১৬ মাসের ব্যবধানে বিএসএফের হাতে নিহত হলেন দুই ভাই। ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ঘটেছে। রোববার (১৬ আগস্ট) বিএসএফের গুলিতে সুমন আলী (২২) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে একই সীমান্তে প্রায় একইরকমভাবে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন সুমনের ভাই মিলন আলী। সুমন মনকষা ইউনিয়নের তারাপুর মোড়লপাড়া গ্রামের মো. কালুর ছেলে।
মনকষা ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান ও ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য সমিরউদ্দিনসহ স্থানীয়রা জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় সুমন কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে মাসুদপুর ও শিংনগর সীমান্তের মাঝামাঝি ৪/৫নং পিলারের নিকট ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভারতের ১২০ গজ ভেতরে গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এসময় ৭৮ বিএসএফ নিউ ফারাক্কা মালদহ ব্যাটালিয়নের শোভাপুর ক্যাম্প (শোভাপুর টেন্ট) সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন সুমন। তার সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের ভেতর হারুনের আমবাগান নামক স্থানে নিয়ে আসার পর তিনি মারা যান। পরে স্থানীয়রা মরদেহ তারাপুর ঈদগাহ এলাকায় নিয়ে রাখেন।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্র সুমনকে গরু ব্যবসায় জড়িত বলে জানালেও অন্যসূত্রগুলি জানায় তিনি ফেনসিডিলসহ মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিলেন।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, গত রোববার রাতে তারা ঘটনার খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত অনুযায়ী বিএসএফের সাথে কথা বলা হবে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, খবর পেয়ে সোমবার ভোর ৬টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর দুপুরে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় জিডি হয়েছে বলেও জানান ওসি।