গুয়াহাটি : করোনা ভাইরাসে আক্ৰান্তদের মধ্যে আরোগ্যের তালিকায় দেশের মধ্যে অসমের স্থান তৃতীয় শীৰ্ষে। গুজরাটের পরই অসম। কেননা অসমে আরোগ্যের শতাংশ হার ৬১। রাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্ৰান্তের সংখ্যা ৫৫৮৬। সুস্থ হয়ে যার যার বাড়ি ফিরে গেছেন ৩,৫২১ জন। সোমবার বিকেলে এনআরএইচএম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা।
ন্ত্রী জানান, এই সাংবাদিক সম্মেলন যখন করছেন, তখন পর্যন্ত নতুন কোনও করোনা আক্ৰান্তের খবর তাঁর হাতে আসেনি। গতকাল রবিবার রাজ্যে মোট ৩৩১ জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। এছাড়া ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গুয়াহাটি মহানগরের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বহিঃরাজ্য থেকে আসেননি মহানগরের এমন নাগরিকের শরীরেও ধরা পড়ছে ধারণাতীত কোভিড-১৯ সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মার ঘোষণা, আগামী ৩১ আগস্ট খুবই সংকট আসছে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় গুয়াহাটি মহানগরে প্রায় ১৪৪ জনের দেহে কোভিড-১৯ ধরা পড়ছে। ফলে সরাসরি না বললেও একে গণ সংক্ৰমণের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তাঁর মুখে। মহানগরীতে ফ্যান্সিবাজার থেকে বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ ছড়াচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী।
মন্ত্রী ড. শর্মা বলেন, ফ্যান্সিবাজার সহ গুয়াহাটিতে বহু মানুষের দেহে কোভিড-১৯ আছে। ৫০ হাজার রেন্ডাম কোভিড-১৯ টেস্টে ফলাফল দেখে হতবাক খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী। পাণ্ডু, মালিগাঁও, ধীরেনপাড়া, লখরা ইত্যাদি অঞ্চলে ভয়াবহভাবে সংক্ৰমণ হচ্ছে করোনার। তিনি বলেন, প্ৰয়োজনে মহানগরে ওয়াৰ্ড ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে।
গুয়াহাটি তথা রাজ্যবাসীর প্ৰতি মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মার করজোড়ে আহ্বান, করোনা প্ৰতিরোধ করতে সর্বাবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, বাইরে বের হলে পরিধান করুন মাস্ক।
মন্ত্রীর তথ্য, অসমে আজ পর্যন্ত ২,৪৩,৪১৪ জন ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন। আগত প্রত্যেকের সোয়াব টেস্টের পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। জানান, এখন পর্যন্ত ৭১১টি বিমানে ৬০ হাজার, ১৭৩টি ট্রেনে ১,০৯০০০ এবং স্থলপথে ৭৩ হাজার জন এসেছেন। আগামীকাল ২৩ জুনের পর অসমে আর বিশেষ শ্ৰমিক স্পেশাল ট্রেন আসবে না বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এসকেডি / অরবিন্দ