বাংলাদেশকে পশ্চিমা জোটে অন্তর্ভুক্তি করা নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ। এরই মাঝে ঢাকা সফরে আগ্রহ দেখাচ্ছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন বলয়ের নজর থাকায় বাংলাদেশ চীনের বিশেষ আগ্রহে পরিণত হয়েছে। সূত্র: সময় টিভি
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন এনেছে বড় রকমের। এর পাশাপাশি মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক ও অর্থনৈতিক জোটে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তির জন্যও চলছে তোড়জোড়। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে সফর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
বাংলাদেশ সফরের জন্য ৬ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে সময় চেয়েছে বেইজিং। তবে সে সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের সভায় অংশ নিতে কম্বোডিয়া থাকবেন যেখানে চীনেরও অংশ নেয়ার কথা। তাই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ওই বৈঠকের সময় নির্ধারণ হয়নি এখনো।
সচিবালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ওই সময় আমদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কম্বোডিয়া থাকবেন, চীনও থাকবে। তাদের সঙ্গে সময়টা মেলানোর চেষ্টা করছি।’ তবে এ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশে চীনের চলমান প্রকল্প এবং সামনে কোনো ধরনের প্রকল্প আসতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক কিংবা এ ই বে-অব বেঙ্গল এবং দক্ষিণ এশিয়াতে নতুন করে যে ভূকৌশল ভূরাজনীতি তৈরি হচ্ছে সেটি নিয়ে চীন স্বাভাবিকভাবে এক ধরনের মনোযোগী। এ মনোযোগের মধ্যদিয়ে হয়তোবা চীন এক ধরনের বার্তা দিতে চাচ্ছে। বিনিয়োগের মাধ্যমে যে সম্পর্ক আছে সেগুলোকে চালিয়ে নেয়ার জন্য চীনের একটি বড় ধরনের আগ্রহ রয়ে গেছে।





