আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: গাজা সফরে আসা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের কাছে শিশুরা এক টুকরো রুটি ও এক চুমুক পানি চাইছে। তবে মিলছে না সে সহায়তা। কারণ ত্রাণ সহায়তার তেমন সরবরাহ নেই।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) যোগাযোগ পরিচালক জুলিয়েট্টি তৌমা বলেন, শিশুরা এক টুকরো রুটি ও এক চুমুক পানি চাইছে। কিন্তু আমাদের কাছে ত্রাণ সহায়তার সরবরাহ নেই। জ্বালানির ঘাটতি তো রয়েছেই। খবর-বিবিসি
গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ খুবই খারাপ অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এখানে আরও সহায়তা পাঠানো প্রয়োজন। দুটি জিনিসের বিশেষ প্রয়োজন; সেগুলো হলো জ্বালানি ও মানবিক যুদ্ধবিরতি।
জুলিয়েট্টি তৌমা বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে ১৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ লাখের বেশি মানুষকে সহায়তা করছে। আমার সহকর্মীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এই সংখ্যাটি এখন পর্যন্ত ৯৯ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে আর কোনো একক সংঘাতে সংস্থাটির একসঙ্গে এত কর্মীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে ইউএনআরডব্লিউএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়ে ১৪০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা এবং ২০০ জনকে জিম্মি করার পর ইসরাইল গাজায় বোমা হামলা শুরু করে। হামলার পর থেকে গাজায় কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
গাজায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতে এ পর্যন্ত নিহত শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৪০০ জন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে ইসরায়েলের বিমান হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।