কমিউনিটি নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৫ই মে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচন উপলক্ষে কাউন্সিলগুলোতে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চলছে। বিশেষ করে পূর্ব লন্ডনের বাঙালি পাড়া খ্যাত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাচনকে ঘিরে বাঙালি পাড়া এখন সরগরম হয়ে উঠছে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের রাজনীতি আগেও বিভাজনের রাজনীতি ছিল, এখনও ঠিক তা-ই আছে। প্রতি বছর কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধি পাওয়া, বাংলা ভাষা শিক্ষার তহবিল বন্ধ করে দেয়া, বারায় ক্রাইম ও ড্রাগস সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়া, বেশিরভাগ ইয়ুথ সেন্টার বন্ধ করে দেয়া এবং বিভিন্ন কমিউনিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিলে কাটছাঁট করার মতো ইস্যুগুলোকে ঘিরে বর্তমান মেয়র জন বিগসের প্রতি যেমন অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন; তেমনি ২০১৪ সালে আদালতের রায়ে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া ও ৫ বছর নির্বাচনে নিষিদ্ধ থাকা লুৎফুর রহমান আসন্ন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেনে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক পক্ষ বর্তমান মেয়র জন বিগসের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানকে সমর্থন করছেন। অপর পক্ষ সাজা প্রাপ্ত লুৎফুর রহমানের আবারও মেয়র প্রার্থী হওয়াকে চরম নৈতিকতা বিবর্জিত এবং নির্লজ্জ কাজ বলে অভিহিত করছেন। আজ ৮ মার্চ ২০২২ ইং মঙ্গলবার উভয় পক্ষই আসন্ন নির্বাচনে লুৎফুর রহমানের মেয়র প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সন্মেলন করেছেন।
সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘লুৎফুর রহমানের নির্বাচনী অনিয়মের মামলার খরচ আদায়’ শিরোনামে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলন

লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে আজ দুপুর দুই ঘটিকায় পূর্ব লণ্ডনের ব্রিকলেইনের প্রেম-প্রীতি রেস্টুরেন্টে ‘লুৎফুর রহমানের নির্বাচনী অনিয়মের মামলার খরচ আদায়’ শিরোনামে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে মামলার অন্যতম পিটিশনার ব্রিকলেইনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজমল হোসেন বলেন, ‘আমাদের করা মামলায় লুৎফুর রহমান ভোট জালিয়াতিসহ ৭টি অপরাধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন। তাকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং ৫ বছর রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয়। আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে সলিসিটরস রেগুলেশন অথোরিটি (এসআরএ) লুৎফুর রহমানের সলিসিটর লাইসেন্স বাতিল করে। লুৎফুর রহমান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। আপিলেও তিনি হেরে যান এবং তাঁর সাজা বহাল থাকে। মামলায় খরচ দিতে না পেরে তিনি নিজেকে আর্থিকভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করেন। আমরা তখন তার সিকিউরিটি দেওয়া ৩টি বাড়ির উপর চার্জ বসাই। যার ফলে মামলার খরচ আদায় করতে আমাদের বেশ সময় দিতে হয়েছে। লুৎফুর রহমানের ২টি বাড়ি বিক্রি করে অবশেষে আমাদের মামলার খরচ আদায় করা করেছে।’ এ সময় সাংবাদিকদের কাছে তিনি যুক্তরাজ্যের ‘বেগবিজ ট্রেইনর এলএলপি’ নামের একটি মানি রিকোভারি কোম্পানীর চিঠি প্রদর্শন করে বলেন, ‘গত মাসের ১৩ তারিখে রিসিভারের কাছ থেকে আমরা এ বিষয়ে চিঠি পেয়েছি। সব মিলিয়ে ১১ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড আদায় করেছে রিসিভার। এ টাকা থেকে আদালতের খরচ, আইনজীবীদের খরচ এবং অন্যান্য আনুসঙ্গিক খরচ পরিশোধ করা হয়েছে। মামলার বাদী হিসেবে আমার খরচ ও সময়ের মূল্য বাবদ পেয়েছি ৮৪ হাজার ৮৫০ পাউন্ড। এনডি অ্যালেন পেয়েছেন ৩৭ হাজার পাউন্ড। ডেবি সিমন্ডস পেয়েছেন ১২ হাজার পাউন্ড। আর মামলার আরেক বাদী টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিল তাদের খরচবাবদ পেয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড।’ আজমল হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, ‘কাউন্সিল পরিচালনায় নানা দুর্নীতি, নির্বাচনে ভোট জালিয়াতিসহ ৭টি অভিযোগে অভিযুক্ত ও আদালতের রায়ে মেয়র পদ থেকে অপসারিত এবং ৫ বছর নির্বাচনে নিষিদ্ধ থাকা লুৎফুর রহমান আসন্ন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল নির্বাচনে আবারও মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে আবারও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার সাজা শেষ হলেও লুৎফুর রহমান এখনও তাঁর সলিসিটর লাইসেন্স ফিরে পাননি। একজন মেয়র প্রার্থীর জন্য এটা চরম লজ্জার বিষয়। আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত লুৎফুর রহমান ও তাঁর সমর্থকরা এখন সব কিছুকে ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি বলে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। আদালতে বিচার এবং আপিলেও সাজা বহাল থাকার পর আর তো কোনো যুক্তি চলে না। ব্রিটেন তো থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি নয় যে, বিচারে প্রভাব খাটানো যায়। অথচ আদালতের রায় মানিনা বলে তারা ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। এটা দুঃখজনক। লুৎফুর রহমান একজন সলিসিটর হওয়া স্বত্বেও মর্গেজ নিতে গিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। বাড়ি ভাড়ার ইনকাম কখনো এইচএমআরসিতে প্রদর্শন করেননি। বছরের পর বছর ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন। আমরা লুৎফুর রহমানের নির্বাচনী অনিয়ম বিষয়ে বিচার চাইতে আদালতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জীবন যে এতটা নৈতিকতা বিবর্জিত তা আমাদের কল্পনাতেও ছিলো না। টাওয়ার হ্যামলেটসে বাঙালির ভোটকে পূঁজি করে লুৎফুর রহমান যে স্বতন্ত্র রাজনীতি চালু করেছেন তা আমাদের কমিউনিটির বিশাল একটি অংশকে মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। আমাদের অনেক সম্ভাবনাময় তরুণের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে নষ্ট করে দিয়েছে। শাস্তি ভোগের পরও লুৎফুর রহমান বলছেন, তিনি এ রায় মানেন না। ব্রিটেনের আইন আদালতের প্রতি লুৎফুর রহমানের যদি কোনোই আস্থা না থাকে তাহলে তিনি কিভাবে টাওয়ার হ্যামলেটস পরিচালনা করবেন! তাঁর নেতৃত্বে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দারা কেন আইন মেনে চলবেন? অতীত ইতিহাস কখনো কথার মারপ্যাঁচে আর গায়ের জোরে মোছা যায় না।’ সবশেষে তিনি বলেন, ‘লুৎফুর রহমানের মত দুর্নীতিপরায়ন ও আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নিয়ে নতুন করে আমার আলোচনা করার কোন ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সাজা ভোগ শেষ হওয়া মাত্রই লুৎফুর রহমান আবারও মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার নৈতিক অধিকার কি তার আছে? তার কারণে সমস্ত মিডিয়ায় টাওয়ার হ্যামলেটস এবং এখানকার বাঙালিরা আবারও নেতিবাচকভাবে সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। বাঙালির মান-সম্মান নষ্ট করার অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে?’ তিনি অতীত কর্মকাণ্ড এবং আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়ে লুৎফুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। এবং তিনি নিজেও লুৎফুর রহমানের প্রার্থীতার বৈধতার বিষয়টি আদালতে রিভিউ করবেন বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। এ সময় মামলার আরেক বাদী ডেবি সিমন্ডস, কমিউনিটি নেতা আমির হোসেন ও আলাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের পক্ষে টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি অ্যালায়েন্সের পাল্টা সংবাদ সন্মেলন

এদিকে এই সংবাদ সন্মেলনের পর পরই বিকাল চার ঘটিকায় টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে পূর্ব লণ্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল রোডের বারাকা ইটারী রেস্টুরেন্টে পাল্টা সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করা হয়। আমির উদ্দিন আহমেদ মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সন্মেলনে কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরী সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগকে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মীর জাফর যেমন ষড়যন্ত্র করেছেন; লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রকারীরা তেমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।’ তিনি বারার সকল বাসিন্দাদেরকে লুৎফুর রহমানকে সমর্থন করার অনুরোধ করেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে কে এম আবু তাহের চৌধুরী উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে সংগঠক খান জামাল নুরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে খান জামাল নুরুল ইসলাম বলেন, ‘লুৎফুর রহমান টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের লিডার ও মেয়র থাকাকালীন সময়ে বারার অনেক উন্নতি হয়েছে। তিনি হোয়াইট চ্যাপেলে টাউন হলের জন্য জায়গা ও বিল্ডিং খরিদ করেছেন এবং বারার বাসিন্দাদের জন্য কবরস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। ৫ বছরে তিনি ৫৫৯০টি বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তিন হাজার বাড়ি পাইপ লাইনে ছিল। তাঁর সময়ে এডুকেশন খাতে ৩৮০ মিলিয়ন পাউণ্ড ব্যয়, ফ্রি স্কুল ডিনার, ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট ও ইএমএ গ্রান্ট প্রবর্তন, কমিউনিটি ল্যাঙ্গুয়েজ সার্ভিস চালু রাখা, ইয়ুথ সারভিসে ১০ মিলিয়ন পাউণ্ড ব্যয় ও ৭ বছর কাউন্সিল ট্যাক্স ফ্রিজ করে রাখা হয়েছিল। লুৎফুর রহমান ও তার টিম বারার বাসিন্দাদের যে সেবা দিয়েছেন তা ভুলে যাওয়ার নয়। ২০১০ সালে ও ২০১৪ সালে জনতার ব্যালটের কাছে পরাজিত হওয়ার পর কিছু লোক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। ফলে আমাদের সমাজের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। আজ আমাদের কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে। লাঞ্চ ক্লাব নাই হয়ে গেছে, বাংলা স্কুল নাই হয়ে গেছে, ওয়ান স্টপ শপ নাই হয়ে গেছে, ইয়ুথ সেন্টার নাই হয়ে গেছে, বৃদ্ধদের ফ্রি হোম কেয়ার সার্ভিস নাই হয়ে গেছে, ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট নাই হয়ে গেছে, ইএমএ গ্রান্ট নাই হয়ে গেছে, কমিউনিটি গ্রান্ট বন্ধ হয়ে গেছে, চারদিকে ড্রাগ ছড়িয়ে পড়েছে। হাউজিং সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। জন বিগসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান লেবার প্রশাসন কাউন্সিল পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলাররা তাদের অ্যালাউন্স বৃদ্ধি করেছেন। বিগত তিন বছরে মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও ক্যাবিনট মেম্বাররা কাউন্সিল থেকে যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন সে পরিমাণ কোন সার্ভিস তারা প্রদান করেননি। এজন্য আমরা চাই আগামী দিনে লুৎফুর রহমান ও তার সমর্থিত দল ক্ষমতায় আসুক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে লুৎফুর রহমানের প্রার্থী হওয়ার খবর শোনেই কুচক্রিমহল গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারা একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করছে। ২০১৪ সালে ইলেকশন ট্রাইবুনালের কমিশনার লুৎফুর রহমানের ব্যাপারে যে রিপোর্ট প্রদান করেছিল— তা ছিল একটি সিভিল ম্যাটার। এটা কোন ক্রিমিনাল ম্যাটার ছিলনা। এই রিপোর্টকে সামনে রেখে স্কটল্যাণ্ড ইয়ারড ও সিটি পুলিশের বিশাল টিম দীর্ঘ ৫ বছর তদন্ত করে। এতে প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন পাউণ্ড ব্যয় হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ লুৎফুর রহমান ও তাঁর টিমের বিরুদ্ধে কোন দোষ পায়নি। কোন ক্রিমিনাল কর্মকাণ্ড প্রমাণিত হয়নি। পুলিশের সব তদন্ত কার্যক্রম ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) চেক করে কোন অভিযোগ আনতে পারেনি। পুলিশের এ তদন্ত রিপার্টের ফলাফল— বিবিসি, গারডিয়ান, ইভিনিং স্ট্যাণ্ডার্ড সহ সকল জাতীয় পত্রিকায় ও বাংলা মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে লুৎফুর রহমানের টুইটারে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। পুলিশি তদন্তে কোন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই জাজমেন্টকে আমরা অগ্রহণযোগ্য মনে করি।’ সবশেষে তিনি বলেন, ‘ইলেকশন ট্রাইব্যুনাল সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানকে কোন জরিমানা করেনি। মামলার রায় তাঁর পক্ষে না আসায় তাকে শুধু মামলার খরচ দিতে হয়েছে। তিনি ২টি বাড়ি হারিয়েছেন। তিনি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তেমনি এ বারার বাসিন্দারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আজ তারা সকল ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরেছেন।’ সংবাদ সন্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, শিক্ষাবিদ ড. হাসনাত এম হোসেন এমবিই, সাবেক কাউন্সিলর সুলুক আহমেদ। সন্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর মাইমুম মিয়া, হাজী হাবীব, সুহেল আহমেদ, জয়নাল উদ্দিন, সুন্দর মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আফসর উদ্দিন ও আবদুল আউয়াল প্রমূখ।