- দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রিপোর্টে যা বলল ইউরোপীয় ইউনিয়ন
লণ্ডন, ১২ মার্চ: শ্রম অধিকার চর্চা, শ্রমিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধসহ শ্রম আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থার (আইএলও) চলতি অধিবেশনে পশ্চিমাদের চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলওর ৩৫০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়। আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইএলওর পথনকশা অনুযায়ী সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা উপস্থাপন করেন। পরে বিভিন্ন দেশ, জোট, সংগঠন ও আইএলওর পরিচালনা পরিষদের সদস্যসহ ২৪ জন বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বেশ সমালোচনা করে। আইএলওর পরিচালনা পরিষদে মালিকদের প্রতিনিধি বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতির তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি এখন পর্যন্ত নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া ভারত, চীন, সৌদি আরব, ইরানসহ অনেক দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তারা আইএলওর ২৬ ধারা অনুযায়ী ৮১, ৮৭ ও ৯৮ সনদ অনুসরণ না করায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করেন।
আলোচনার শুরুতে আইএলওর পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রিচার্ড এ আদেজোলা গত ২৯ জানুয়ারি আইএলওর কাছে উত্থাপিত প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে আইএলওর কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধনসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে জোরালো অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে। শ্রম আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সরকার ও অংশীজনের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা এগিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে আইএলওর কারিগরি সহায়তা এবং মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এর পর আইএলওর পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশের আইনমন্ত্রীকে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান। আইনমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় লিখিত প্রতিবেদনের ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা তুলে ধরেন। এর পর জাতীয় নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন শ্রম আইনের সংশোধন করা গেল না, তা ব্যাখ্যা করেন। সংসদের আগামী অধিবেশনে তিনি শ্রম আইন সংশোধনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এ সময় জানান, শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম হত্যার চার্জশিট প্রস্তুত, দ্রুতই সম্পন্ন হবে বিচারকাজ। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রশ্নোত্তর পর্বে পশ্চিমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর বাংলাদেশ উল্লিখিত সনদ মানছে না বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের পরিচালক জেফরি ভগ্ট বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নে যুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা নেই। দরকষাকষিতে যুক্ত থাকার হার খুবই কম। শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছেন। নারী কর্মীরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশের শ্রম আইনে যে সংস্কার হয়েছে, তা একেবারেই ন্যূনতম। বিশেষ করে শ্রম অধিকার চর্চার ন্যূনতম শর্ত পথনকশা অনুযায়ী পূরণে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। আইএলওর পরিচালনা পরিষদে মালিকদের প্রতিনিধি জার্মানির রেনাটে ড্রাইস বলেন, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ দ্রুত পথনকশা অনুযায়ী সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, পরবর্তী সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশ যাতে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারে।
ইইউর প্রতিনিধি লিজিন ইলিইস বলেন, যে সংস্কার বাংলাদেশে হয়েছে, তা আংশিক, বিষয়টি উদ্বেগের। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, বাংলাদেশের নতুন সরকার সব অংশীজনকে নিয়ে দ্রুত শ্রম অধিকার নিশ্চিতের বিষয়গুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনবে। ২০২৩ সালে শ্রমিকরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেগুলোর দ্রুত তদন্ত করে সুরাহা করতে হবে। রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (ইপিজেড) সব শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে সংগঠনের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সারাহ মরগ্যান বলেন, আইএলওর ৮১, ৮৭ ও ৯৮ নম্বর সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ শ্রম আইন ও ইপিজেড আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন-বিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে সরকার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, সেগুলোকে সাধুবাদ জানাই। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমিক নেতা শহীদুল হত্যার বিচার না হওয়ার পাশাপাশি জগদীশ বাবুসহ আরও বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতার নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিষয়গুলো অত্যন্ত উদ্বেগের। আমরা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আনা ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।
সংসদ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল। ৩১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জোটের মতামতের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পরিবর্তনে ২১টি সুপারিশও করেছে ইইউর ইলেকশন অবজারভেশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি সাপোর্ট (ইওডিএস)।
ইওডিএসের ওয়েবসাইটে ‘বাংলাদেশ ২০২৪, ফাইনাল রিপোর্ট’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ইইউর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের অনুষ্ঠিত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ছিল না। একদিকে যেমন নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিল না, অন্যদিকে আন্দোলন করার অবাধ সুযোগও সীমিত করা হয়েছিল।
গণগ্রেপ্তারের কারণে বিরোধী দল আদালত পাড়ায় ব্যস্ত ছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর আসন ভাগাভাগি চুক্তি এবং আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রার্থী ও দলের সঙ্গে যুক্ত ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের’ মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে ভোটারদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ারও সুযোগ ছিল না এ নির্বাচনে। যথেষ্ট সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স চুরির অভিযোগও মিলেছে; একই সঙ্গে পাওয়া গেছে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার খবরও।
নির্বাচন নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ইইউ প্রাক-নির্বাচনি মিশন বাংলাদেশ সফরে এসে সার্বিক পরিবেশ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে। তবে নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই ইইউ জানায় তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করতে আসছে না। শেষ পর্যন্ত ঢাকায় চার সদস্যের ইইউ কারিগরি দল পাঠানো হয়। নির্বাচনের আগে থেকে নির্বাচনের পর পর্যন্ত প্রায় দুই মাস বাংলাদেশে অবস্থান করে প্রতিনিধি দলটি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দুমাস পর নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলো ২৭ দেশের এই জোট।
ইইউর প্রতিবেদনে ইইউ কারিগরি মিশন সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের জন্য মোট ২১টি পরামর্শ দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচন কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার যার মধ্যে সমাবেশ, সমিতি, আন্দোলন, এবং বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত- এগুলো প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য হলেও বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে তা সীমাবদ্ধ ছিল। বিচারিক কার্যক্রম এবং গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা মারাত্মকভাবে সীমিত হয়ে পড়ে।
ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি উল্লেখ এতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর আসন ভাগাভাগি চুক্তি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রার্থী ও দলের ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের’ মধ্যে প্রতিযোগিতা ভোটারদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়নি। গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতের অনুকূল পরিবেশ ছিল না, এমনকি সমালোচনামূলক বক্তব্য ও স্বচ্ছতার বিষয়টিও সীমিত ছিল।
এতে আরও বলা হয়, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন ছিল একটি অত্যন্ত মেরুকৃত রাজনৈতিক পরিবেশে পরিচালিত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও তার শরিকরা নির্বাচন বয়কট করায় আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব ছিল। বিরোধীরা সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন পরিচালনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছিলো, যা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে বিরোধী দলের ধারাবাহিক বিক্ষোভ ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর গুরুতর রূপ নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতাদের গণগ্রেপ্তারের ফলে দেশের নাগরিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়। নির্বাচনকালীন সময়ে বিরোধী দলগুলোর সমাবেশ, সমিতি, আন্দোলন এবং বক্তৃতার স্বাধীনতা কঠোরভাবে সীমিত করা হয়। বিএনপির প্রায় সব সিনিয়র নেতাকে কারাবন্দি করায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা বিএনপির পক্ষে অসম্ভব ছিল- এ কথাও উল্লেখ করা হয়। নির্বাচনের দিন অনিয়ম ও বিচ্ছিন্ন সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাধারণভাবে সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নির্বাচনের দিন ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং জালিয়াতির প্রচেষ্টাসহ নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীরা ভোটে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটির তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলা করা হয়েছিল। ২৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। তবে অন্যান্য ঘটনার যথেষ্ট তদন্ত করা হয়নি।
নির্বাচনে ভোটের হারকে ব্যাপক বৈষম্যের চিত্র উল্লেখ করে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটের হার ছিল ৪১.৮ শতাংশ। এটাই সারা দেশে ব্যাপক বৈষম্যের চিত্র প্রদর্শন করে। চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিক ফলাফল অনুযায়ী- আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল প্রার্থীরা ২২৩টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি ও জাতীয় পার্টি পায় ১১টি আসন। আসন ভাগাভাগির চুক্তিতে আরও দুটি দল একটি করে আসন পেয়েছে। কল্যাণ পার্টি জিতেছে একটিতে।
প্রতিবেদনে প্রকাশিত কয়েকটি সুপারিশ:-গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ সহ সংসদীয় সম্পর্কিত সমস্ত আইন, প্রবিধান এবং বিধিগুলোর একটি ব্যাপক পর্যালোচনা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আইনি নিশ্চয়তা বাড়াতে পারে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার বোর্ড নিয়োগের ব্যবস্থা যোগ্যতাভিত্তিক ও স্বাধীন নিয়োগের মাধ্যমে হওয়া উচিত। যা জনস্বার্থে কাজ করার লক্ষ্যে কমিশনের হাত শক্তিশালী করবে। সর্বোত্তম অনুশীলনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ একটি স্বাধীন প্যানেল বিষয়টি তত্ত্বাবধান করতে পারে। বাকস্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিধান মেনে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০২৩-এর বিধানগুলির পর্যালোচনা করতে হবে। অস্পষ্ট এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিধিনিষেধগুলি সরানো যেতে পারে। সুশীল সমাজ যাতে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশি অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) আইনের বিধান, ২০১৬ এর সীমাসহ সুশীল সমাজের কার্যক্রম এবং অতিমাত্রায় এর ওপর আমলাতান্ত্রিক নিবন্ধনের বিষয়টি পর্যালোচনা করা যেতে পারে। ভোট ও গণনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। তার জন্য ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমের উপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।