করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারতে ২৬ জানুয়ারি উদযাপিত হলো ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস। এ উপলক্ষে দিল্লিতে প্রতি বছরের মতো সেনাবাহিনীর তরফে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।
দিল্লির সেই কুচকাওয়াজে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে এবার অংশ নিলো বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল। কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের ১২২ সদস্যবিশিষ্ট সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল অংশ নেয়। লে. কর্নেল আবু শাহনূর শাওন বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে এ যৌথ কুজকাওয়াজ আরো এগিয়ে নেবে।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হলেও ভারতের নিজস্ব কোনো সংবিধান ছিল না। সেই সংবিধান রচিত হয় এবং ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর তা গৃহীত হয়। সে সময় সংবিধান রচয়িতারা ঠিক করেন, ভারতের প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠা কোনো বিশেষ একটি দিনে উদযাপন করা উচিত। সে কারণেই বেছে নেওয়া হয় ২৬ জানুয়ারি দিনটি। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়।
এ বছর করোনা আবহে কম করা হয়েছিল কুচকাওয়াজের সময়। মাত্র ৩০ মিনিট মূল কুচকাওয়াজের সময় নির্দিষ্ট করা হয়। এক সঙ্গে কমানো হয় অতিথির সংখ্যাও। শিশু এবং বয়স্কদের এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। কোনো বিদেশি অতিথিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এই কুচকাওয়াজে ভারতীয় সেনারা বিভিন্ন বাহিনীর কুচকাওয়াজের সঙ্গে এদিন বিভিন্ন রাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে দিল্লির রাজপথে ট্যাবলো প্রদর্শন করে।
কলকাতার রেড রোডে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ভারতের রাষ্ট্রীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।





