ঢাকা অফিস: সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও জমে ওঠেনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। হাঁকডাক করেও ক্রেতা টানতে পারছেন না মেলার ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা বলছেন, শীতের কারণে প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম লোক সমাগম হয়েছে।
বেশ কিছু স্টল আর প্যাভিলিয়নে এখনো চলছে সাজসজ্জা। ব্যবসায়ীরা এতে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসলেও মেলায় আসা ক্রেতাদের তেমন সাড়া নেই। বিক্রেতারা বলছেন, মেলা জমে উঠতে আরও কিছুদিন লাগবে। দর্শনার্থীরা এখন পণ্যের মান যাচাই করছেন। অনেকে অপেক্ষায় আছেন মূল্যছাড়ের।
বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, মেলার শুরুতে সবসময় ক্রেতা দর্শনার্থী কম থাকে। এবার শীতের তীব্রতা বাড়ায় দর্শনার্থীরা তেমন আসছেন না।
পূর্বাচলে তৃতীয়বারের মতো মেলার আয়োজন। গতবারের মতো এবারও মেলায় থাকছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিআরটিসি বাসের সুবিধা। এবার বাড়ানো হয়েছে বাসের সার্ভিস রুট। ফার্মগেট থেকে মেলা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের নিয়ে যাতায়াত করবে বিআরটিসি পরিবহন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইবিপি) সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ৩৩০টি, যা গত বছর ছিল ৩৩১টি। এবারের মেলায় ভারত, পাকিস্তান, হংকং, তুর্কিসহ অন্তত ১৮ থেকে ২০টি দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। এ আসরে মেলার প্রধান ফটকটি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে। গত আসরে মেলার বড়দের প্রবেশ ফি ৪০ টাকা থাকলেও এবার তা ৫০ টাকা করা হয়েছে। আর শিশুদের প্রবেশ ফি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা ধরা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রবেশ ফ্রি করা হয়েছে।