করোনা মহামারীর জন্য স্বাভাবিক জীবনযাপন কার্যত বিপর্যস্ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও জারি আংশিক বা সম্পূর্ণ লকডাউন। সংক্রমণের আতঙ্কে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ইসামের পবিত্র ধর্মস্থান মক্কা ও মদিনা। তাই এবছর হজ হবে কিনা, তা নিয়ে চলছিল জোর জল্পনা। প্রত্যেক বছর বহু মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুন্যার্জন করতে হজে যান। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম।
অনেক দেশেই আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল চালু হয়নি এখনও। তাই হজযাত্রীদের যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলই। এবার সৌদি আরবের তরফে জানানো হল যে হজ হবে, তবে নিয়ম মেনে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ লোক নিয়ে।
জুলাই মাসের শেষের দিকে হজ হয়। সোমবার সৌদি প্রেস এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, খুবই কম সংখ্যক তীর্থযাত্রীকে নিয়ে হজ হবে এবার। যারা আগে থেকেই সৌদিতে রয়েছেন, তাঁরাই কেবল অংশ নিতে পারবেন সেই হজে। হজ মন্ত্রকের তর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভ্যাক্সিনের অভাবে এবং সোশ্যাল ডিসট্যান্সের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে বহু মানুষ এলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না বলেই এমন সিদ্ধান্ত।
প্রত্যেক বছর অন্তত ২০ লক্ষ মানুষ মক্কার হজে অংশ নেয়। ইসলামে এটি একটি পবিত্র ধর্মস্থান। এখানে মুসলিম ধর্মের মানুষ জীবনে অন্তত ১ বার যেতে চান পুন্যার্জনের জন্য।
একদিকে মহামারী ও অন্যদিকে লকডাউনের জেরে তেলের দামে পতন। ইতিমধ্যেই আশঙ্কায় রয়েছে সৌদি অর্থনীতি। এর মধ্যে হজ এভাবে বাধা পাওয়ায় সৌদি অর্থনীততে বড় প্রভাব পড়তে চলেছে।
২০১৫-তে হজে পায়ের চাপে ২৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এর পরেও হজে ভিড় কমেনি। গত বছরে ২৫ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয় হজে।