আদালত ডেস্ক: সর্বোচ্চ আদালতের জামিন আদেশের পরও পরীক্ষার আগের দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা কেন কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারেননি, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ব্যাখ্যা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনলে এ নির্দেশ দেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার জামিন আদেশ পান তিনি। রোববার তার জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। পরে আজ সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।
খাদিজার মুক্তির জন্য রোববার সারা দিন তার পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু রাত ১১টা পর্যন্ত খাদিজা মুক্তি না পাওয়ায় তাকে ছাড়াই তারা ফিরে যান।
এ বিষয়ে খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে খাদিজাকে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল। তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। এটা সুস্পষ্ট আদালত অবমাননা।’
সোমবার সকালে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা। এর পর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওনা হন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বোন সিরাজুম মুনিরা। তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে জেলগেট থেকে বের হয় খাদিজা।
জানা গেছে, আজ সোমবার থেকে খাদিজার ২য় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে।
মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৫ মাস ধরে তিনি কারাগারে ছিলেন।