- রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে বসে পারিবারিক কুৎসা।
- খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আর মৃত্যু নিয়ে তাচ্ছিল্য।
- প্রধানমন্ত্রীর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড়।
বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অনৈতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়শই বলেন, তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না, তাঁর কোন চাওয়া পাওয়া নাই। এই কথাগুলো যে কত বড় মিথ্যা ও ধোকা তা তিনি নিজেই আবারও প্রমাণ করলেন।
গত সোমবার বিকেল চারটায় ওয়েস্টমিনস্টারের মেথডিস্ট সেন্ট্রাল হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনা সভায় তিনি খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি প্রসঙ্গে বলেন, আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই তো এই ক্যান্টনমেন্ট। আমি এই ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা…। সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যেদিন সুযোগ পাবো এই ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে দেবো, বের করে দিছি। তিনি আরও বলেন, আমি শুধু বললাম আজকে আমাকে ঢুকতে দাও না, যখন জিয়াউর রহমান ঘরে তুলতে চায়নি প্রতিদিন তো আমাদের বাসায় যেয়ে কান্নাকাটি করতা। আমার বাবার বদৌলতে তুমি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে পেরেছো। না হলে বহু আগেই জিয়া ছেড়ে দিয়েছিল। জিয়ার আবার নতুন গার্লফ্রেন্ডও ছিল। তাকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তার সংসারটা রক্ষা করে দিয়েছিলো আমার বাবা। আমাদের বাসায় গিয়ে তো মোড়া পেতে বসে থাকতো। সেখানে আমাকে ঢুকতে না দিয়ে কতোবড় অপমান করেছো। আমি কিচ্ছু বলি নাই। আমার বলার কিছু নাই। ক্যান্টনমেন্টে আমি ঢুকবো, সেসময় কয়েকজনকে আহত করা হয়েছে। আমাকে ঢুকতে দেবে না। গেটে আটকালো। তখন আমি প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা। আমার পতাকাবাহী গাড়ি আটকালো। আমি ওখান থেকে নামলাম, নেমেই হাঁটা শুরু করলাম। আমি যখন হাঁটতে শুরু করেছি তখন অনেক লোক জমা হয়ে গেছে। চার কিলোমিটার হেঁটে আমি সিএমএইচ’এ গেলাম। সিএমএইচ’র গেট বন্ধ আমাকে ঢুকতে দেবে না। আমাকে ঢুকতে দেয়নি। ক্যান্টনমেন্টের রাস্তায় হাঁটলাম কেন! আামার সঙ্গে যারা ছিলো সবার বিরুদ্ধে মামলা দিলো। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই না এই ক্যান্টনমেন্ট, আর মেজর জিয়া। আরে এই মেজর পদন্নতিটা তো আমার বাপেরই দেয়া ছিল। আর আমি ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা…। সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ওই ক্যান্টনমেন্টে আর বসবাস করা লাগবে না। যেদিন সুযোগ পাবো বের করে দেবো। বের করে দিছি।
এছাড়া খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায় বলতে পারেন? কোনো দেশে পাঠায়? তারা এটা দাবি করে। আমাদের কেউ কেউ আতেল আছে। তারা বলে, একটু কি সহানুভূতি দেখাতে পারেন না! সে এভারকেয়ার, বাংলাদেশের সবথেকে দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়সতো ৮০’র উপরে । …সময় হয়ে গেছে। তার মধ্যে অসুস্থ। এখানে এতো কান্নাকাটি করে লাভ নাই। সরকার প্রধান হিসেবে নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে এতিমদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় কারাদন্ড স্থগিত করার পর তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই। আমি আইন অনুযায়ী যা করতে পারি তাই করেছি। অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি। তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরো সহানুভূতি আশা করে। বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে হলে আগে তাকে কারাগারে যেতে হবে। সেখান থেকে আদালতে আবেদন করতে হবে। তারপর আদালত সিদ্ধান্ত দেবে। এটাকে ইস্যু করে আন্দোলন করা কেন। আজকে অন্যকোনো প্রধানমন্ত্রী হলে কী করতো? কী করতো আপনারা চিন্তা করেন।
শাহদীন মালিকসহ দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান আইনি কাঠামোর ভেতরে থেকেই বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পারেন যদি তিনি সদিচ্ছা করেন। অথচ তিনি উল্টো কথা বলছেন। শেখ হাসিনার কথাই প্রমাণ করে তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন। তিনি সব সময়ই শালীনতার সকল সীমা লঙ্ঘন করে চলেন এবং বলেন। তিনি শুধু প্রতিহিংসার রাজনীতিই করেন না, তিনি ঘৃণার চর্চা করেন এবং এই হিংসা, বিদ্বেষ, ক্ষোভ, ঘৃণা সারাদেশে তিনি ছড়িয়ে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওয়েস্টমিনস্টারের মেথডিস্ট সেন্ট্রাল হল এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশপাশে অর্ধশতাধিক পুলিশ ভ্যান ও কয়েকশত পুলিশ সদস্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কাজ করেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড়
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বেশ কয়েক বছর ধরেই লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তাঁর পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর বলেই জানা যাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে উন্নত দেশে উপযুক্ত চিকিৎসা অনেক দিন ধরেই অনিবার্য হয়ে পড়েছে। দেশে সে-সব চিকিৎসা সুবিধা নেই। ফলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে চাইছে তাঁর পরিবার। কিন্তু চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যাবে না বলে গত ১ অক্টোবর জানিয়ে দিয়েছেন আইন মন্ত্রানালয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয় থেকে পাঠানো প্রস্তাবের বিষয়ে আইন মন্ত্রানালয় এই মতামত দিয়েছে। আর এর মাঝে লণ্ডনে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় বইছে।
দেশ-বিদেশের লোকজন বলছেন, একজন প্রধানমন্ত্রী’র মুখের ভাষা এ ধরণের হতে পারেনা। একজন মানুষ কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে এমন কথা বার্তা বলতে পারে, ভাবা যায় না। কোন প্রকাশ্য সভায় কোন ব্যক্তি যে এমন অশ্রাব্য, এমন কুশ্রী, এমন ইতর ভাষায় বক্তব্য দিতে পারে এটা আমাদের ধারনাতেও ছিল না। কেউ বলছেন,বেগম খালেদা জিয়ার আশি বছর বয়স হয়ে গেছে তাই আর বেঁচে থাকার দরকার কি? তা খুকী হাসিনা, আপনার বয়স কত হয়েছে? এই না দুদিন আগে ৭৭তম জন্মদিন পালন করলেন। তাহলে ৭৭ আর ৮০’র মধ্যে পার্থক্য কত? নাকি অশিক্ষিত, আধা গুন্ডা, পিতার মূর্খ, দুর্বিনীত কন্যা এই অংকটাও করতে জানেন না? আবার কেউ বলছেন, এমন রুচিহীন অশ্লীল বক্তব্য আমাদের জীবনে শুনি নাই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশিরা লিখেছেন, খুবই কুৎসিত, বিকৃত, ধিক্কার জানাই। ডিজিটাল বেহায়াদের কবলে প্রিয় দেশ। মুখের ভাষা শুনে সহজেই অনুমান করা যায় তিনি কোন পরিবারে জন্মগ্রহন করেছেন। এমন ধিকৃত কথন ও বিকৃত রুচির কেউ দীর্ঘকাল মাথার ওপর বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছে আর আমাদেরকে তা’ সইতে হচ্ছে। এটাই আমাদের জন্য এক বিরাট শাস্তি! কেউ লিখেছেন, রং হেডেড, ভারডিক্ট বাই সর্বোচ্চ আদালত। জাতির জন্য অভিশাপ। এদের মতো নির্লজ্জ লোকেরা কিভাবে এতদিন ক্ষমতায় টিকে আছে এটি একটা আশ্চর্যের বিষয়। এত জনসমর্থন থাকার পরেও বিরোধী দল কিছুই করতে পারছে না। আমরাও এসব উদ্ভট বেসামাল কথাবার্তা শুনতে শুনতে নিজেরাই বেসামাল ও অসুস্থ জাতিতে পরিনত হয়েছি! আবার কেউ লিখেছেন, আমাদের পাপের কারণে এরকম একজন প্রধান মন্ত্রী আমারা পেয়েছি। আমাদের দূর্ভাগ্য যে উনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। এভাবে হাজার হাজার কমেন্টে সোশ্যাল মিডিয়া সয়লাব হয়ে গেছে।
বিএনপি মহাসচিবের তীব্র প্রতিক্রিয়া
‘রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়স আশির উপরে, সময় হয়ে গেছে, এত কান্নাকাটি করে লাভ নাই। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যেদিন সুযোগ পাব, ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে দেবো। বের করে দিছি।’প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কতটা অমানবিক হলে এ ধরনের কথা তিনি বলতে পারেন। লন্ডনে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এত অশালীন, কুরুচিপূর্ণ, দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর মতো দায়িত্বশীল জায়গা থেকে দিতে পারেন না। সেটা আমরা ভাবতে পারি না। তার বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে এ দেশের মালিক একজন। এ দেশে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ নেই। বিচার বিভাগ তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি আইন-আদালতের তোয়াক্কা করেন না। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যে কথা তিনি বলেছেন তাতে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ফুটে উঠেছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার পরিণতি কখনো ভালো হয় না। বাংলাদেশ সরকার আইনের দোহাই দিয়ে চিকিৎসা থেকে খালেদা জিয়াকে বঞ্চিত রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ভীষণ অসুস্থ এবং দেশে চিকিৎসা অসম্ভব হওয়া সত্ত্বেও সিনিয়র সিটিজেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেওয়া শুধু অমানবিক নয়, সংবিধান লঙ্ঘন এবং বেআইনিও। যত দ্রুত সম্ভব দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে একজন নাগরিক হিসাবে তাকে সুচিকিৎসা পাওয়ার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হোক। অন্যথায় একজন গুরুত্বপূর্ণ, জনপ্রিয় প্রবীণ নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার না দিয়ে তার প্রতি বেআইনি, অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করার জন্য সরকারকেই দায়ি থাকতে হবে। মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার সকালে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মিছিলটি কলা ভবন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা এবং আপোষহীন ব্যক্তিত্বের কারণে শেখ হাসিনা তার প্রতি ঈর্ষাকাতর। দেশনেত্রীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে তার প্রতি ক্রমাগত কুৎসা রটনা করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার কথায়, আচরণে স্পষ্ট হয় যে, শেখ পরিবারে শিষ্টাচারের চর্চা কখনোই ছিল না। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, দেশনেত্রীর প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থ করার জন্যই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে দেশনেত্রীকে তার ক্যান্টমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। শেখ হাসিনার মতো রুচিহীন ব্যক্তিত্বের একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সমগ্র জাতির জন্য লজ্জাজনক।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমাদের আবেগ, ভালোবাসা সাবেক তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে রং হেডেড, মানসিক বিকারগ্রস্ত ফ্যাসিস্ট হাসিনার যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে, তার ধিক্কার জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। হাসিনা জনগণ থেকে উপেক্ষিত হয়ে, কুক্ষিগত ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আজ উন্মাদ হয়ে গেছে তাই আবোল তাবোল বকছে, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। হাসিনা মুখে লাগাম দিন, তামাশা বন্ধ করুন। অন্যথায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ওই ক্ষমতার মসনদ থেকে আপনাকে টেনে হিচড়ে রাস্তায় নামিয়ে নিয়ে আসবে।