আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থার নিরসন হয়েছে। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন। এই দুই মিত্র পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
কয়েক দিন ধরে বিরাজমান অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিতে মঙ্গলবার রাতে দুই দল একমতে পৌঁছে। তারা ‘জাতির স্বার্থে’ সরকার গঠন করতে আবার একযোগে কাজ করতে রাজি হয়েছে।
দুই দলের সমঝোতা অনুযাযী সিনেট চেয়ারম্যান এবং পাঞ্জাবের গভর্নর পদ দুটি পাবে পিপিপি। আর সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের গভর্নর এবং জাতীয় পরিষদের স্পিকার হবেন পিএমএল-এন থেকে।
মঙ্গলবার রাতে ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেন, ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ এখন সংখ্যা চূড়ান্ত করেছে, আমরা পরবর্তী সরকার গঠন করার অবস্থায় আছি।’ এ সময় উভয় দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে জোট সরকার গঠন অনিবার্য হয়ে ওঠে।
নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্ররা জাতীয় পরিষদে সবচেয়ে বেশি ৯২টি আসন লাভ করে। এরপর রয়েছে পিএমএল-এন। তারা পায় ৭৯টি আসন। পিপিপি পায় ৫৪টি আসন।
পিএমএল-এন এবং পিপিপির এই জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়ার সময় পিটিআই সংরক্ষতি আসনগুলো পাওয়ার জন্য সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সাথে জোট গড়েছে।
তবে পিপিপি প্রধান সাংবাদিকদের জানান, এসআইসির কেন্দ্রে সরকার গঠন করার মতো আসন নেই।
বিলাওয়াল বলেন, শাহবাজ হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং জারদারি হবেন রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী।
পিএমএল-এনের নেতা ইসহাক দারকে সিনেট চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিলাওয়াল বলেন, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। তবে প্রতিটি দল আলাদাভাবে তা ঘোষণা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ শরিফ জানান, পরবর্তী সরকারে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান, ইসতেকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কয়েদও থাকবে।