।। হাসনাত আরিয়ান খান ।।
বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আর নেই। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। অর্থাৎ একটা পরিপূর্ণ বয়স পার করে তিনি মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া আবদুল মুহিত বরাবরই একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগ দেন। সিএসপি হওয়ার পর তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, কেন্দ্রীয় পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে বেশি সময় যাবত ( তিন মেয়াদে ১২ বছর ) অর্থমন্ত্রী ছিলেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি সর্বমোট ১২টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে প্রথম দুই বছর সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের আমলে এবং শেষ দশ বছর (২০০৯ সাল থেকে টানা ১০ বছর) স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে তিনি জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেছেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুর পর খুব সঙ্গত কারণেই সরকারি দলের লোকেরা তাকে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছেন, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী বলছেন। ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ এর আওতায় থাকা খবরের কাগজগুলোতেও তিনি প্রশংসায় ভাসছেন। মৃত মানুষ সম্পর্কে ভালো কথা বলা একটা রেওয়াজ, কিন্তু পাবলিক ফিগার হিসাবে তিনি সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। মৃত্যুর পর যেমন মৃত ব্যক্তির পারলৌকিক হিসাব শুরু হয় তেমনি মৃত ব্যক্তি যদি পাবলিক ফিগার হন তাহলে ইহজগতেও তার কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণ হতে থাকে। ইতিহাসের কষ্টি পাথরে যাচাই করা শুরু হয় তার যাবতীয় কর্ম। ক্ষমতার নেশায় মত্ত অন্যদের সতর্ক করতে এসবের আলোচনা দরকার আছে। আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বর্ণাঢ্য চাকরি জীবন, কূটনৈতিক জীবন ও রাজনৈতিক জীবনে অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু বাংলাদেশ তো দুরে থাক, তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য বিশেষ কিছু করেছেন বলে চোখে পড়েনি। এমনকি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে দীর্ঘ ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেও তিনি চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালে বাংলাদেশের অর্থনীতির বেহাল দশা করেছেন। তাঁর সময়ে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত নড়বড়ে হয়েছে। শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি হয়েছে। তিনি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেননি। বরং কথা ও কাজের মাধ্যমে তিনি দুর্নীতিবাজদের উৎসাহিত করেছেন। তাঁর বক্তব্যে কখনও ব্যালেন্স ছিল না। একেক সময় একেক কথা বলেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার লোভ করেছেন। তাঁর এই লোভকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনা ও তাঁর দল তাঁর নাকের ডগায় দুর্নীতির মহোৎসব করেছেন।
যাই হোক, বেঁচে থাকতে তিনি তাঁর এই ব্যর্থতার কথা নিজেই স্বীকার করেছেন। বলেছেন, ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে দলীয় বিবেচনায় লোক নিয়োগ করা ঠিক হয়নি। আমরা ব্যর্থ হয়েছি। বর্তমানে যে পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি হচ্ছে সেই কথাটিও তিনি স্বীকার করেছেন। একইসাথে আবার ক্ষমতায় থাকলে সম্পদ তো একটু আধটু বাড়বেই, সেই কথাটিও তিনি গর্ব ও সন্তুষ্টির সাথেই উচ্চারণ করেছেন। অথচ ডেইলি স্টারের মত কাগজগুলো মৃত্যুর পর তাকে সফল বানানোর চেষ্টা করছেন। ‘আর্কিটেক্ট অফ আওয়ার ইকোনমি’স গোল্ডেন ইরা’ হেডলাইন দিয়ে তারা তাকে ট্রিবিউট দিয়েছেন। তাঁর সমকালের লোকজন তাকে একজন সুবিধাবাদী লোক হিসেবে আখ্যায়িত করছেন, তিনি নিজের ব্যর্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারদর্শী ছিলেন বলছেন, এবং হিন্দী ছবির ডায়ালগ দিয়ে বলছেন, ‘মারনে কা বাদ সব আদমি আচ্ছা হু যাতা হ্যায়’। লোকজন আরও বলছেন, ‘তাঁর কোন আদর্শ ছিলোনা। তিনি পাকিস্তানের আনুগত্য করে তামিঘা-এ-পাকিস্তান পুরস্কার লাভ করেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে চিঠি দিয়েছেন, আমেরিকায় পোস্টিং নিয়েছেন, চাকরি টেকাতে না পেরে শেষমেষ তিনি বাংলাদেশ সরকারে যোগ দিয়েছেন। চাকরি জীবন শেষে তিনি স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন, এরপর ১৯৯০’র দশকের শুরুর দিকে ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন করলে সেখানে সম্পৃক্ত হয়েছেন, নিজের লেখা বইতে শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করেছেন, আবার ২০০০’র দশকে আওয়ামী লীগের টিকিটেই নৈশ ভোটে এমপি হয়েছেন, অর্থমন্ত্রী হয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বানিয়ে বছরের পর বছর বিভিন্ন সরকারি কাজে আওয়ামী লীগ তাকে শুধু ব্যবহার করেছেন। তাঁর আশা ছিলো প্রেসিডেন্ট হবেন, সেটাও হওয়া হয় নাই, শুধু ব্যবহৃত হয়েছেন। তিনি পাঞ্জাবি ও পায়জামা পড়ে রুনা লায়লার সাথে হিন্দী গানের তালে তালে নেচেছেন, আশি পেরুনো শরীরটাকে নিয়েও তিনি মিউজিক ফেস্টিভালে পুরো রাত কাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি এতই ভালো ছিলেন যে, অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে অবসর নেওয়ার কিছুদিন পর যখন তিনি ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা সিলেট যান, সেদিন হুইল চেয়ার ঠেলে নেয়ার জন্য লোক খুঁজতে হয়েছিল তাকে! তিনি তাঁর সকল মেধা-যোগ্যতা-দক্ষতা সারা জীবন ধরে দেশের স্বার্থের বিরূদ্ধে, দেশের জনগনের বিরুদ্ধে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-অখন্ডতার বিরুদ্ধে ব্যয় করেছেন’।
আমার এই লেখা ব্যক্তি আবুল মাল আবদুল মুহিতকে নিয়ে লেখা না। আমার এই লেখা একজন সাবেক অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা। অর্থমন্ত্রী হিসেবে যতগুলো ভুল তিনি করেছেন, তার একটা করলেই সভ্য কোন দেশের অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ করতেন। কিন্তু তিনি করেন নাই। বাংলাদেশে পদত্যাগের কালচার নাই। মন্ত্রীসভায় তিনি সবচেয়ে মেধাবী ও সিনিয়র ছিলেন। তিনি চাইলে অনেক কিছু থেকেই শেখ হাসিনাকে বিরত রাখতে পারতেন। কিন্তু তিনি ভয়েই হোক আর প্রেসিডেন্ট হওয়ার লোভেই হোক, রাখেন নাই। বরং নিজের মন্ত্রাণালয়েই তিনি একের পর প্রশ্নবিদ্ধ কাজ করে গেছেন। একটা সময় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে আর নতুন কোন বেসরকারি ব্যাংকের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তারপরেও নতুন নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছেন বা দিতে বাধ্য হয়েছেন। ৫০ হাজার বই পড়া একটা মানুষ সব বাজেটেই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ২% এর নিচে রেখেছেন। একইসাথে শিক্ষকদের মর্যাদা নিয়ে তিনি খেলেছেন। ওয়ারেন্ট ওফ প্রিসিডেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টেনে নিচে নামিয়ে তিনি যে সেক্টরে সরকারি কর্মচারী ছিলেন সেই সেক্টরের কর্মচারীদের উর্ধ্বগমন নিশ্চিত করেছেন। আমলাদের গাড়ি কেনার জন্য ও ড্রাইভারের বেতন এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাজেটে বিশাল বরাদ্দ রেখেছেন। বাজেটের ও লুটপাটের টাকার ঘাটতি পূরণ করতে ভ্যাট, ট্যাক্স ও শুল্কের নামে সাধারণ জনগণের পকেট কাটার ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষাখাতে ভ্যাট আরোপের কথা বলতে গিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদেরকেও ভ্যাট দিতে বলেছেন। বলেছেন, ‘কর দেওয়ার কোন বয়স নাই’। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির জন্য তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করেছেন, দুদক ও এনবিআরের পদাধিকারীদের ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতা তুলে ধরেছেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পূঁজি বাজার লুট, বেসিক ব্যাংক লুট, সোনালী ব্যাংক লুট, ফারমার্স ব্যাংক লুট, হলমার্ক লুটসহ কোনো লুটের ঘটনাকেই সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে পারেননি বা আনতে চাননি। বরং তিনি হলমার্কের লুট করা চার হাজার কোটি টাকাকে ‘পি-নাট ‘ বলে; শেয়ার বাজারে লুটপাটে ৩৫ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বর্বস্ব হারিয়ে হঠাৎ পথে বসে যাওয়াকে ঠাট্রা বিদ্রুপ করে ও শেয়ার বাজারে স্বর্বস্ব হারিয়ে ১১ জন মানুষের আত্মহত্যার ঘটনাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে; এবং ‘শেয়ার মার্কেট কোন ইনভেস্টমেন্টের জায়গা না, জুয়াড়িদের জায়গা’ বলে লুটপাটকারীদের আরও লুটপাট করার সুযোগ দিয়েছেন। ঘুষকে তিনি ‘স্পিড মানি’ বলে বৈধতা দিয়েছেন। লুটেরা অর্থনীতির জনক আবুল মাল আবদুল মুহিত জনগণের স্বার্থের এমন কোন ছিদ্র নাই যেখানে মন্ত্রী পদে থাকা অবস্থায় বাঁশ দেন নাই। কোনরুপ বিচার বিবেচনা না করেই তিনি শেখ হাসিনার লুটেরা সরকারের দুরভিসন্ধি পূরণের প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছেন। প্রতিটা বাজেটে তিনি আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় দেখিয়েছেন। তিনি জিডিপির শতকরা ৫ শতাংশেরও বেশি ডেফিসিট বাজেট করেছেন, কিন্তু তাঁর কোন পরিকল্পনা ছিলো না সেই ঘাটতি তিনি কিভাবে পূরণ করবেন। অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। বৈদেশিক ঋণ নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনি সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। ঋণের টাকায় অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প পাশ করে তিনি দলীয় লোকেদের লুটপাটের ব্যবস্থা করে দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মাথায় দেনার বোঝা বাড়িয়েছেন। বিদেশে টাকা পাচার রোধ করতে এবং পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে তিনি সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারি ব্যাংকগুলো প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান দিলেও তিনি তাদের মন্দ ঋণগুলো বার বার অনুমোদন দিয়ে ভাগেযোগে নগদ নারায়ণে চুরি ডাকাতিসহ রাজকীয় লুটপাট করার সুযোগ করে দিয়েছেন। জিও ছাড়সহ নিজ মন্ত্রণালয়ের আমলাদের তিনি বার বার অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছেন। ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকসের একজন জুনিয়র অফিসার ক্যালকুলেটর চেপে হিসাব করে জিডিপি বেশি দেখিয়ে মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য যে কাজ করেন তিনি শুধু সেই কাজটি করেছেন। রিজার্ভ লুট, শেয়ার বাজার লুট ও ব্যাংক লুটের সঠিক তদন্ত রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করতে তিনি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ তিনি এক সময় আমেরিকায় হোমলেস ও জবলেস থাকা তাঁর অথর্ব ছোট ভাই আব্দুল মোমেনকে নৈশ ভোটের এমপি বানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বনাশ করে গেছেন। তাঁর ভাইয়ের কথা শোনে বিদেশি কূটনীতিকরা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা হাসাহাসি করছেন। সচেতন মহলের মতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিকৃষ্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিনি উপহার দিয়ে গেছেন। সর্বোপরি আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা টেকসই করার জন্য যেসব কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন ছিল অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি সেটি করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের বহুল ব্যবহৃত ‘বোগাস’ ও ‘রাবিশ’ শব্দ নিয়ে আমার তেমন কিছু বলার নাই। আমি বরং লেখার শুরুর দিকে ফিরে যাই। শুরুতেই বলেছি, তিনি একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে তিনি উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছিলেন। সে হিসেবে অনেক কিছুতেই তার অবদান রাখা উচিত ছিলো, কিন্তু তিনি রাখেন নাই বা রাখতে পারেন নাই। তিনি এমন কোন লিগ্যাসি তৈরী করতে পারেন নাই। এমনকি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার স্তরেও পৌছতে পারেন নাই যে মানুষ তাকে মনে রাখবেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে নিয়ে আর কিছু লেখার ইচ্ছা নাই। তিনি মারা গেছেন। কবরে সাথে করে পৃথিবীতে করা প্রতিটি কাজ আর কথা নিয়ে গেছেন। আল্লাহই উত্তম বিচারক। আমি তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।