পাকা কাঁঠালের মরশুম প্রায় যায় যায়। তাই যারা কাঁঠাল প্রেমী তারা কাঁঠাল খাওয়ার পরে তার বীজও রেখে দেন সযত্নে। কারণ এই কাঁঠালের দানা দিয়েই হয় নানান সুস্বাদু পদ। আর সেই পদে এবার যোগ করুন কাঁঠাল চিংড়ির ভর্তা। অসাধারণ স্বাদের এই পদ বানানোর জন্য কি কি লাগবে দেখে নিন।
যা যা লাগবে-
চিংড়ি মাছ ১৫০ গ্রাম। কাঁঠালের বীজ ১৫০ গ্রাম। সর্ষের তেল ২-৩ টেবিল চামচ। স্বাদ মতো নুন। টমেটো বাটা ৪ টেবিল চামচ। আদা রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ। তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ১ টা। গোটা জিরে, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লাল গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো ও গরম মশলা গুঁড়ো সব ১ চা চামচ করে। পেঁয়াজ বাটা ৪ টেবিল চামচ। চেরা কাঁচা লঙ্কা ৩-৪ টে।
বানাবেন যেভাবে-
সবার প্রথমে শুকিয়ে রাখা কাঁঠালের দানা গুলো ৮-৯ টা সিটি দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে হামাল দিস্তায় থেঁত করে রাখুন।
অন্যদিকে কড়াইতে তেল গরম করে তাতে শুকনো লঙ্কা, তেজ পাতা ও গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাটা দিন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে এলে তাতে আদা রসুন বাটা দিন।
কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে জিরে, ধনে, শুকনো লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো গরম মশলা গুঁড়ো ও টমেটো বাটা দিয়ে ভালো করে মশলা কষিয়ে নিন।
মশলা থেকে তেল ছাড়লে নুন হলুদ মাখানো চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিন (চিংড়ি মাছ আগে ভাজার দরকার নেই) সাথে সেদ্ধ করে থেঁত করা কাঁঠালের দানা, চেরা কাঁচালঙ্কা ও স্বাদ মতো নুন দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। প্রয়োজনে সামান্য জল দিয়ে ২-৩ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। ঢাকা খুলে দেখুন জল শুকিয়ে গেলে সেটা কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিয়ে গরম ভাতের সাথে সার্ভ করুন কাঁঠাল চিংড়ির ভর্তা।





