ভোটচুরির বিরুদ্ধে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে টানা চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির জনগণ।
ডয়চে ভেলে অনলাইন জানায়, তবে রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ফের নির্বাচনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো।
বোধ হয় তিনি বেশি দিন ধরে প্রেসিডেন্ট পদে আছেন এমনটা বলেন লুকাশেঙ্কো। তবে তিনি এটাও জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি ছাড়া বেলারুশকে কেউ এখন রক্ষা করতে পারবে না।
লুকাশেঙ্কো এর আগেও একবার নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি সেদিকে আর এগোননি বরং নিরাপত্তা বাহিনীকে দিয়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেন।
এবার তিনি বলেন, ‘আমি আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে চাই। তারপর আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা যেতে পারে।’
এদিকে বিক্ষোভ চলাকালীন বিরোধী নেত্রী কোলেসনিকোভাকে অপহরণ করে মুখোশধারীরা। তারা রাজধানী মিনস্ক থেকে তাকে সোজা নিয়ে যায় ইউক্রেনের সীমান্তে। জোর করে তাকে বেলারুশ থেকে ইউক্রেনে পাঠানোর চেষ্টা হয়।
কিন্তু এই নেত্রী সেখানে নিজের পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে দেন। ফলে তাকে আর জোর করে ইউক্রেন পাঠানো যায়নি। তবে সঙ্গে থাকা দুই অনুগামীকে অবশ্য তার আগে ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে কোলেসনিকোভাকে আটক করা হয়েছে।
তবে লুকাশেঙ্কো আবার নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। রাশিয়ার একটি রেডিও স্টেশনকে তিনি বলেন, ‘এই বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব কে দিচ্ছেন, সেটাই তো আমি জানি না।’
রাশিয়ার একচ্ছত্র সমর্থনে বিক্ষোভ দমনে সচেষ্ট হয়েছেন লুকাশেঙ্কো। সাংবাদিকদের কাছে তার দাবি, বিক্ষোভের ফলে তার শাসনের অবসান হলে এরপর রাশিয়াও রেহাই পাবে না। তাকে সরে যেতে হলে রাশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর প্রধান প্রতিপক্ষ সভেতলানা তিখানোভস্কায়া একটি ভিডিও বার্তায় আন্তর্জাতিক মহলের কাছে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বেলারুশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তিনি বলেন, ‘আমার দেশ, আমার দেশের লোক এখন আপনাদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে চায়।’