পতিতা বা বেশ্যা কোনোভাবেই বলা যাবে না। লিঙ্গবৈষম্য রুখতে সুপ্রিম কোর্টের নতুন নিয়ম চালু। এবং প্রকাশিত হয়েছে নতুন হ্যান্ডবুক। বলা হয়েছে মহিলাদের ক্ষেত্রে পতিতা, সতী এই ধরনের অসম্মানজনক শব্দ আদালতে ব্যবহার করা যাবে না। বলা যাবে না বেশ্যা। এর পরিবর্তে অন্যভাবে শব্দ ব্যবহার করতে হবে। এবং এটি খুব ভালো হয়েছে– মত বিশ্লেষকদের। এমন আরও অনেক শব্দ আছে যেগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বুধবার ‘হ্যান্ডবুক অন কমবাটিং জেন্ডার স্টিরিওটাইপস’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন।
সেখানে ৪৩টি শব্দের তালিকা দিয়ে বলা হয়েছে, বিচারপতিরা যেন রায়ে কোনওভাবেই এই শব্দগুলি ব্যবহার না করেন।
এবং মামলার শুনানি চলাকালে বিচারপতি, আইনজীবী ও মামলার পক্ষের লোকজনেরাও যেন শব্দগুলি না বলেন।
লিঙ্গবৈষম্যমূলক কোনো অপশব্দ ব্যবহার করা যাবে না। তেমন শব্দগুলো বাদ দিয়ে রায় লেখা এবং আদালতের সমস্ত কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
ঐ হ্যান্ডবুকে ৪৩টি শব্দের বিকল্প শব্দও যুক্ত করা হয়েছে।
স্লাট, বা বেশ্যা বা পতিতা শব্দটি ব্যবহার করা যাবে না। লিখতে হবে বা বলতে হবে সেক্স ওয়াকার্স বা যৌনকর্মী।
‘অ্যাফেয়ার’ শব্দটিও লেখা বা বলা যাবে না। এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ‘রিলেশনশিপ আউটসাইড অফ ম্যারেজ’।
ইভটিজিং শব্দে নিষেধাজ্ঞা আছে। এর পরিবর্তে লিখতে হবে স্ট্রিট সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট বা পথে যৌন হেনস্থা।
আনওয়েড মাদার বা অবিবাহিত মা কথাটি লেখা যাবে না। শুধু মা কথাটি ব্যবহার করতে হবে।
জারজ সন্তান বলা যাবে না। এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ‘অ-বৈবাহিক সন্তান বা, একটি শিশু যার পিতামাতা বিবাহিত নয়।
হাউস ওয়াইফ বা গৃহবধূ শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। গৃহিণী শব্দটি ব্যবহার করতে হবে।