হদিশ। শিশুর শরীরেও উদ্বেগজনকভাবে মিলেছে ‘ওমিক্রন’। এমন পরিস্থিতিতে আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে।
মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পুরীর জগন্নাথ মন্দির বন্ধ থাকবে। উল্লেখযোগ্য যে, শুক্রবার মন্দিরের ‘ছত্তিশা নিযোগ’ অর্থাৎ অ্যাপেক্স বডির সদস্যরা বৈঠকে বসেন। এবং কমিটির বৈঠকেই পুরনো বছরের শেষ এবং নতুন বছরের শুরুতেই মন্দির বন্ধ রাখা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সবকিছুর আগে হচ্ছে সাবধানতা। ভারত করোনার দু দুটো ঢেউয়ে কম ভোগেনি।
মূলত করোনা মহামারিকালে বিপুল ভক্ত সমাগম আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান কৃষ্ণ কুমার।জগন্নাথদেবের মন্দিরের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কৃষ্ণ কুমার জানান, ‘ছত্তিসা নিযোগ’-এর বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দির সংক্রান্ত সর্বোচ্চ যে সিদ্ধান্ত তা গ্রহণ করে এই ছত্তিসা নিযোগ।
৩১ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে আগামি বছরের ২ জানুয়ারি তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকবে জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। করোনা সংক্রমণের জন্যেই এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখযোগ্য যে, নতুন বছরের প্রথমেই প্রচুর মানুষ তথা লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় প্রভু জগন্নাথের দরবারে। কিন্তু করোনা মহামারির সময় সাবধান না হলে বিপদ বাড়বে।
কৃষ্ণ কুমার এ বিষয়ে বলেছেন, “পুরীর জগন্নাথ মন্দির সাধারণ মানুষের দর্শনের জন্য ২০২১ ৩১ ডিসেম্বর, ১ জানুয়ারি ২০২২, ২ জানুয়ারি ২০২২ বন্ধ থাকবে। করোনা প্রোটোকলের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ মাস থেকে ভারতের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানের মতো বন্ধ হয়ে যায় পুরীর জগন্নাথ মন্দির। এবং আনলক পর্বে অন্যান্য মন্দির খুললেও পুরীর জগন্নাথ মন্দির বন্ধ ছিল। এবং মহামারিকালে পুরীর রথযাত্রায় জমায়েত নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এবং দীর্ঘ ৯ মাস পর গত বছরের ডিসেম্বরে ভক্তদের জন্য পুরীর মন্দিরের দরজা খোলে। বছরের শেষে আবার অধিকাংশ মানুষই পুরী বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।এতে করোনা বাড়তে পারে। সংক্রমণ বৃদ্ধি এড়াতেই বছরের শেষ থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।