ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: জি-২০ সামিটের দৌলতে ত্রিপুরায় বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য শিল্পপতিরা ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আজ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এ কথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা।
প্রসঙ্গত, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুর্কি, ইউকে, বাংলাদেশ, ইজিপ্ট, নাইজেরিয়া, মরিশাস, ন্যাদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং স্পেন থেকে প্রতিনিধিরা জি-২০ সামিটে অংশ নিতে ত্রিপুরায় এসেছেন। এই সামিটকে ঘিরে আগত প্রতিনিধিরা কুমারিটিলায় মিউজিক্যাল ফাউনটেন, অক্সিজেন পার্কে যোগ শিবির, পূর্বাশা, সিপাহিজলা এবং নীরমহল পরিদর্শন করবেন। সে মোতাবেক এলাহি আয়োজন করেছে রাজ্য।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জি-২০ সামিটকে ঘিরে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন শেষে শিল্পপতিদের সাথে আলোচনা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্যোগপতিরা ত্রিপুরায় বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, বৈদ্যুতিক যান, হাসপাতাল, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন, তথ্য প্রযুক্তি, ঔষুধ, বাঁশ, রবার, চা, আগর এবং হোটেল শিল্পে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় হাসপাতাল খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে একটি সংস্থা। তাঁদের দেশের বিখ্যাত হাসপাতালের সমতুল্য হাসপাতাল গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছি। কারণ, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ত্রিপুরার উপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। ত্রিপুরায় সেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া গেলে তারাও চিকিৎসার জন্য আসবেন।
তাঁর কথায়, খুব শীঘ্রই মৈত্রী সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু হয়ে যাবে। তাতে ত্রিপুরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার করিডোর হিসেবে পরিণত হবে। তাছাড়া, বিমান, রেল এবং স্থলপথে যোগাযোগ অনেক উন্নত হয়েছে। তাই, ত্রিপুরায় বিনিয়োগে আগ্রহ বেড়েছে। তিনি জোর গলায় দাবি করেন, ত্রিপুরার ভবিষ্যত উজ্জ্বল, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।