শ্রাবনী গুপ্ত: জলে ভাসছে বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। একদিকে বন্যা, আর অন্যদিকে গঙ্গার ভাঙন। সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ এই মুহূর্তে কার্যত দুর্যোগে চরম বিপদে। এই বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে দুয়ারে হাজির হচ্ছে ‘টিম কানহাইয়া’। বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৪ টি বিধানসভা এলাকায় কাজ করছেন প্রায় ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক। সরকারি সাহায্য যেখানে পৌঁছচ্ছে না, সেখানে নৌকো, এমনকি হাতে বানানো ভেলায় করে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন ওঁরা।
২০১৯ লোকসভা ভোটে এই বেগুসরাই থেকে ভোটে লড়েছিলেন যুব নেতা কানহাইয়া কুমার। কিন্তু দাপুটে বিজেপি প্রার্থী গিরিরাজ সিং এর কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান তিনি। কিন্তু এই বর্ষায় ভাসছে বেগুসরাইয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বাছওয়াড়া, তেঘরা, মতিহানি ও সাহেবপুর এই ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে কাজ করছে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী কানহাইয়া কুমারের দল। উল্লেখ্য, এর মধ্যে তেঘরাতে কানহাইয়ার বাড়ি।
বেগুসরাই থেকে ফোনে কানহাইয়া বললেন, ‘গত ৭ দিন ধরে কাজ করছি আমরা। স্থানীয় মানুষের কাছে শুকনো খাবার, ওষুধ, জামা কাপড় পৌঁছে দিচ্ছি। ঠিক ক্রাউড ফান্ডিং না হলেও চারপাশের মানুষের থেকে সাহায্য নিচ্ছি। যে যা পারছেন, দিচ্ছেন। রাজ্য সরকার রান্নাঘর করেছে। কিন্তু জলে ডুবে যাওয়া অনেক এলাকাতেই তা পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের ছেলেরা ডিঙি, নৌকো নিয়ে সেসব এলাকায় ত্রাণ দিচ্ছেন।’ তবে কেন্দ্রের বা রাজ্যের বিজেপির থেকে কোনও বাঁধা পাননি বলেই জানালেন এই নেতা।
২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে ভোটে দাঁড়াননি কানহাইয়া কুমার। তবে এনডিএ বিরোধী ‘মহা জোট’ মঞ্চের থেকে তেজস্বী যাদব, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে প্রচার চালিয়েছিলেন। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভা নীতিশ কুমার নিজের দখলেই রেখেছেন। বিহারে আগামী বিধানসভা ভোটের আগেই ২০২৪ লোকসভা ভোট হবে দেশে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, জনসংযোগ এবং নিজের ইমেজ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন এই সিপিআই নেতা। প্রথমবার ভোটে দাঁড়ানোর পর প্রচারপর্বে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে ঠিক মত ‘যোগাযোগ’ তৈরি না হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাই কি এবার হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে মাঠে নেমেছেন কানহাইয়া কুমার? সময়ই সব বলে দিবে।