দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার’-এর নাম বদলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন নাম হচ্ছে ‘মেজর ধ্যানচন্দ খেলরত্ন পুরস্কার’। এবার অসমের জাতীয় উদ্যান থেকেও বাদ পড়তে চলেছে রাজীব গান্ধীর নাম।
ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত অসমের জাতীয় উদ্যানের নাম রাজীব গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক। আগে নাম ছিল ওরাং ন্যাশনাল পার্ক। সেই পুরনো নামই ফিরিয়ে আনার জন্য অসমের মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে খবর।
বিভিন্ন সংগঠন নাকি দাবি করেছে, রাজীব গান্ধী জাতীয় উদ্যানের নাম বদলে ফেলা হোক। পরিবর্তে নাম হোক ওরাং জাতীয় উদ্যান। সরকারি সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই নাম বদল নিয়ে আলোচনা চলছিল। ব্রহ্মপুত্রের উত্তরে অবস্থিত এই জাতীয় উদ্যান ৭৮.৮০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত। রাজ্যের সবচেয়ে পুরনো রিজার্ভ ফরেস্ট। ১৯৮৫ সালে এটি ছিল অভয়ারণ্য। পরে ১৯৯৯ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে গড়ে তোলা হয়। ২০০৫ সালের অগস্টে তরুণ গগৈ সরকার এই জাতীয় উদ্যানের নাম রাজীব গান্ধীর নামে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ওঁরাও জনজাতির নামেই এই জাতীয় উদ্যানের নাম ছিল ওরাং ন্যাশনাল পার্ক। ওঁরারা ঝাড়খণ্ডের আধিবাসী গোষ্ঠী, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ছত্তীসগড়েও ছড়িয়ে রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনকালে ওঁরাও আধিবাসীদের অসমে চা-বাগানের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। চাষাবাদ, চা-বাগান ইত্যাদি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত ওঁরাওরা। সরকারি সূত্র বলছে, এই আদিবাসী গোষ্ঠীর কথা ভেবেই ওরাং জাতীয় উদ্যানের নাম বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।