বিহারের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। জাতি ভিত্তিক সুমারির দাবিতে বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব-সহ ১১টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পরে নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।’
জনগণনায় জাতপাতের উল্লেখ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে কেন্দ্র এবং বিহারের বিজেপি-জেডিইউ সরকারের মধ্যে। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন প্রধান বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব, যা নিয়ে চিন্তায় বিজেপি। আজ তেজস্বী সহ সর্বদলীয় নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন নীতীশ। বৈঠক শেষে নীতীশের অবশ্য দাবি, এ বিষয়ে প্রধামন্ত্রী যা বলবেন তাই হবে।
এ বছরের জনগণনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তফশিলি জাতি এবং উপজাতি ছাড়া অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ থাকবে না। ওবিসি-দের ক্ষেত্রেও শুধুমাত্র ওবিসি-ই লেখা থাকবে। জাতের নাম উল্লেখ করা হবে না। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তেরই বিরোধিতা করেছে বিহারের নীতীশ কুমার সরকার। যারা আবার বিজেপির জোটসঙ্গী। নীতীশের এই বিরোধিতায় আবার সমর্থন রয়েছে বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের।
প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন বলেও জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি এবং বিহারের শিক্ষামন্ত্রী বিজয়কুমার চৌধুরী এবং বাম দলগুলোর প্রতিনিধি-সহ ১১ টি দলের প্রতিনিধিরা। তেজস্বী যাদব বলেছেন, ”দেশের স্বার্থেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এতে সমস্ত গরিব মানুষ উপকৃত হবেন।” তিনি আরও বলেছন, ”যদি পশু ও গাছ সুমারি হতে পারে, তাহলে জাত গণনা হবে না কেন !”
বৈঠকের পর নীতীশ কুমার বলেন, ”বিহারের মানুষ এবং সমগ্র দেশ এই নিয়ে একই মত পোষণ করে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি শুনেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ। এবার তাঁকেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব বললেন, ”দেশের স্বার্থে এটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হবে, সমস্ত দরিদ্র মানুষ এতে উপকৃত হবেন। সরকারের কাছে বিজ্ঞানসম্মত তথ্য না থাকলে কল্যাণমূলক কর্মসূচি হবে কী করে!”