- দলীয় চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে জেলাবাসীকে রক্ষা করুন।
- ব্যাংক লুটেরা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হযরত আলীকে দল থেকে বহিস্কার করুন।
মিনহাজুল আলম মামুন, ২৫ নভেম্বর- সুরমা’র গত সংখ্যায় ‘ভয়াবহ ইমেজ সংকটে শেরপুর জেলা বিএনপি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও শেরপুর জেলায় তারেক রহমানের নামে জেলা বিএনপির বিতর্কিত আহবায়ক হযরত আলীর চাঁদাবাজি থামেনি। চাঁদা না দিলেই করা হচ্ছে হেনস্তা, করা হচ্ছে হত্যা মামলার আসামি! সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোন জায়গায় সে হাত দেয়ার বাদ রাখছে না। এমনকি জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও তার চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। খুনি হুইপ আতিউর রহমান আতিকের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা নিয়ে তিনি তাকে সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের সংরক্ষিত আসনের এমপি শ্যামলীর কাছ থেকে ২ কোটি টাকা নিয়ে হত্যা মামলার আসামি তালিকা থেকে তিনি তার নাম বাদ দিয়েছেন। ডিসিকে হত্যা মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে তিনি ডিসির কাছ থেকে দুই কোটি টাকা নিয়েছেন।
যুবলীগ থেকে বিএনপিতে আসা হযরত আলী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আওয়ামী লীগ নেতা মীর্জা আজম ও শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রশ্রয়ে ও প্রত্যক্ষ মদদে ব্যাংক লুটেরা আবদুল হাই বাচ্চু ও চিশতী গংদের সাথে মিলে কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন। তখন তিনি ব্যাংক লুটের টাকায় চলেছেন, এখন তিনি চাঁদাবাজি করে চলছেন, পদ বাণিজ্য করে চলছেন।
আতঙ্কগ্রস্ত জেলার নানান শ্রেণী-পেশার মানুষ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ‘নবগঠিত শেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক হযরত আলী গত ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় দেড়শো কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন কাগজে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও তিনি এসব থোড়াই কেয়ার করেন। এমনকি হযরত আলী ও তার সো কলড ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘রোজবার্গ ইন্ড্রাস্ট্রিজ’ নামে গুগলে সার্চ দিলে বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা আত্মসাত থেকে শুরু করে তার অসংখ্য অপকর্মের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলেও তিনি এসব প্রপাগান্ডা বলে উড়িয়ে দেন। অর্থ আত্মসাত মামলায় জেল খেটে এসে তিনি রাজনৈতিক মামলা বলে চালিয়ে দেন। চিহ্নিত সাজাপ্রাপ্ত দাগী এই আসামি জেল থেকে জামিন পেয়েই জেলায় এসে চাঁদাবাজি করেন আর টাকার দাপটে চলেন। সরকার পতনের পর থেকেই তিনি গরুর হাট, কাঁচা বাজার, বাস স্ট্যান্ড, ট্রাক স্ট্যান্ড, এলজিইডি, টেন্ডার, থানা-পুলিশ সব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তারেক রহমানের নামে চাঁদাবাজি করছেন। সেই সঙ্গে মসলা আমদানির আড়ালে রাতের আধাঁরে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে সিসা ও নতুন মাদক ‘ক্রিস্টাল মেথ’ (আইস) আমদানি করছেন। থানা যুবদলের সভাপতি পারভেজ ও ছাত্রদলের সভাপতি আনন্দ কে নিয়ে তিনি মাদক ব্যবসার এক সিন্ডিকেট তৈরী করেছেন। তারা সিসা ও ‘ক্রিস্টাল মেথ’ (আইস) এর বক্সের উপরে ও নীচে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও লবঙ্গ রেখে ভেতরে সিসা ও ‘ক্রিস্টাল মেথ’ (আইস) ভরে প্রথমে আনন্দ‘দের ইট ভাটা সংলগ্ল গোডাউনে রাখেন। এরপর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এগুলো সারাদেশে সরবরাহ করেন। তার বিরুদ্ধে মানুষ মামলা করতেও ভয় পাচ্ছেন।‘ ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘মামলা করলে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি আমাদেরকে আরো বেশি হয়রানি করবেন। জেলা সিভিল সার্জন অফিস, সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, হাসপাতাল, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, বিএডিসি অফিসসহ সকল অফিসে তাঁর চাঁদাবাজি চলছে। হযরত আলীর ব্যাপক চাঁদাবাজির কারণে অনেক কাজ বন্ধ এখন শেরপুরে। এলজিইডি অফিস, কাজ বাস্তবায়নকারী ফার্ম সবাই আতঙ্কিত। শেরপুর জেলার ডিসি, এসপি সকলের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়া নেওয়া শেষ। যারা চাঁদা দেন নাই তারা হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন। শেরপুর জেলার প্রাক্তন এসপি জনাবা মোনালিসার কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন, পাননি। চাঁদা না পাওয়ায় গত ২৮ নভেম্বর তাকে হত্যা মামলার আসামি করেছেন।‘
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পিএস ইউনুসকে ২ কোটি টাকা দিয়ে আহবায়ক কমিটি অনুমোদনের কথা তিনি নিজ মুখে বলেছেন। তার কোন যোগ্যতা নাই, শিক্ষা-দীক্ষা নাই, কোথায় কী বলতে হবে তিনি জানেন না। কেউ লিখে না দিলে তিনি নিজে গুছিয়ে কিছু লিখতে পারেন না। ইংরেজি তো পারেনই না, বাংলাও পারেন না। সম্প্রতি তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘শনিবার, অক্টোবর ১৯,২০২৪ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে ১২ নং কামারিয়া ইউনিয়নে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ঘরবাড়ি, ভাংচুর, লুটপাট, উচ্ছেদ করে তাদের আবাসস্থল থেকে বের করে দেয়। তাদের আবাসস্থলে ডুকতে দেয়নি কিছু দুষ্কৃতি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের আবাসস্থল পূর্ণ স্থাপন করার লক্ষ্যে আমরা সার্বিক ব্যবস্থা করি ও নগদ বিশ হাজার টাকা অর্থ প্রধান করি।’ কোথায় দাঁড়ি দিতে হবে, কোথায় কমা দিতে হবে, বাক্য কিভাবে গঠিত হবে তিনি কিচ্ছু জানেন না। ‘নেতৃবৃন্দ’ কে তিনি লিখেন ‘নেতৃত্ববৃন্দ’, ঢুকতে’র জায়গায় লিখেন ‘ডুকতে’- অর্থাৎ তিনি এতটাই মুর্খ যে শব্দের সঠিক বানানও তিনি জানেন না। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা হলে তিনি এখন আর নিজে কিছু লিখেন না। এখন তিনি তার ছবি তুলা ও ফেসবুকে সেগুলো পোস্ট দেওয়ার জন্য একজন লোক রেখেছেন। সমালোচকেরা বলছেন, এইসব গন্ডমুর্খ, ইতর লোক দিয়ে তারেক রহমান ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবেন? এই লোক ৩১ দফার কী বুঝেন? জেলায় কী বিএনপিকে নেতৃত্ব দেয়ার মত সুশিক্ষিত লোকের অভাব আছে? নতুন নতুন পান্জাবী পড়ে চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে ক্যামেরা ম্যান নিয়ে ঘুরাফেরা করা, ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়া, মিথ্যা বলে সত্যবাদীর অভিনয় করা আর চাঁদাবাজি ধান্দাবাজি ছাড়া হযরত আলী আর কী পারে? এমন লোক কি জিয়াউর রহমান সাহেবের বিএনপি‘র জেলা কমিটির আহ্ববায়ক হতে পারে? কারা এদের চুজ করে? কিসের বিনিময়ে করে?
শেরপুর জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক এক সহসভাপতি বলেছেন, ‘অনেকেই হয়তো ভুল বুঝতে পারেন যে আমরা হয়তো পদ না পেয়ে তার বিরোধীতা করছি। বিষয়টা আসলে পদের না। বিষয়টা হলো গত ১৬ বছর দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের কোন রাজনীতি ছিলো না। বিএনপিকে রাজনীতি করতে দেয় নাই। সভা সমাবেশ করতে দেয় নাই। মাঝে মধ্যে দলীয় প্রোগ্রাম যেগুলো হয়েছে সেগুলোতে হযরত আলী উপস্থিত থাকে নাই। সে শেরপুরে থাকে না। সপরিবারে ঢাকায় থাকে। হলমার্ক গ্রুপ, আবদুল হাই বাচ্চুদের সাথে ব্যাংক লুটে ধরা পড়ে দুদকের মামলায় সে সাড়ে তিন বছর জেলে ছিলো। ভাবছিলাম রাজনীতিতে এদের মত লোকের জায়গা নাই। এখন দেখি এদের জালায় আমাদের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের টেকা দায়। কাউরে মুখ দেখাইতে পারি না। হযরত আলীর মত একটা লুটেরা, বাটপার আমার দলের নেতা এটা বলতেও লজ্জা পাই। আমি পদের জন্য কখনোই লালায়িত ছিলাম না, এখনো পদের আশা করি না। কিন্তু একজন ভালো, সজ্জন, শিক্ষিত, মার্জিত লোককে জেলা কমিটির নেতা হিসেবে দেখতে চাই। আগস্টের ৫ তারিখের পর হযরত আলীর নির্দেশনায় তার চাঁদাবাজ, দখলবাজ সিন্ডিকেটের সদস্যরা খোয়ারপারের সিএনজি স্ট্যান্ড, ট্রাক স্ট্যান্ড, ট্রলি স্ট্যান্ড দখল ও খোয়ারপার মসজিদ কমিটির অফিস দখল করতে যায়। সেখানে তাঁর গুন্ডা বাহিনী প্রকাশ্যে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ভয়াবহ মারামারি করে। তার পকেট কমিটি ছাত্রদলের সবাইকে সেখানে হামলায় পাঠালে একজন ছাত্রদলের ও একজন শ্রমিক দলের দুটি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। অযোগ্য নেতৃত্বের দরুণ অকালে দুটি প্রাণ ঝরে যায়। শেরপুরে আজ চলছে অরাজকতা। অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে বিশৃংখলা সর্বত্র। বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী টাকা খেয়ে দোযা পীরকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছিলো। কিন্তু দোযা পীরকে সে রক্ষা করতে পারে নাই। অন্য পক্ষের টাকা খেয়ে সে ভেগে গেছে। শেরপুরের কুসুমহাটি বাজারে ১৪৪ধারা জারি হয়েছে, সর্বত্র থমথমে পরিবেশ। তার দুনম্বরীর কারণে আজ এমন অরাজকতা চলছে। দোযার পীরের দরবারে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার দায় হযরত আলী এড়াতে পারে না। এর জন্য দায়ী শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী। একদিকে সে স্লোগান দিচ্ছে একটা একটা আওয়ামীলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর। কিন্তু কাজ করতেছে উল্টো। আওয়ামীলীগ ধরতেছে আর টাকা নিয়ে ছাড়তেছে। আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সবাইরে বসাইছে। হত্যা মামলা থেকে পাকুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর কাছ থেকে এক কোটি টাকা নিয়ে এফআইআর করা মামলাকে রিআর্জি করে রাতারাতি তার ও তার ছেলের নাম বাদ দিয়েছে। টাকা নিয়ে শেরপুরে ছাত্র-জনতা হত্যাকারি জেলা সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানের সকল ঠিকাদারি কাজ চলমান করেছে, তার অনুসারীদের রুমানের কাজ দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছে। আর ছাত্রদলকে চাঁদা তোলার বাহিনী বানিয়েছে। অশিক্ষিত মূর্খ হযরত আলী একে একে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়েছে। মডেল গার্লস, জমসেদ আলী, কামারের চর কলেজ ইত্যাদি ইত্যাদি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সে সভাপতিত্ব করছে। সভাপতি হিসেবে দলের অন্য কোন নেতার নাম নিলেই বলে তোমার দল করার দরকার নাই, দলটা যেনো তার একার। হযরত আলীর কথা শুনবেন না, তো বিএনপি করতে পারবেন না। এমন হুমকিই তিনি প্রতিনিয়ত দিয়ে থাকেন। ক্লোজডোর মিটিংয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির হাইকমান্ড নাকি উনার ডোনেশনে চলে। তাই শেরপুর বিএনপির একচ্ছত্র অধিপতি তিনি। সম্প্রতি তার বাসায় অনুষ্ঠিত এক সভায় মহিলা দলের এক সদস্য ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুনের কথা বলায় তিনি চটে যান। তিনি বলেন, আমার বাসায় এসে অন্য নেতার কথা বললে আপনার দল করার দরকার নাই। সে মানুষকে সন্মান দিয়ে কথা বলতে জানে না। শেরপুরে অশিক্ষিত হযরত আলীর দাপটের ফল পাচ্ছে শেরপুরবাসি। হযরত আলীর একনিষ্ঠ নেতার পুত্র শিক্ষককে পিটিয়েছে। বেপরোয়া নেতার অনুসারীরাও আজ বেপরোয়া। ২৪ নভেম্বর রাতে হযরত আলীর একনিষ্ঠ নেতা শেরপুর সদর উপজেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম এর পুত্র পুলিশ লাইন্স স্কুলের শিক্ষক সুমনকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে, লাঞ্ছিত করেছে। হযরত আলীর অনুসারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কে থামাবে এদের? তারেক রহমানের ভয়ে প্রশাসনও নিরুপায়। হযরত আলী সবসময় এমনভাবে তারেক রহমানের নাম বলেন যেনো তারেক রহমান তার বাল্যকালের বন্ধু। তার কথাই তারেক রহমানের কথা। তারেক রহমান আর তার মাঝে আর কেউ নেই। তারেক রহমান তার কাছে বুদ্ধি নিয়ে চলেন। তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে শেরপুরের সবকিছু দখল করতে মারিয়া জেলা বিএনপির বিতর্কিত আহবায়ক হযরত আলী। আজ শেরপুরে পৌরসভার ওএমএস ডিলার নিয়োগের লটারি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হযরত আলী তার চাঁদাবাজ বাহিনীকে পাঠিয়ে তা বন্ধ করে। এসময় ডিসি অফিসে হট্টগোল শুরু করে এবং শেরপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মানিক নামে একজনকে মারধর করে। এভাবে সকল ক্ষেত্রে অধিপত্য ও দখল চালাচ্ছে এবং সকল সরকারী অফিস আদালতে তার মতের বাইরেই কিছু না করতে নির্দেশ দিচ্ছে। তার চাঁদাবাজির কথা, তাঁর দখলের কথা সবার মুখে মুখে। সম্প্রতি পুলিশে নিয়োগে জনপ্রতি সে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। ওএমএস এর জন্য ২ লাখ করে টাকা নিয়ে লটারি বন্ধ রেখেছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে হুমকি দিচ্ছে। তার নির্দেশে স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষকে ধরে টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে করে শেরপুরে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হতে হতে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জেলা সিভিল সার্জন, হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক, সকল ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সকল অফিস আদালতের প্রধানদের তিনি যখন খুশি তলব করেন। না গেলেই উনার গুন্ডা বাহিনী পাঠিয়ে তাদের হয়রানি করেন। শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক কেউ তার কাছে নিরাপদ নয়। টাকার গরমে তিনি সবাইকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন।’
সুরমা‘র কাছে জেলা বিএনপি‘র আহবায়ক হযরত আলীর বক্তব্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ এসেছে। একটা ভিডিওতে দেখা গেছে তিনি বলছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই কমিটি দিয়েছেন।‘ তিনি খুশিতে নেচে নেচে নিজের ম্লোগান নিজেই দিচ্ছেন। জনাব তারেক রহমান তার নামের আগে রাষ্ট্রনায়ক ও দেশনায়ক ব্যবহার করতে নিষেধ করার পরেও তিনি রাষ্ট্রনায়ক ও দেশনায়ক বলে ম্লোগান দিচ্ছেন। আরেকটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি বলছেন যে, ‘উজ্জ্বল এর মত ছেলেকে যদি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বানাতে পারি, সিরাজ ভাইয়ের মত লোককে যদি জেলা কমিটির সদস্য সচিব বানাতে পারি, আওয়াল ভাইয়ের মত লোককে যদি জেলা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক বানাতে পারি তাহলে আমি সামনে আরো অনেক কিছু করতে পারবো।‘ অন্য এক ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় তিনি বলছেন, ‘শেরপুরের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৫০ লাখ। গারো পাহাড়ের পাদদেশে ছোট একটা দেশ শেরপুর। এটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল হচ্ছে। লোকজন তাকে হিরো আলমের সাথে তুলনা করছে। কেউ বলছে, ‘সারা দেশে জনসংখ্যা ১৮ কোটি, তন্মধ্যে শেরপুরেই সাড়ে চৌদ্দ কোটি, লে হালুয়া। জীবনে এই প্রথম শুনলাম শেরপুরে সাড়ে ১৪ কোটি মানুষ আছে! উনি নাকি আবার জেলা বিএনপির আহবায়ক!’
জেলা কমিটির আহবায়ক হযরত আলী ও সদস্য সচিব সিরাজ উকিলকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আয়মান সামি নামে একজন হযরত আলীর বিভিন্ন বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত শেয়ার দিচ্ছেন, সেই সাথে নিজের কমেন্টও জুড়ে দিচ্ছেন। হযরত আলীর ভন্ডামী তিনি সচিত্র তুলে ধরছেন। ২৯ নভেম্বর শুক্রবার তিনি ওকালত নামার একটা কপি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘দেখুন বাহ! কি চমৎকার! শেরপুর বিএনপি আওয়ামীলীগের হত্যা মামলার পাওয়ার নিয়ে টাকা কামাচ্ছে। হযরত সাহেব কমিটি আনছে এখানে সদস্য সচিব করা হয়েছে এডভোকেট সিরাজ সাহেবকে। উনি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হত্যা মামলার আসামি এডভোকেট চন্দন কুমার পাল ও সিংগাবরুনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান কালু মিয়ার উকিল হিসেবে পাওয়ার নিয়েছেন। দারুন না ব্যাপারটা! ও উনাকে তো সব কিছু তারেক রহমান বলে দেন! মামলাগুলোও কি নিতে বলেছেন?! একজন বিবেক বিক্রি করা লোক। উনাকে পুতুল বানিয়ে পাশে বসিয়ে অহরহ মিথ্যা বলছে চাঁদাবাজ হযরত আলী আর উনি জ্বী হুজুর, জ্বী হুজুর বলে মাথা নাড়ছেন। এই পদ পাওয়ার মতো রাজনীতি কখনো করেননি, তাই দানে পাওয়া জিনিস পেয়ে বিবেক, ব্যক্তিত্ব, ইমান সব বিক্রি করে দিয়েছে। কী করবেন মশাই এই পদ দিয়ে? জীবন তো অল্প। শেরপুরের মানুষ কী বলছে একটু শুনুন।‘ তিনি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে আরো লিখেছেন, ‘শেরপুরবাসীর বিনোদন সার্কাস ও যাত্রাপালার নায়ক এমন বিএনপি করছে সব একাই কয় আর দুই নির্লজ্জ খালি মাথা নাড়ায়। শেরপুরের এই প্রতিভাকে শেরপুর পেয়ে আতঙ্কের পাশাপাশি বিনোদন উপভোগ করছে। দে লাড়া তেল ছাড়া। দেখুন নিজেই বলছে আমরা মাত্র তিনজন দলটা চালানো কঠিন, সে থাকে ঢাকায়। বিএনপি বলে ওরা তিনজন… পকেট কমিটি করে এই কথা। যাকে তাকে নেতা বানিয়ে তা আবার গর্বভরে বলেন। কেননা শেরপুর বিএনপি তার পকেটে, তাঁর কেনা। দেখেন বিএনপির কমিটি কিনে নিয়ে এসে পাগলের লাফালাফি।‘ শুক্রবার তিনি হযরত আলীর আরো একটা ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আল্লাহ আমারে উঠায় নেও, মিথ্যা আর সহ্য হয়না; সে আওয়ামীলীগের আমলেই ভূয়া লোন করে ব্যাংক লুট করছে, সাধারণ জনগণের টাকা খাইছে, দূর্নীতির দায়ে জেল খেটে কয় রাজনীতির জেল! ৫ তারিখের পর থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে সে নিজেই, তার লোকজন পাঠিয়ে টাকা চাচ্ছে, নিজেও চাচ্ছে (প্রমাণ কিন্তু হাতে সময়মতো ছাড়বো) আর বলে চাঁদাবাজি বন্ধ করেন। কে বন্ধ করবে? আর উন্নয়ন করবে! শেরপুরবাসী খোঁজ নিয়ে দেখেন সকল অফিসে চাঁদা চাওয়া শেষ, সিভিল সার্জন অফিস, সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, হাসপাতাল, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, বিএডিসি অফিস সহ সব জায়গায়। অনেক কাজ বন্ধ এখন শেরপুরে, অফিস, কাজ বাস্তবায়নকারী ফার্ম সবাই আতঙ্কিত। উনি করবে উন্নয়ন? নিজের উন্নয়নে ব্যাস্ত। উনি রাঘব বোয়াল, ফজলে নূর তাপসের মাল তো। আর কতো বলবো, ব্যাংকের গভর্নর, সাবেক শেরপুরের ডিসি, এসপি সকলের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়া নেওয়া শেষ, যারা দেন নাই তারা মামলার আসামি। শেরপুরের সাবেক এসপি মোনালিসার কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছিল, কাল তার নামে মামলা করিয়েছে সে। মামলা সকল আওয়ামী দোসরদের দে, টাকা দিলে মামলা না, না দিলে মামলা, এ কেমন নীতি? আর পদ বাণিজ্য তো আছেই। আর সকলের উদ্দেশ্যে বলি মিথ্যার ধ্বংস অনিবার্য। আমি মিথ্যা বললে আমিও ধ্বংস।’ তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে হযরত আলীর বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ শেয়ার লিখেছেন, ‘সর্বত্র হযরত আলী তারেক রহমানের নাম বিক্রি করেন। কমিটি বাণিজ্যের টাকা, চাঁদার টাকাও নাকি সেখানে দেন এইগুলো ক্লোজ ডোরের কথা। তিনি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদ ও কিছু ব্যবসায়িদের মিটিং এ বলেছেন আমাকে টাকা দিলে এই টাকা ফখরুল সাহেব ও তারেক রহমানের কাছে যায়। চাঁদা দিতে হলে আমাকে দিবেন অন্য কাউকে না। কাকে পদ দিতে হবে, কাকে বাদ দিতে হবে তাও তাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে দেন। এই হচ্ছে অবস্থা! ভাইয়ার (তারেক রহমান) কাছ থেকে উনি ব্যাপক ক্ষমতা আনছেন, কারো সুপারিশ মানবেন না, যাকে খুশি তাকে কমিটিতে রাখবেন। টাকার গরম। ভাই খোঁজ নিয়ে দেখেন ৫ তারিখের আগে উনার টাকার উৎস ছিলো ব্যাংক লোন, অবৈধ হাসিনার ব্যাংক কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে জনগণের টাকা ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। আর এ থেকে পরিত্রাণের পথ বেছে নিয়েছেন রাজনীতি। আর ৫ তারিখের পর চাঁদাবাজি। ভাই প্রমাণ আছে কিন্তু… রেকর্ডেট এন্ড ডকুমেন্টড। সত্য আসন্ন।‘ ২৭ নভেম্বর, বুধবার তিনি এক প্রজ্ঞাপন শেয়ার করে লিখেছেন, ‘…হযরত আলী সাহেবের একান্ত অনুগত বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট সিরাজ সাহেব নিজাম উদ্দিন কলেজ এর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার একদিন পরেই প্রিন্সিপালকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন শেরপুর ছাত্রদলের সভাপতি আনন্দ। নিজাম উদ্দিন কলেজের প্রিন্সিপাল আবু সাঈদকে ২৭/১১/২০২৪ বুধবার দুপুরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে খোয়ারপার নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। উনি জীবনের ভয়ে স্বাক্ষর দিয়ে চলে আসেন। উনার অপরাধ এক আওয়ামীলীগের আত্মীয়। অবাক কান্ড হচ্ছে উনাকে পদত্যাগ করিয়ে যাকে প্রিন্সিপাল বানানোর জন্য হযরতীয় দানবরা একাট্টা উনি শেরপুর শহর আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মোক্তার হোসেন। কি বুঝলেন? দারুন না ব্যপারটা…।‘
শেরপুর জেলা বিএনপির তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বলেছেন, হযরত আলী সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশিত সব খবর সত্য। আমরা তথ্য প্রমাণসহ বিএনপি মহাসচিবকে লিখে জানিয়েছি। তারপরও বিএনপি হাইকমান্ড হযরত আলীকে স্বপদে বহাল রেখেছেন। এতে করে বিএনপি হাইকমান্ড হযরত আলীর এসব অপকর্মের সাথে জড়িত বলে অনেকে বিশ্বাস করছেন। এতে করে জেলায় বিএনপি‘র ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর সত্য মনে না করেন, তাহলে তিনি বিএনপির কোন কোন নেতাকর্মী এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, অন্যায়-জুলুম করছেন তার তথ্য সংগ্রহ করতে জেলায় একটা বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাতে পারেন। হযরত আলীর কারণে এলাকায় আমরা মুখ দেখাতে পারছি না। ভালো মানুষ বিএনপিতে আসছে না। এই কমিটিতে বিতর্কিত, উড়ে এসে জুড়ে বসা পাখিদের রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্ঠনকারী এক দুর্বৃত্তের হাতে জেলা বিএনপিকে তুলে দেয়া হয়েছে। টাকা ও অন্যান্য সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে এরা হত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাদের মামলা দেখভাল করছে। আওয়ামী লীগের মামলা পরিচালনা করছে জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির নেতারা। কমিটি বাতিল ছাড়া এই জেলায় তাদের নেতৃত্ব বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী মানবে না। কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছে, তাঁদের কেউ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন ও অত্যাচারের সময় মাঠে ছিলো না। এই কমিটি আমরা মানবো না। সুরমা‘য় হযরত আলীর ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পকেট কমিটি গঠন করার গোপন খবর প্রকাশের পর গত ২৫ নভেম্বর বিএনপি হাইকমান্ড জেলা কমিটি সন্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামী ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলকে ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘কাউন্সিলের মাধ্যমে যতদিন একটি পরিচ্ছন্ন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা না হবে, ততদিন হযরত আলীর নেতৃত্বে আমরা দলের কোন কর্মসূচিতে অংশ নিবো না। দল থেকে আমাদের বহিস্কার করলেও না।‘
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জেলা বিএনপি’র শুভাকাঙ্খীরা বলেছেন, হযরত আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি জেলায় যা করছেন, তা খুবই নিন্দনীয়। তারা যা করছেন ঠিক করছেন না। তাদের উচিত দলের গঠনতন্ত্র মেনে দল করা। দলকে সহযোগিতা করা। তারা নিজেদেরকে জেলার মালিক মনে করছেন অথচ ভোটে দাঁড়ালে তারা কেউ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারও হতে পারবে না। তারা আগামীতে দেশ গঠনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মতামত, অভিযোগ, সমস্যা, সংকট কিছুই শুনছে না। দেশ গঠনে বিএনপির ৩১ দফা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করছে না। কারণ তারা নিজেরাই এসব জানে না। এই কমিটির কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করুন। শেরপুর জেলার কৃতি সন্তানদের জেলা কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করুন। বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল, বিএনপি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল, বিএনপি জনমানুষের ভালোবাসার দল। এই দলকে আবার গণমানুষের ভালোবাসার দলে পরিণত করুন। বিএনপির ইমেজ ধ্বংসকারী হযরত আলীকে দল থেকে বহিস্কার করুন। জেলায় অসংখ্য জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভালো মানুষ আছেন, জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শে বিশ্বাসী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আছেন। তাদেরকে দলের সাথে সম্পৃক্ত করুন। দোহাই লাগে হযরত আলীর মত মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজ, গন্ডমুর্খ বাজে লোকদের দল থেকে বহিস্কার করুন।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে শেরপুর জেলাবাসী দুই দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থেকে আহবায়ক মনোনিত হওয়ায় হযরত আলী আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে গেছেন। হযরত আলীর সাথে দলের যে সমস্ত নেতারা চাঁদাবাজি করছেন, মাদক ব্যবসা করছেন এবং কর্মীদের সন্ত্রাসী কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন, এদের দল থেকে বহিষ্কার করুন। জেলায় বিএনপি আতঙ্ক আপনি দয়া করে বন্ধ করুন। আপনি অবিলম্বে দলীয় চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে জেলাবাসীকে রক্ষা করুন। ব্যাংক লুটেরা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হযরত আলীকে দল থেকে বহিস্কার করুন। আহবায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করুন। এরা এখনই যা করছে, যেরকম দাপট দেখাচ্ছে; বিএনপি ক্ষমতায় এলে এদের দাপটে জেলায় আমাদের সাধারণ মানুষের টিকে থাকা দায় হবে। শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে যাবে। এই অভিযোগের পরেও হযরত আলীর মত লোকেরা যদি দলে থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট দেওয়ার আগে আমাদেরকে ১০০ বার ভাবতে হবে।
এসব বিষয়ে জনাব হযরত আলীর সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।