পদ্মা সেতু নিয়ে আবারো সরকারকে খোঁচা দিলেন মির্জা ফখরুল। জনগণের কষ্টের মুহূর্তে সরকার উৎসব দিয়ে ব্যস্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, আমরা মনে করি এই দুঃসময়ে, এই দুর্যোগের সময়ে, জনগণের কষ্টের সময়ে সরকার ব্যস্ত হয়ে আছে উৎসব নিয়ে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য তারা এতো ব্যস্ত যে মানুষের দিকে তাকানোর কোনো সময় নেই, মানুষের কষ্টের দিকে তাকানোর সময় নেই।
শনিবার (১৮ জুন) ঢাকা মহানগরীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সুনামগঞ্জ থেকে শুরু করে উত্তরে লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম সমস্ত অঞ্চল বন্যার জলে ডুবে গেছে। ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে, যার কারণে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকবে। এদেশের মানুষকে ভাসিয়ে দেবে। বহুদিনের কষ্টে অর্জিত ফসলকে নষ্ট করবে, গবাদিপশুকে নষ্ট করবে, সমস্ত ঘরবাড়ি নষ্ট করবে।
বন্যা যাতে না আসতে পারে, বন্যায় যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেটা দেখার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই সরকার গত এক যুগে ভারতের সঙ্গে যেসব অভিন্ন নদী রয়েছে তার জল বণ্টনের চুক্তি তা করতে সক্ষম হয়নি। আমাদের বহুদিন ধরে তিস্তা নদীর জল চুক্তির মুলা দেখানো হচ্ছে। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত করা হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হঠাৎ করে যখন তারা ফারাক্কার গেট খুলে দেয় তখন অনেক জল আসায় তা ঠেকানো সম্ভব হয় না। আজকে লালমনিরহাট, সুনামগঞ্জে একই ঘটনা ঘটছে।আজকের ঘটনা প্রমাণ করে এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি এবং জনগণের প্রতি অবহেলা।
বলেন, আজকে নতুন একটি গান শুরু হয়েছে, গানটা কী- পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে সেখানে নাকি বড় একটি দুর্ঘটনা, নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। তাহলে এই দুর্ঘটনার আশঙ্কাটা কী এটা জনগণের কাছে প্রকাশ করুন। নিজেরা দুর্ঘটনা ঘটানোর পরে তা বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
এদিকে আবার, সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেছেন, সেই কন্টেইনারের মালিক আমেরিকার নেতা। তাকে গ্রেফতার না করে, যারা শ্রমিক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।