নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে তারা পালানোর চেষ্টা করছেন।
সবশেষ মঙ্গলবার (২২ জুন) ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা নারী ও শিশুসহ ১৪ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আটক ১৪ জনের মধ্যে ছয়জন শিশু, চারজন নারী ও চারজন পুরুষ। তাদের মামলা দিয়ে বুধবার (২৩ জুন) আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ মে ১৪ জন এবং ৩১ মে ১০ জন রোহিঙ্গা মাছ ধরার ট্রলারের মাধ্যমে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসেন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের সবাইকে পুলিশ আটক করে বলেও জানান মো. হেলাল উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, মাছ ধরার ট্রলার মালিক বা জেলেদের টাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছেন। মঙ্গলবার ১৪ জন রোহিঙ্গা দালালদের মাধ্যমে একটি মাছ ধরা ট্রলারে ভাসানচর থেকে সরাসরি মিরসরাই বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক অঞ্চলে চলে আসেন। এসময় অর্থনৈতিক অঞ্চলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাদের দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়া ১২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দালালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের চুক্তি করে তারা পালিয়ে আসেন। পালিয়ে আসাদের আটক করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় কক্সবাজার থেকে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর আরও পাঁচ ধাপে মোট ১৮ হাজার ৩৪৭ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।