ঢাকা, ৬ আগস্ট- কুড়ি দিন ব্যাপক সহিংসতায় চার শতাধিক মৃত্যু এবং প্রবল গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৫ অগাস্ট) পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেনা প্রধান জেনেরাল ওয়াকার উজ-জামান একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন এবং প্রতিটি মৃত্যু তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন। ছাত্রদের বিক্ষোভ শুরু হয় সরকারী চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে, কিন্তু সরকার সহিংসতা দিয়ে ছাত্রদের দমন করার চেষ্টা করলে সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনে যোগ দেয়। কোটা আন্দোলন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রুপ নেয়।
যেসব ঘটনাবলী শেখ হাসিনাকে পতনের দিকে নিয়ে যায়, সেগুলো দেখে নেয়া যাকঃ
জুলাই ২: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ চাকরি বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জন্য সংরক্ষিত ছিল। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, এটা বৈষম্যমূল এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের জন্য ক্ষতিকর।
সরকার ২০১৮ সালে কোটা বিলুপ্ত করেছিল। কিন্তু কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারি আদেশ বাতিল করে তাকে পুনরায় বহাল করে। হাইকোর্টের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করলেও ছাত্রছাত্রীরা আপিলের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে রাজী হয় নি। তারা কোটা বাতিলের জন্য নির্বাহী আদেশ চেয়েছিল এবং তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা রাস্তায় নামে।
জুলাই ১০-১২: বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি। রাজধানী ও মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় রাস্তা, মহাসড়ক ও রেলপথে যান চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
জুলাই ১৪: সরকারি চাকরির ৩০ শতাংশ নিয়োগের ক্ষেত্রে (মুক্তিযোদ্ধাদের) সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে ছাত্রদের বিরোধিতা নিয়ে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য চাওয়া হলে জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “ মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে, নাকি রাজাকারদের নাতি-নাতনিরা পাবে? প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং শেখ হাসিনার ওই মন্তব্যকে তারা তাদের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে মনে করে। গভীর রাতে তারা মিছিল করে স্লোগান দিতে থাকে, “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার! কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার।
এবং “চাইতে গেলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার।”
জুলাই ১৫: সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা নিজেদেরকে রাজাকার বলায় ছাত্রদের সমালোচনা করেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ মাধ্যমে বলেন, যারা নিজেদের রাজাকার বলে পরিচয় দেয় আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ তাদের মোক্ষম জবাব দিবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রদের ওপরে হামলা চালায়। সংঘর্ষে আহত হয় তিন শতাধিক মানুষ।
জুলাই ১৬: ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলীয় রংপুরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়। ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কক্ষ তছনছ-ভাঙচুর করে।
জুলাই ১৭: ছাত্ররা নিহতদের জন্য “গায়েবি জানাজা” পড়ার চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশ ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ঐ সমাবেশে হামলা চালায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেয় এবং ছাত্রদের আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়।
জুলাই ১৭: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি ১৬ তারিখের সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। কোটা ইস্যুতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের (যা ৭ আগস্ট দেওয়ার কথা ছিল) জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি ছাত্রদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আদালতের রায় তাদেরকে হতাশ করবে না।
জুলাই ১৮: সম্পূর্ণ শাটডাউন বা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা এবং ১৯টি জেলায় ব্যাপক সহিংসতা ঘটে। পুলিশ ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা গুলি চালালে কমপক্ষে ২৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় – ঐসময় তাজা বুলেট, শটগান ছররা এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়। হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে অন্যান্য বিভিন্ন গোষ্ঠী যোগ দিয়ে শাটডাউন কার্যকর করে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যাওয়ার প্রধান মহাসড়কের টোল প্লাজার মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস ভবনেও হামলা চালানো হয়, কার ও বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শহরের অন্যতম প্রধান অবকাঠামো মেট্রোরেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।
জুলাই ১৯: দেশে আরও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকার একটি মেট্রোরেল স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় এবং গণপরিবহন কর্তৃপক্ষের ভবন ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৬৬ জন নিহত হন। নরসিংদীর একটি কারাগার ‘দখল’ করে প্রায় ৯০০ বন্দিকে ছেড়ে দেয়া হয়, প্রায় ৮০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজারের বেশি রাউন্ড গোলাবারুদ লুট করা হয়। সরকার রাত্রিকালীন কারফিউ ঘোষণা করে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাহারা দিতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য।
জুলাই ২০: কারফিউজারীর প্রথম দিনে কমপক্ষে ২১ জন প্রাণ হারায়। কারফিউ-এর মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়। কোটা আন্দোলনের নেতাকর্মী ও বিএনপি নেতাদের আটক করে সরকার দুই দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।
জুলাই ২১: সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে সরকারী চাকরিতে কোটা কমিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষিত এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ২ শতাংশ করার নির্দেশ দেয়। কারফিউ বহাল থাকে এবং আরও ৭জন নিহত হয়। তিন বাহিনীর প্রধান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জুলাই ২৩ : সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সংগতি রেখে সরকারি চাকরিতে নতুন কোটা বরাদ্দ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের আয়োজকরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তারা বলছে অতিসামান্য, দেরি হয়েছে অনেক, অনেক মানুষ নিহত হয়েছে(ডেইলি স্টারের মতে মৃতের সংখ্যা ১৪৬ জন)। বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেফতার অব্যাহত থাকে। কিছু এলাকায় পুনরায় ইন্টারনেট সেবা চালু হয়।
জুলাই ২৫: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাতিসংঘ ও অ্যামনেস্টি উদ্বেগ প্রকাশ করে দমন-পীড়ন বন্ধের আহ্বান জানায়। সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর এইদিন শেখ হাসিনার প্রথম জনসম্মুখে আসেন এবং পুড়িয়ে দেওয়া মেট্রোরেল স্টেশনে পরিদর্শন করেন।
জুলাই ২৬: গোয়েন্দা পুলিশ ছাত্র আন্দোলনের তিনজন সংগঠককে তুলে নিয়ে যায়। সরকার উৎখাতের ডাক দেয় বিএনপি। শেখ হাসিনা সহিংসতায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান।
জুলাই ২৭: ঢাকায় অবস্থিত ১৪টি পশ্চিমা দেশের কূটনৈতিক মিশন একটি যৌথ চিঠিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ক্ষমতা অপব্যাবহার করার জন্য জবাবদিহি করার আহ্বান জানায়। গোয়েন্দা শাখার কর্মীরা আন্দোলনের আরও দু’জন সংগঠককে তুলে নিয়ে যায়। ছাত্রদের গ্রেফতার করার পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকে। সংঘর্ষে আহতদের দেখতে যাওয়া অব্যহত রাখেন শেখ হাসিনা।
জুলাই ২৮: মোবাইল ইন্টারনেট পুনরায় চালু করা হলেও সোশাল মিডিয়ার নানা প্লেটফর্মগুলোর জন্য বিধিনিষেধ বহাল থাকে। ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সংগঠক গোয়েন্দা শাখার হেফাজতে থাকা অবস্থায় আন্দোলন শেষ করার জন্য বিবৃতি পাঠ করেন। তবে অন্যান্যরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জুলাই ২৯: দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। হাইকোর্ট আন্দোলনের ছয়জন সংগঠকের সঙ্গে গোয়েন্দা শাখা যে ব্যবহার করেছে তার জন্য তিরস্কার করেছিল।
জুলাই ৩০: পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শিক্ষক ও অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে ছাত্রদের সাথে যোগ দেন। বিশিষ্ট নাগরিকরা মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করছেন।
জুলাই ৩১: সরকার নিহতদের জন্য “শোক দিবস” পালন করে কিন্তু ছাত্ররা তা প্রত্যাখ্যান করে। ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকরা সোশাল মিডিয়ায় তাদের ছবির পরিবর্তে লাল রং করে দেখিয়েছে যে তারা সরকারকে প্রত্যাখ্যান কর। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা স্থগিত করে।
আগস্ট ১: সরকার জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সংগঠককে পুলিশ মুক্তি দেয়। জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর প্রস্তাব করে।
আগস্ট ২: হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।
আগস্ট ৩: ঢাকায় এক সমাবেশে ছাত্র সংগঠকরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে এবং “সবার কাছে গ্রহণযোগ্য” এমন এক ব্যক্তির নেতৃত্বে “জাতীয় সরকার” গঠনের দাবি জানায়। শেখ হাসিনা আলোচনার প্রস্তাব দেন এবং তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে। পরদিন ছাত্ররা ও আওয়ামী লীগ মিছিল এবং প্রতিবাদ বিক্ষোভের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে।
আগস্ট ৪: ঢাকা এবং দেশের অন্তত ২১ জেলায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সহিংসতায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ পুলিশ রয়েছেন যারা সিরাজগঞ্জে গণপিটুনিতে নিহত হয়। সরকার দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে। সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্ররা ঢাকা অভিমুখে মিছিল করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ জনগণকে কারফিউ ভঙ্গ না করা বা আইন অমান্য না করার আহ্বান জানায়।
আগস্ট ৫: ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ কারফিউ উপেক্ষা করে বিভিন্ন দিক থেকে শহর ঢুকতে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে সেনাবাহিনী জনস্রোতকে থামানোর বা বাধা দেওয়া চেষ্টা করলেও পরে তারা একপাশে সরে যায় এবং তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়। বিকেল নাগাদ তা কয়েক লক্ষে পৌঁছায়। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এবং তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে পালিয়ে আগরতলায় যান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান ঘোষণা করেন যে, রাষ্ট্রপতির সাথে পরামর্শক্রমে আলাপ আলোচনার পরেই একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সেনাপ্রধান ২০ দিনের সহিংস বিক্ষোভে যে চার শতাধিক নিহত হয়েছেন তার ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন এবং উল্লসিত জনতাকে শান্ত হয়ে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।