বুধবার থেকে দার্জিলিংয়ে টাইগার হিলের জন্য এন্ট্রি পাস ইস্যু করতে শুরু করে প্রশাসন। আর বৃহস্পতিবারই লকডাউন পরবর্তীতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক টাইগার হিলে ওঠেন। এদিন সেই সংখ্যাটা ছিল ৫০০। মোট ৯০টি গাড়িকে এদিন অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক ওসি দোর্জে শেরপা। অর্থাত্ কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে পাহাড়। নভেম্বরের গোড়াতেই শীত নেমেছে পাহাড়ে। ঝকঝকে আবহাওয়ায় প্রতিদিনই উঁকি মারছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই টানেই আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক পাহাড়মুখো হচ্ছেন। তবে অনেকেই আবার এক দিনেই নেমে যাচ্ছেন। গাড়ি নিয়ে পাহাড়ে এসে কেউ কেউ হোটেলের বদলে হোম-স্টেতে থাকছেন নিরাপদ ভেবে। তাই হোটেল বুকিং এখনও তুঙ্গে পৌঁছয়নি। পর্যটকদের ভিড় জমছে সান্দাকফু-ফালুটেও। প্রতিবছর এই সময় বিদেশি পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকলেও এবার কিন্তু বিদেশি পর্যটক সেভাবে নেই। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠই দেশীয় পর্যটক। জিটিএ পর্যটন বিভাগের মুখপাত্র কিশোর রাই বলেন, ”সান্দাকফু যাওয়ার ব্যাপারে দেশীয় পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে। যা খুবই ইতিবাচক ইঙ্গিত।” করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটন শিল্পে হাড়ির হাল। পুজো ও তার পরবর্তীতে ভরা মরসুমেও ঘুরে দাঁড়ানো যাবে বলে আশা করেননি পর্যটন ব্যবসায়ীদের অনেকেই। কিন্তু এখন পরিস্থিতি দেখে মনে সাহস পাচ্ছেন তাঁরা। পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সিকিমের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র লাচুংও। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত লাচুংয়ে লকডাউন কার্যকর রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লাচুংয়ে পর্যটকদের প্রবেশের উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞাও আজ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটকদের কিছু বিধি মেনে চলতে হবে বলে গ্রামসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র বাদে গ্রামীণ এলাকায় ঘোরাঘুরির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পর্যটকদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে।
