নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্য একটাই। জাতীয় রাজনীতি থেকে বিজেপি দলকে কার্যত নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। আর সেই লক্ষ্যে স্থির থেকেই একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকেই টার্গেট করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা, গোয়া, উত্তরপ্রদেশের পর এবার হরিয়ানা, বিহারকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার দিল্লি থেকে তাই আগামী দিনে হরিয়ানা গিয়ে জনসভা করার বার্তা দিতে দেখা গেল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অশোক তানওয়ারকে পাশে নিয়ে এদিন তিনি জানালেন, ‘বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর জোট গড়তে হবে। সকলে আমাদের সঙ্গে আসছেন, তাই জন্য আমি সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, হরিয়ানার মানুষ আমন্ত্রণ জানালেই তিনি হরিয়ানা যাবেন।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে হরিয়ানায় গিয়ে বিজেপি শিবিরে ঘা দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। কারণ কৃষক আইনের বিরুদ্ধে যে কৃষক সম্প্রদায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তাঁদের অধিকাংশই হরিয়ানার বাসিন্দা। এক কথায় বলতে গেলে কৃষক আইনকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে কার্যত কোণঠাসা পদ্ম শিবির। আর তাই কৃষকদের মনে এই বিদ্রোহের আগুন থাকতে থাকতেই হরিয়ানায় গিয়ে বিজেপি দলের অপর একটি মোক্ষম আঘাত হানতে চাইছেন মমতা। এক্ষেত্রে আপাতত যাবতীয় দায় দায়িত্ব অশোকের কাঁধেই তুলে দিয়েছেন মমতা। হরিয়ানায় সংগঠন তৈরি থেকে শুরু করে দলীয় প্রচার, সব দায়িত্বই দেওয়া হয়েছে অশোক তানওয়ারকে। এই প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেছেন, ‘আমি ওকে বলেছি, আজ থেকেই কাজ শুরু করে দাও। আমাকে ডাকলে আমিও যাব।’
উল্লেখ্য, হরিয়ানা সফর প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, ‘আমি হরিয়ানা যেতে চাই। অশোকজি আমায় যখন ডাকবেন তখনই যাব। হরিয়ানা আমার রাজ্য থেকে খুব দূরে নয়। তবে তার আগে আমাদের রাজ্যে আসবেন অশোকজি। এখন ওঁর গোটা পরিবারই আমাদের তৃণমূলের পরিবার।’
অন্যদিকে, বিহারেও গুরুত্ব বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। মঙ্গলবারই দলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন JDU সাংসদ পবন বর্মা এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ। দলে যোগ দিয়েই কীর্তি আজাদ জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে কাজের সুযোগে খুশি। দল যা দায়িত্ব দেবে সেটাই করব।’