ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: এবারের ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন লড়াই হবে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির লড়াই, জনগণ বনাম স্বৈরাচারী শাসক ও অত্যাচারী শাসক। ভারতের নির্বাচন কমিশন চার আসনের উপনির্বাচন ঘোষণা করার পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যাষক্ত করতে গিয়ে একথা বলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মণ।
আরো বলেন এই উপ নির্বাচনে তিনি উপলক্ষ্য মাত্র, মূল লড়াই করবেন জনগণ। যাদের মাথার উপর আশীর্বাদ রয়েছে তাদের ভয় কিসের, তাদের জয় নিশ্চিত বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন। এই উপনির্বাচন রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের আওতাধীন নয়, ভারতের নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রনাধীন তাই এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে তাঁর ধারণা।
সেই সঙ্গে তার সতর্ক সবার্তা রাজ্যের পৌর ও নগর সংস্থা গুলির নির্বাচনে শাসক দল যা করেছে, সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে দেয়নি এবং ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের জয়ী করেছে। তারা যেন এই উপনির্বাচনে ভুলেও তা না করে। তবে কংগ্রেস কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। কেউ উল্টোপাল্টা করতে চাইলে উচিৎ জবাব দেওয়া হবে। এবার উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন দেওয়া হয় এই আহ্বান রাখেন তিনি।
কিছুদিন আগে দিল্লীতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ছিলেন তখন তারা উপনির্বাচনে প্যারা মিলিটারী দেওয়ার দাবী জানিয়ে ছিলেন। দল চাইলে তিনি তার দীর্ঘ দিনের ৬আগরতলা বিধানসভা আসন থেকে লড়াই করতে রাজি বলেও জানিয়েছেন। উপনির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর বলেন এই নির্বাচন বিজেপির দ্বারা মানুষের উপর চাপানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন খুব শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু করেছিলেন কিন্তু মধ্যে কিছু দিন তারা এই উপনির্বাচনে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিজেপি সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর যতগুলি নির্বাচন হয়েছে এগুলিতে ব্যাপক রিগিং হয়েছে, রাজ্যের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে অবাদ ও শান্তিপূর্ণ করাই হচ্ছে বামফ্রন্টের কাছে প্রথম ও প্রাথমিক শর্ত। মানুষ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এই দাবী রাখেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।