- অতীতের “খসড়া ঘোষণা” প্রকাশের তারিখসমূহ: ০২ জুন ২০১৯, ০৬ অক্টোবর ২০২০, ০৭ নভেম্বর ২০২১, ২৬ মার্চ ২০২২, ৩০ নভেম্বর ২০২২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ এবং ২৯ জুলাই ২০২৩ ।
প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম, আদাব ও Good Morning। আমি মহান সৃষ্টিকর্তার নামে দেশমুক্তি বিপ্লব মঞ্চের প্রধান নির্বাহী এবং প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে ‘গণঅভ্যুত্থান’ এর “লিখিত চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র” আজ প্রকাশ করলাম।
১। আজ হতে যেকোন মুহূর্তে আমি ‘গণঅভ্যুত্থান’ এর “মৌখিক চূড়ান্ত ঘোষণা” প্রদান করবো। এই “চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র” টিকে ‘গণঅভ্যুত্থান’ এর পূর্বে এবং ‘গণঅভ্যুত্থান’ চলাকালীন একটি লিখিত সংবিধান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং ‘গণঅভ্যুত্থান’ সফল হওয়ার সাথে সাথে গণভোটের মাধ্যমে জনগণ কর্তৃক রাষ্ট্রের “নতুন সংবিধান” গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত এই “চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র” টি রাষ্ট্রের “সর্বোচ্চ আইন” হিসেবে সবাইকে মানতে হবে। ভারতীয় RODS ও হাসিনার মাফিয়া চক্র থেকে আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশকে রক্ষার্থে এই “চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র” টি আমাদের জনগণের “মহামূল্যবান আমানত” এবং রাষ্ট্রের “প্রধান নির্বাহী” থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ব্যক্তি পর্যন্ত যদি কেউ এই “চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র” টির একটি শব্দেরও বরখেলাপ করে, তাহলে তাকে তৎক্ষণাৎ কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
২। উপরে উল্লেখিত তারিখ সমূহে এবং আমার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে আমি দেশবাসীর নিকট “গণঅভ্যুত্থান” এর খসড়া বহুবার উপস্থাপণ করেছি এবং কারো কোন পয়েন্ট থাকলে তা পাঠাতে বলেছি। অনেকই পয়েন্ট পাঠিয়েছেন। তাছাড়া, যাহারা যোদ্ধা, যোদ্ধা-গ্রুপ অধিনায়ক, দেশমুক্তি বিপ্লব মঞ্চের নির্বাহী পরিষদের নির্বাহী সদস্য, দেশমুক্তি বিপ্লব মঞ্চের নির্বাহী পরিষদের “প্রধান নির্বাহী” ইত্যাদি হতে ইচ্ছুক আমি তাদেরকেও তাদের নাম পাঠাতে অনুরোধ করেছিলাম; এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছিল এবং অনেকেই বিভিন্ন পদের জন্য তাদের নাম পাঠিয়েছেন। তবে, কেউই দেশমুক্তি বিপ্লব মঞ্চের নির্বাহী পরিষদের “প্রধান নির্বাহী” হিসেবে নাম পাঠাননি বিধায় আমিই “প্রধান নির্বাহী” হিসেবে কাজ করবো। তারপরেও যদি এই “প্রধান নির্বাহী” পদের জন্য এখনও কেউ ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করবো।
৩। বাংলার কোটি কোটি নিপীড়িত মানুষের আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আপনাদের স্থানীয়ভাবে সংগঠিত যোদ্ধাদলের নেতার নেতৃত্বে তীব্র গতিতে আক্রমণ করে আপনাদের প্রদত্ত লক্ষবস্তুসমূহ মুহূর্তের মধ্যে দখল করাসহ Mother of Mafias শেখ হাসিনাসহ সমগ্র দেশব্যাপী তাঁর সকল মাফিয়াদের গ্রেফতার করুন, কিন্তু কাহাকেও হত্যা, আহত ও এমনকি মৃদু আঘাতও করা যাবে না, এটা আমাদের কঠোর আদেশ, কেননা বিচার বিভাগ তাদের বিচার করবে, যোদ্ধারা নয়। এয়ারপোর্ট ও সকল সীমান্ত পথ দখল করুন, মাফিয়া গোষ্ঠীর কেউ যেন পালাতে না পারে কেননা তাদের বিচার করা সহ তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে এবং তাদের মধ্যে যাহারা টাকা স্বেচ্ছায় দ্রুত ফেরত দিবে তাদের জন্য বিশেষ ছাঁড় থাকবে।
৪। মনে রাখবেন, Mother of Mafias শেখ হাসিনার সরকার কোন নির্বাচিত বৈধ সরকার নয়, বরং এটা একটা “আঞ্চলিক ভয়ানক কুচক্রী মহল” বা “Regional Organized Demonic Syndicate (RODS)” দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অনির্বাচিত, অবৈধ এবং মাফিয়া সরকার; তাই, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে হাসিনার অনির্বাচিত, অবৈধ ও মাফিয়া সরকারকে পদত্যাগ করানো নয়, বরং উৎখাত করতে হবে, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ হয়না, ওদের সরাসরি উৎখাত করতে হয়। এই RODS ভারতের দিল্লীতে অবস্থিত R & AW (RAW) এর মধ্য হইতে কতিপয় ভয়ংকর স্বার্থান্বেষী দুর্বৃত্ত লোকের সমন্বয়ে এক ভয়ংকর কুচক্রী গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়, যাহারা ১৯৭১ সাল থেকে এই অঞ্চলে শয়তানের অবতার (Avatar) হিসাবে আবির্ভূত হয়। পাকিস্তানের ISI এর মধ্যেও এই একই রকমের RODS আছে বলেই পাকিস্তানও আজ অবধি স্বস্তিতে নেই। এই RODS ভারতেরও বহুত ক্ষতি করেছে এবং এখনও ক্ষতি করছে; RAW এর সাংবিধানিক দ্বায়ীত্বের ঊর্ধ্বে উঠে স্বয়ং RAWকেই RODS এর অধিনস্ত করে ফেলে, যার জন্য RAW এর প্রতিষ্ঠাতা ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী এবং তার ছেলে প্রধানমন্ত্রী শ্রী রাজীব গান্ধী এই দুজনের হত্যাকাণ্ডকে ঠেকাতে পারেনি। বর্তমানে, RODS এর অধিনস্তরা হলো: বিদেশী কতগুলো মাফিয়া গ্যাংসহ বাংলাদেশের Mother of Mafias শেখ হাসিনা, Mafia Don তারিক সিদ্দিক, চোর সেনাপ্রধান আজিজ, শফিউদ্দিন, চোর পুলিশ প্রধান বেনজির, আল-মামুন, DGFI, NSI, SB, CID, BGB প্রধানরা, কতিপয় সচিব, দুদক প্রধান, ঢাকার রাস্তায় বিরোধিতার নাটকে অংশগ্রহণকারী দৃশ্যমান বিরোধী নেতারা প্রমুখ। এই RODS এর কবলে বাংলাদেশ গত ৫২ বছরে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের দেশকে RODS ও হাসিনার মাফিয়া গ্যাং এর কষাঘাত থেকে দ্রুত মুক্ত করে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে। ভারতসহ এই অঞ্চলের সকল দেশকে একযোগে কাজ করে এতদ অঞ্চলের RODSকে চিরতরে উৎখাত করে কূটনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক পন্থায় পারস্পারিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
৫। তাই, আমরা বাংলাদেশ-ভারতের RODS এর সদস্যদের প্রতি আহ্বান করছি যে, আপনারা আপনাদের ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর হীনস্বার্থ ভুলে গিয়ে উভয় দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন। আর কোন হত্যাকাণ্ড বা রক্তপাত যেন না হয়, তা এড়ানোর জন্য এই ঘোষণার সাথে সাথে “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদবর্গের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান রচনার পথ সুগম করুন, নচেৎ আমাদের “গণঅভ্যুত্থান” আমরণ চলবে।
৬। গত ২০২০ সালের ০৬ অক্টোবরে আমার সাথে প্রাক্তন চোর ও সন্ত্রাসী সেনাপ্রধান আজিজের ফোনালাপ ফাঁস হওয়া এবং তখনই শেখ হাসিনাকে দেশ-বিদেশে Mother of Mafias নামে চিহ্নিত হওয়ার পর পরই দেশে “গণঅভ্যুত্থান” হয়ে যাবে বলে আমি আশা করেছিলাম, কিন্তু তা ঘটেনি। তারপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাসমূহ যেমন: US Sanctions ও US Visa Restrictions এলো তারপরও কিছু হল না। এভাবে বিরোধী শক্তিগুলোর “ঢাকার নেতৃবৃন্দ” গত ১৫ বছর যাবত চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই বলে আমি কাকেও দোষারোপ করছিনা, কেননা আমাদের রাজনীতি ঐ RODS দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এজন্য সরকার ও বিরোধী শক্তির সকল উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঐ RODS এর কাছে সেই ১৯৭১ সাল থেকে জিম্মি হয়ে আছে।
৭। আজ আমরা সবাই ষড়যন্ত্রের শিকার এবং এই ষড়যন্ত্রের মূল উৎপাটন করার জন্য আমাদেরকে ঐ ষড়যন্ত্রের কালো দরজাটি চিরতরে বন্ধ করতে হলে আমাদেরকে জনগণের “নতুন সংবিধান” রচনা করতে হবে এবং যদি এই লক্ষ্য অর্জন করতে চান, দেশকে যদি ঐ RODS থেকে মুক্ত করে পূর্ণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনতে চান, তাহলে আজকের এই “গণঅভ্যুত্থান” সফল করা ছাড়া অন্য কোনই বিকল্প নেই; আজকের এই “গণঅভ্যুত্থান” সফল করতেই হবে, সফল করতেই হবে, ইনশা–আল্লা-হু।
৮। সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, দেশে রাজনীতি আজ মৃত, এই মৃত রাজনীতিকে আবার জীবিত করতেই “গণঅভ্যুত্থান” সফল করা এখন জরুরী হয়ে গেছে। তাই, “গণঅভ্যুত্থান” সফল করার জন্য এখন দেশে মাত্র দুটো দল আছে: প্রথম দলটি হলো ভারতীয় RODS নিয়ন্ত্রিত শেখ হাসিনা-তারিক সিদ্দীক মাফিয়া গোষ্ঠী এবং দ্বিত্বীয় দলটিতে যাহারা আছেন তাঁরা হলেন হাসিনার ঐ মাফিয়া গোষ্ঠী ব্যতিত বাংলার প্রায় ১০০% ভাগ জনগণ যেখানে সকল দল, মত, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, নির্বিশেষে সকল সাধারণ জনগণ, যারমধ্যে BNP, বামদলসমুহ, জামাতসহ নিবন্ধকৃত ও অনিবন্ধকৃত রাজনৈতিক দলসমূহের সেই সকল নেতাকর্মীরা, যারা মাফিয়া হাসিনার পতন চান এবং “গণঅভ্যুত্থান” কে সমর্থন করেন।
৯। আর্মি, নেভি, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ইত্যাদি সকল বাহিনীর এবং প্রশাসনের সকল সদস্যদের ৯৯.৯% ভাগ মানুষ আজ আমাদের সমর্থনে আছেন। তবে, তাদের প্রধানরা যেমন অথর্ব সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন, গুম-খুনে সেংশনপ্রাপ্ত (US Sanctioned) পুলিশ প্রধান আল-মামুন প্রমুখেরা যদি “গণঅভ্যুত্থান” সমর্থন করেন তাহলে জনগণ তাদের স্বসন্মানে গ্রহণ করবে, কিন্তু তারা যদি “গণঅভ্যুত্থান” এর বিপক্ষে যাবার চেষ্টা করেন, তাহলে তাদেরই অধীনস্থরা তাদের প্রধানদের গ্রেফতার করবে এবং কঠোর শাস্তি দিবে। তাই, আমি সবাইকে সাবধান করে দিতে চাই যে, “গণঅভ্যুত্থান” এর বিপক্ষে যেই যাবে সেই চরমভাবে পরাজিত ও নির্মূল হবে।
১০। আর্মি, নেভি, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ইত্যাদি সকল বাহিনীর সদস্যদের ৯৯.৯% ভাগ যেহেতু আমাদের সমর্থনে এবং পক্ষে আছেন, সেহেতু হাসিনার আওয়ামী হেলমেট বাহিনী আর্মির, পুলিশের, বিজিবি’র অথবা হেফাজতের পোশাক পড়ে আক্রমণ করতে পারে, সেক্ষেত্রে বিভ্রান্ত না হয়ে ঐ আওয়ামী হেলমেট বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্রুত গতিতে পাল্টা আক্রমণ করে ওদের নির্মূল করতে হবে, যাহাতে কোন ক্রমেই কোন মাফিয়া অপশক্তি আমাদের পরাজিত করতে না পারে। তাই, ভুল বুঝাবুঝি দূর করার জন্য আমাদের “গণঅভ্যুত্থান” এর যোদ্ধাগণ যেন কোন ধর্মীয় পোশাক বা আর্মি, পুলিশ বা কোন ইউনিফরম যেমন: পায়জামা-পাঞ্জাবী, টুপি, ধূতি, পাগড়ি, কমব্যাট, খাকী ইত্যাদি পরিধান না করেন। বাংলার কৃষক-শ্রমিকের পোশাক যেমন, লুঙ্গী, জামা, মাথায় গামছা বাঁধা ইত্যাদি আমাদের শ্রেষ্ঠ পোশাক, যা আমাদের বেশীরভাগ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ১৯৭১ এর যুদ্ধে পরিধান করেছিলেন।
১১। আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, আমাদের “গণঅভ্যুত্থান” এক ঘণ্টার মধ্যেই সফল হবে; তবে, যত বাঁধাই আসুক “গণঅভ্যুত্থান” সফল করতে যত ঘণ্টা বা যত দিনই লাগুক না কেন আমাদেরকে বিজয় ছিনিয়ে আনতেই হবে, তা না হলে আমাদের প্রিয় দেশটি ঐ RODS এর হাতে স্থায়ীভাবে চলে যাবে এবং বাংলাদেশের নামটি বিশ্ব মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে যাবে। আজ থেকে যেকোন দলের কোন সমাবেশ হলে সেই সমাবেশকে “গণঅভ্যুত্থান” এর সমাবেশ বলে বিবেচনা করা হবে এবং “গণঅভ্যুত্থান” সফল না হওয়া পর্যন্ত কেউ মাঠ ছাড়বেন না। প্রয়োজনে আমিও তখন “গণঅভ্যুত্থান” এর “মৌখিক চূড়ান্ত ঘোষণা” দিয়ে দিবো।
১২। আমরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারবিহীন “গণঅভ্যুত্থান” সফল করবো। আমাদের উপর আক্রমণ আসলে, আমরা তা বুকের রক্ত দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করবো এবং আমরা জয়ী হবোই হবো, ইনশা—আল্লা-হু। তবে, খেয়াল রাখতে হবে যেন আওয়ামী হেলমেট বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আমাদের “গণঅভ্যুত্থান” এর যোদ্ধাদের উপর ‘দেশদ্রোহিতার’ দোষ চাপিয়ে বিশ্ব দরবারে অভিযোগ করতে না পারে। অবশ্য আমাদের “গণঅভ্যুত্থান” এবং “গণঅভ্যুত্থান” এর যোদ্ধারাই সম্পূর্ণ বৈধ, বরং Mother of Mafias শেখ হাসিনা অবৈধ এবং তার সরকারও সম্পূর্ণ অবৈধ সরকার, কারণ তার সরকার ‘দেশদ্রোহিতার’ মাধ্যমে অর্থাৎ জনগণের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে অত্যন্ত জঘন্য ও নিষ্ঠুর একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে দেশকে একটি “ব্যর্থ রাষ্ট্রের” দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
১৩। আমাদের ভীষণভাবে নজর রাখতে হবে যে, আমাদের কেউ যেন কোন লুটপাটে না জড়ায়; কেননা, লুটপাট করলে বা অন্য কাউকে বা আওয়ামী হেলমেট বাহিনীকে লুটপাট করতে বাঁধা না দিলে জনগণ আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। মনে রাখবেন, এই “গণঅভ্যুত্থান” হলো জনগণের এবং এই গণঅভ্যুত্থানের সময় জনগণই আমাদের অতীব সন্মানের সাথে খাবার, চিকিৎসা, বাথরুম বা ওয়াশরুম ব্যবহার ইত্যাদির সকল ব্যবস্থা করবেন এবং তার সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে দিবেন ইনশা–আল্লা-হু।
১৪। আমি যেদিন “গণঅভ্যুত্থান” এর জন্য “মৌখিক ঘোষণা” দিবো সেই দিনের সেই মুহূর্ত থেকে “গণঅভ্যুত্থান” সফল না হওয়া পর্যন্ত সকল অফিস, আদালত, সচিবালয়, ব্যাংক, সড়কপথ, রেলপথ, জলপথ ও বিমান চলাচলসহ সকল পরিবহণ ব্যবস্থা ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। তবে হাসপাতাল সমূহ ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস খোলা থাকবে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাগণ কড়া নজর রাখবেন ও প্রত্যেকটি এ্যাম্বুলেন্স তল্লাশি করবেন যাহাতে আওয়ামী হেলমেট বাহিনী এ্যাম্বুলেন্স এ করে অস্ত্র-গোলাবারুদ বহন করে কোন নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
১৫। সকল রাজনৈতিক মামলা ঐ “মৌখিক ঘোষণা” দেয়ার মুহূর্ত থেকে বাতিল হয়ে যাবে, সকল রাজনৈতিক বন্দীদের তখনই মুক্ত করতে হবে এবং রাজনৈতিক মামলায় অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি সেদিন থেকে আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন না। তবে, শুধু রাজবন্দীদের মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট আদালত সমূহ নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে স্বল্প সময়ের জন্য খোলা যেতে পারে।
১৬। আমরা আরও ঘোষণা দিচ্ছি যে, “গণঅভ্যুত্থান” সফল না হওয়া পর্যন্ত ঐ “মৌখিক ঘোষণা” দেয়ার মুহূর্ত থেকে কেউ কোন কর বা আয়কর দিবেন না এবং প্রবাসী ভাইয়েরাও ঐ মুহূর্ত থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা দয়া করে যেন না পাঠান, এ জন্য দেশের সংশ্লিষ্ট ভাইবোনদের কিছু সময় বা কয়েক দিনের জন্য কষ্ট সহ্য করতে সবিনয় অনূরোধ করছি।
“দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদের ওয়াদাসমুহঃ
(১) “গণঅভ্যুত্থান” সফল হওয়ার সাথে সাথে “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদবর্গের নাম লিখিত আকারে ঘোষণা করা হবে, তার মধ্যে “গণঅভ্যুত্থান” এর যোদ্ধাদলের কমান্ডারগণ অগ্রাধিকার পাবেন এবং পরবর্তিতে আরও নাম সংযুক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে, যাহারা নিজেদের যোগ্য মনে করেন, তাদের নাম নিম্নে (Footer) এ দৃশ্যমান Email এ অথবা WhatsApp নাম্বারে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছি; সবার নাম “গণঅভ্যুত্থান” সফল না হওয়া পর্যন্ত গোপণ রাখা হবে।
(২) ঐ “মৌখিক ঘোষণা” দেয়ার মুহূর্ত থেকে বর্তমান তথাকথিত সংবিধান, চলমান অবৈধ সরকার ও অবৈধ সংসদ রহিত এবং বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
(৩) জনগণের গণভোটের মাধ্যমে যত শীঘ্র সম্ভব নতুন সংবিধান অনুমোদিত হবে; তবে, স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক গণভোট নিশ্চিত করার জন্য সফল “গণঅভ্যুত্থান” এর পরপর “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদবর্গের মাধ্যমে সর্বপ্রথমেই নির্বাচন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করা হবে। গণভোটের মাধ্যমে জনগণ দ্বারা অতি শীঘ্রই নতুন সংবিধান অনুমোদিত হবে এবং সেই নতুন সংবিধানই হবে রাষ্ট্রের নেতা এবং সর্বময় ক্ষমতার ও সকল দ্বায়ীত্বের অধিকারী এবং নতুন সংবিধান অনুমোদিত হওয়ার পর নতুন সংবিধানের অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করে নতুন নির্বাচিত সরকারের নিকট রাষ্ট্রীয় দ্বায়ীত্ব হস্তান্তর করার আগ পর্যন্ত “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদবর্গকে রাষ্ট্রের সর্বময় দ্বায়ীত্বের অধিকারী হিসেবে গণ্য করতে হবে; এই পর্ষদের একজন প্রধান নির্বাহী এবং প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবেন, পর্ষদের বাকী সবাই প্রদত্ত দায়িত্ব অনুযায়ী সমন্বয়ক ও নির্বাহী হিসেবে কাজ করবেন।
(৪) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বা অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে “নতুন সংবিধান” গণভোটের মাধ্যমে জনগণ দ্বারা অনুমোদিত হবে এবং সেই অনুযায়ী বিচার, আইনসভা, প্রশাসনিক, নির্বাচনী, বৈদেশিক নীতিমালা, সামরিক, আধা-সামরিক, শ্রমিক অধিকার ইত্যাদি সম্পর্কিত সকল ব্যবস্থাসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে হবে।
(৫) নতুন সংবিধান ও সংস্কার প্রক্রিয়া চলাকালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব “গণঅভ্যুত্থান” এর প্রত্যেক (আল্লাহ না করুন) শহীদ (মৃত) যোদ্ধাকে এক কোটি টাকা করে দিতে হবে ও সকল আহতদের সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করতে হবে এবং সকল শহীদ, আহত ও জীবিত যোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সন্মাণে ভূষিত করতে হবে।
(৬) উপ-অনুচ্ছেদ-(৫) নিশ্চিত করাসহ সকল শহীদ, আহত ও জীবিত যোদ্ধাদের সংস্লিস্ট সকল পরিবারদেরকেও পুনর্বাসিত করতে হবে এবং আমরণ অতীব স্বাচ্ছন্দ্যে ও সর্বোচ্চ সন্মাণের সাথে বেঁচে থাকার সকল খরচসহ সকল ব্যবস্থা “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক এবং পরবর্তী নির্বাচিত সকল সরকার কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে।
(৭) নির্বাচিত সরকারের কাছে দ্বায়ীত্ব হস্তান্তর করার পরই “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং এর শীর্ষ নির্বাহীগণ ভবিষ্যতে কোন সংসদ সদস্য, মন্ত্রী বা কোন দলীয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। তবে, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বাহিরে ঐ শীর্ষ নির্বাহীগণ নতুন সংবিধানের অতন্দ্র প্রহরী (Watchdog) হিসেবে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেন।
(৮) অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি দ্রুত ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং যেসকল চৌকশ ও সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে মাফিয়া সরকার তাদের কূকর্ম চরিতার্থ করতে বাধ্য করেছে, তাদেরকে প্রমাণসাপেক্ষে ক্ষমা করা হবে: অবশ্য তারা যদি চাকুরিতে থাকা অবস্থায় “গণঅভ্যুত্থান” এ যোগদান করেন, সেটাই হবে তাদের সততার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ও শ্রেষ্ঠ পুরুষ্কার প্রাপ্তির সোপান।
(৯) “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক রাষ্ট্র পরিচালনাকালীণ এবং নতুন সংবিধান রচনাকালীন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের ব্যক্তিসহ যেমন: “প্রধান নির্বাহী”, “প্রধান বিচারপতি” প্রমুখসহ রাষ্ট্রের যেকেউ যেকোন দুর্নীতি করলে তাকে তৎক্ষণাৎ কঠোর শাস্তিভোগ করতে হবে। দুর্নীতির বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে কোন বিলম্ব সহ্য করা হবে না; সর্বোচ্চ সময় তিন (০৩) মাস।
(১০) যদি “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদ উপরোক্ত উপ-অনুচ্ছেদ-(১) হতে উপ-অনুচ্ছেদ-(১০) এ বর্ণিত ওয়াদাসমূহের কোনরূপ বরখেলাপ করেন বা যুক্তিযুক্ত কোন কারণ ব্যতিত কোন শর্ত যথাযথ পালন না করেন, অথবা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতঃ ক্ষমতা অযথা দীর্ঘায়িত করার পায়তারা করেন, তাহলে “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নিতে পারবেন বা এই “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদকে পাল্টা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করার সকল বৈধ ক্ষমতা জনগণকে দেয়া হলো, কেননা এই ঘোষণা পত্রটি “গণঅভ্যুত্থান” সফল হওয়ার পর পরই আইনে পরিণত হবে এবং নতুন সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত এই ঘোষণাপত্রের আইনের ভিত্তিতে, রাষ্ট্রে চলমান আইন-বিধি-বিধান দ্বারা এবং সর্বোপরি “দেশমুক্তি বিপ্লব” এর নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক প্রতিনিয়ত প্রদত্ত প্রজ্ঞাপন, আদেশ-অনুদেশ, নির্দেশনা, সংশোধন ইত্যাদির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। এই ঘোষণা পত্রটি ইংরেজী ভাষায়ও প্রকাশিত হয়েছে; তবে, বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাবে। আমীন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি