আসাম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আসাম ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। অনেক ট্রেন ক্যানসেল করা হয়েছে এই বন্যা অবস্থার জন্য। ঘরবাড়ি জলে ডুবে গিয়েছে, শুদু তাই নয় ফসল ভেসে গিয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের সাহায্যের দিকেই তাকিয়ে কৃষকরা। এমন ভয়াবহ বন্যার দৃশ্য কেঁপে ওঠার মতো।
যা জানা যাচ্ছে, এখনও ২৬টি জেলার ১০৮৯টির বেশি গ্রাম জলের তলায়। বন্যা আর ভুমিধসের কারণে এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুয়াহাটির আমিনগাঁওয়ে ভূমিস্খলন হয়েছে। গাছ পড়েও মানুষ মারা গিয়েছে। কাছাড়ের দুজন এবং উদালগুড়িতে একজন বন্যার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন, অসমের ডিমা হাসাওতে চারজন এবং লখিমপুরে ভূমিধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এবং পাশাপাশি ৫ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বন্যার তোড়ে ভেসে যাচ্ছে অসমের চারদিক। ভয়াবহ দৃশ্য। মানুষ গৃহহীন, তাঁদের জন্য ত্রাণ, থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন্যায় প্রায় ৪ লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স, স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সকে বন্যা মোকাবিলায় নামানো হয়েছে। বন্যায় আটকে থাকা প্রায় ৩হাজার ৪২৭ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের তরফে ১৪২টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এবং ১১৫টি আশ্রয় শিবিরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। নদীগুলোর অবস্থা ভয়ানক, ফুলে ফেঁপে উঠেছে। কামপুর ও ধরমতুলে কপিলি নদী, নাংলামুরাঘাটে ডিসাং নদী, এপি ঘাটে বরাক নদী ও করিমগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যায় কাজকর্ম নেই, বিপর্যস্ত অবস্থা।
অসমের গুয়াহাটি আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামি কয়েক দিন এই সব অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এবং শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে, আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বন্যার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বন্যা মোকাবিলায় অসমকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। জনগণ যেন চিন্তা না করেন।এদিকে, বাংলাদেশের সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছে।বন্যায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে মানুষগুলো। খাওয়া দাওয়ার অভাব দেখা দিচ্ছে। মারাত্মক বন্যার কবলে সিলেট। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগামি ২৩ মে পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হবে,এ অবস্থায় সিলেটের বন্যা পরিস্থতি আরও খারাপের দিকে যাবে সেটা নিশ্চিত।
প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে মানুষ। বাংলাদেশের সরকারের প্রতি বন্যাকবলিত বিপদগ্রস্ত লোকেদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো।