তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়াঃ দেশ, রাজ্য ও জেলার অন্যান্য অংশের সঙ্গে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুর-এলাকাতেও করোনা সংক্রমণের হার উর্দ্ধমুখী। এই অবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে বিষ্ণুপুর শহরে সম্পূর্ণ ‘লক ডাউন’ ঘোষণার দাবি জানালেন সদ্য প্রাক্তন পৌরপ্রধান, বর্তমানে প্রশাসক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য কো-অর্ডিনেটররা। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্তের কাছে গিয়ে তারা এই দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে শহরের গোপালগঞ্জের এক যৌন কর্মী ও মুটুককঞ্জের বাসিন্দা, পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জনই ওন্দা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরপরই রবিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগামী সাত দিনের জন্য পুরসভার সমস্ত ধরণের কাজ কর্ম বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে পুর কর্তৃপক্ষ।
এই পরিস্থিতিতে শহর জুড়ে আগামী দশ দিন ‘লক ডাউন’ ঘোষণার দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই অনেকে মনে করছেন। বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মহকুমাশাসকের দফতর থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, এই মুহূর্তে শহরের মানুষ যথেষ্ট আতঙ্ক আছেন।
সবাই চাইছেন শহরে লক ডাউন জারি হোক। সেবিষয়েই মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা হলো। পরবর্তী সিদ্ধান্ত টাস্ক ফোর্সের সভায় হবে বলে তিনি জানান। মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, গত কয়েক দিনে শহরে দু’জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। মানুষ আতঙ্কে আছেন।
পৌর প্রশাসক সহ কয়েকজন বিদায়ী কাউন্সিলর লক ডাউন ঘোষণার দাবী নিয়ে এসেছিলেন। আজ পৌরসভার টাস্ক ফোর্সের সভা আছে। সেখানে সিদ্ধান্ত করে বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হবে। জেলাশাসকের তরফে যেমন নির্দেশ পাওয়া যাবে তেমনি কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে, বাংলা জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে স্বস্তির খবর, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় কিছুটা হলেও কমেছে করোনায় সংক্রমণের হার।