পেগাসাস আড়িপাতা কেলেঙ্কারি নিয়ে রীতিমতো সরগরম জাতীয় রাজনীতি। একদিকে যখন কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে ততখানি আমল দিতে রাজি নয়, তখনই লাগাতার সংসদে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য দাবি তুলে চলেছে কংগ্রেস , তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। এবার এই বিষয়ে বিরোধী দলগুলি সমর্থন পেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারেরও ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারে নীতিশ মূলত বিজেপির সহযোগী। জোটে থেকে এধরনের মন্তব্য নিশ্চয়ই কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলবে কেন্দ্র সরকারকে। এ নিয়ে বলতে গিয়ে নীতিশ কুমার বলেন, “এতদিন ধরে ফোন ট্যাপিংয়ের খবর কানে আসছে। এই বিষয়ে অবশ্যই চর্চা হওয়া দরকার। এ ধরনের বিষয়গুলিতে এক একটি দিক ভালোভাবে খতিয়ে দেখে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দেখা উচিত কি হয়েছে কি না হয়েছে। সংসদে লোকজন বলছেন, সংবাদপত্রে আমরা খবর পড়ছি।” তিনি বলেন এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত, যাতে সত্য সামনে আসে।
নীতিশের এই বক্তব্যে যে বিরোধী দলগুলি আরও কিছুটা জোর পেল তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, পেগাসাস আড়িপাতা কান্ডের শিকার হিসেবে নাম জড়িয়েছে তার দলেরই প্রাক্তন নেতা প্রশান্ত কিশোরেরও৷ যদিও প্রশান্তের সঙ্গে পরবর্তী ক্ষেত্রে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে নীতিশের। কিন্তু এবার কার্যত অন্যান্য বিরোধী দলগুলির পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল তাকে। সাথে সাথেই এদিন জাতিগত শুমারি নিয়েও মুখ খোলেন নীতিশ, তিনি বলেন এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। বিহার বিধান মন্ডলেও এই বিল দুবার পাশ করে কেন্দ্র সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেই জানান তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, অনেকেই তাকে পিএম মেটিরিয়াল বলার চেষ্টা করছেন এতে তার কোন রকম আগ্রহ নেই।
পেগাসাস আড়িপাতা কান্ডে একের পর এক নাম জড়িয়েছে সাংবাদিক, প্রাক্তন বিচারপতি, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক এবং বিরোধী দলের নেতাদের। এমনকি নাম উঠে এসেছে বিজেপি দলের বেশ কিছু নেতা মন্ত্রীদেরও। যার জেরে ইস্যু নিয়ে রীতিমতো সরব বিরোধীরা। এখন নীতিশের মন্তব্য আগামী দিনে কি প্রভাব ফেলে সেদিকে নজর থাকবে সকলের।