ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। হাওড়া নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তাই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত করছে। ইতিমধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা দুর্গত মানুষ প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন। রাজ্যের পাহাড়ী এলাকায়গুলিতে এখনো ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টির জল নদী হয়ে ধীরে ধীরে সমতল এলাকা নামছে। এর ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলে শনিবার জানিয়েছেন সদর মহকুমা প্রশাসক অসীম সাহা।
রাজধানীর উপর দিয়ে বয়ে চলা হাওড়া নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান। জলের স্তর আরো বাড়বে কারণ দিনের বেলা পাহাড়ি এলাকায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এই জলগুলো শহরাঞ্চলে আসতে আসতে বিকেল হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
ইতিমধ্যে আগরতলার বিভিন্ন এলাকায় ২৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এই শিবিরগুলোতে পাঁচ হাজারের বেশি বন্যা দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে খাবার সহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক অসীম সাহা। পরিস্থিতি কি করে সামাল দেওয়া যায় তার জন্য পশ্চিম জেলার জেলাশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু রাজধানীর কয়েকটি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় রত সাধারণ মানুষের বক্তব্য তারা সঠিকভাবে পরিষেবা পাচ্ছেন না প্রশাসনের কাছ থেকে। যার জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে নতুন করে প্লাবিত এলাকাগুলিতে নৌকা নিয়ে টহল দিচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা। তারা একদিকে মাইকযোগে সাধারণ মানুষদের সতর্ক করছে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য পাশাপাশি নিজেদের নৌকায় তুলে বন্যা দুর্গত মানুষদের ত্রাণশিবিরে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
বন্যার মাঝে রাজধানীর চন্দ্রপুর এলাকায় এক মহিলার মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে। খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপক দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন।