ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে আগরতলা-চট্টগ্রাম বিমান পরিষেবা শুরু করে এমবিবি বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষনা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কাউন্টারকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন পদে মোট ২৫ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করার করা বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ত্রিপুরা সরকার ১০জন পুলিশ কর্মীকে ডেপুটেশনের ভিত্তিতে নিয়োগ করেছেন। প্রয়োজন অনুসারে আরো ৫ জনকে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
চিঠিতে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে অবিলম্বে যেন এমবিবি বিমানবন্দরে আগরতলা-চট্টগ্রাম বিমান পরিষেবা শুরু করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
এছাড়াও এদিন পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে এক চিঠিতে আগরতলা আখাউড়া ক্রস বর্ডার রেল লিঙ্ক প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের দ্বারা এই গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পের সফল উদ্বোধন ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সংযোগ ও বাণিজ্য সুবিধার ইতিহাসে একটি স্মরনীয় মাইলফলক চিহ্নিত হবে৷মন্ত্রী বলেন, আগরতলা-আখাউড়া ক্রস বর্ডার রেল লিংক শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কই মজবুত করবে না বরং সামাজিক-সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের প্রচারে এবং এই দুই দেশের মধ্যে উন্নত সম্পর্ক গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্ত্রী চিঠিতে আরো উল্লেখ করেন, আগরতলা আখাউড়া ক্রস বর্ডার রেল সংযোগ প্রকল্প আমাদের রাজ্য এবং প্রতিবেশী অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রচুর প্রতিশ্রুতি ধারণ করে৷ এটি জনগণের চলাচলের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনকে সহজতর করবে এবং ভারত-বাংলা উপমহাদেশে পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। প্রকল্পটি আমাদের নাগরিকদের জন্য বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উন্নত জীবনমানের জন্য নতুন পথ খুলে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী ওই চিঠিতে এও উল্লেখ করেন, এই প্রকল্পটি সফল হতে দেখার জন্য রেলমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং অটল প্রতিশ্রুতির জন্য গভীরভাবে বাধ্য এবং দুই দেশের মধ্যে পণ্য ট্রেনের নিয়মিত চলাচল নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে। তিনি এও বলেন, তিনি আশাবাদী যে ক্রমাগত সমর্থন উভয় দেশ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি আগরতলা-কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে ট্রেন পরিষেবা নিয়মিত চলাচল করবে।