পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও। রাজ্যে বর্তমানে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬১ শতাংশ। ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৮,৬৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যাটা ৩৯০ জন। অন্যদিকে, এই সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৩ জন। যা নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪,৩৫৮ জন।
এখনও পর্যন্ত সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,১০২ জন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে দ্রুত হারে। পাশাপাশি, সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। এই গতি দেশের অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এর থেকেই সরকার মনে করছে রাজ্যে করোনার আক্রমণ কিছুটা শ্লথ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুনভাবে মারা গিয়েছেন ১৪ জন। এই নিয়ে মোট ৫৭০ জন্য করোনায় মারা গিয়েছেন গোটা রাজ্যে।
পাশাপাশি, রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে বর্তমানে দৈনিক ১০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজ্য মোট নমুনা পরীক্ষা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ১১ হাজারের মতো। জেলাওয়াড়ি যে হিসেব দেখা যাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের প্রার্দুভাব অনেকটাই কমেছে। কলকাতায় বহুদিন পরে আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে একশোর নিচে।
সোমবার কলকাতায় মোট ৮১ জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে মোট ৪,৭৩৫ জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২,৪০০ জন। মারা গিয়েছেন ৩৩৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৭ জন।
এর পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়ায় ৬০ জন, উত্তর ২৪ পরগণায় ৫৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৫২ জন, মালদায় ৪৬ জন, দার্জিলিং-এ ৩৩ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৯ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৭ জন, হুগলিতে ১৫ জন ও মুর্শিদাবাদে ১০ জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এদিন উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ২০০০-এর গণ্ডি। এই জেলায় মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ২,০৪৬। হাওড়াতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৪৫ জন।
এদিন উত্তর ২৪ পরগণা ও হাওড়ায় ৩ জন করে ও হুগলিতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে প্রথম জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ ও দ্বিতীয় জেলায় দাঁড়িয়েছে ৭৯ জন। এছাড়া হুগলিতে ২০ ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ২১ জন মারা গিয়েছেন বলেই সরকারি তথ্য বলছে।