নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিষয়ে আইন প্রণয়নের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, বর্তমান সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক, ফলে এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না।
আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘আইনমন্ত্রী বলেছেন সরকার সংবিধানের আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করবে। দেখা যাক সরকার কী করে।’
ইসি গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোবিন্দ বিশ্বাসের করা রিট আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
পর্যবেক্ষণের পর হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত রিট আবেদনটি স্থগিত (শুনানির জন্য অপেক্ষায়) রাখেন।
বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘যে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সিইসি ও ইসি নিয়োগ করা হয় সেই কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত এবং তাদের সিইসি ও ইসি নির্বাচন মোটেও অগ্রহণযোগ্য নয়।’
রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ আলী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ১৯ নভেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সরকার ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের বিষয়ে আন্তরিক। তবে তাড়াহুড়ো করা ঠিক হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বছরে জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। আমি যতদূর জানি, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ১৪ বা ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। বলতে গেলে এবং যথাযথ সম্মানের সঙ্গে বলছি, এই স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করা সম্ভব নয়।’
সেদিন রাতে গুলশানের বাসভবনে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আনিসুল হক এ মন্তব্য করেন।