অনেক বার তাঁর খোঁজে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়েছিল যৌথ বাহিনী। কিন্তু হদিশ পায়নি। প্রতিবারই পালিয়ে গিয়েছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-র (Maoist)পলিটব্যুরোর সদস্য তথা ইস্টার্ন রেজিমেন্টের সম্পাদক প্রশান্ত বসু অড়ফে কিসানদা। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী তথা মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতিম সদস্য শীলা মারান্ডিকেও। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ছিলেন গোয়েন্দাদের নজরে। তাঁর মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল এক কোটি টাকা। ৭৫ বছর বয়সী এই নেতাকে এদিন গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। যাদবপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত বসু। তবে দীর্ঘদিন ধরেই বাড়ির সঙ্গে যোগ নেই। অস্ত্রের ডগায় সমাজ বদলের নেশায় বুঁদ হয়ে ঘর ছেড়েছিলেন অনেকদিন আগেই। প্রথমে এমসিসিআই করতেন প্রশান্ত। ২০০৪ সালে এমসিসিআই-এর সঙ্গে মিশে যায় লিবারেশন জনযুদ্ধ গোষ্ঠী। তেলেঙ্গানার জঙ্গলে সেই পার্টি কংগ্রেসের খসড়া প্রস্তাব ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল দিল্লির। সিপিআই (মাওবাদী)-র জন্মলগ্ন থেকেই কিসানদা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। মাওবাদীদের তাত্বিক নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা-এই তিন রাজ্যকে নিয়ে মাওবাদীদের পূর্বাঞ্চলীর কমিটির মিলিটারি রেজিমেন্টের দায়িত্বও সামলেছিলেন এই নেতা।
বোস একাধিক রোগে ভুগছেন বলে জানা গেছে এবং ঝাড়খণ্ডের সারন্দা বন থেকে কাজ করছিলেন। তিনি নির্ভয়, কিষাণ, কাজল এবং মহেশ নামেও পরিচিত। শীর্ষ এই বিদ্রোহী নেতা পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর এলাকার বাসিন্দা এবং তার ৬০ বছর বয়সী স্ত্রী শীলা মারান্ডি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার বাসিন্দা। এর আগে ২০০৬ সালে তাকে ওড়িশায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং রৌরকেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আবার দলে যোগ দেন। তিনি সিপিআই মাওবাদীর মহিলা শাখার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। তিনি হেমা, শ্বপদী, আশা, বুধনি এবং গুড্ডি নামেও পরিচিত। সূত্র: দ্য ওয়াল ব্যুরো