রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার এবং সম্ভাব্য সব মাধ্যমে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল সোমবার এক ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, নিষ্ক্রিয় থেকে বা সমস্যা থেকে দূরে থেকে সমাধানের প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। এটা ভুল চিন্তা।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (এসআইপিজি) ‘সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস)’ এই ওয়েবিনার আয়োজন করে।
ওয়েবিনারের বিষয় ছিল ‘মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা : সামরিক অভ্যুত্থানের পর এক বছর। ’
ওয়েবিনারে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ বলেন, মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার—এনইউজি রোহিঙ্গাদের তাদের সঙ্গে যোগ দিতে বলেছে। প্রথমবারের মতো তারা বলেছে যে ‘রোহিঙ্গারা’ নৃশংসতার শিকার। তারা ন্যায়বিচারেরও অঙ্গীকার করছে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বলেন, মিয়ানমারের প্রতি আসিয়ানের সমর্থনে ধস নামছে। বাংলাদেশসহ অন্যরা কিছু উদ্যোগ নিলে এটি আরো দ্রুত হবে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাবেক পররাষ্ট্রসচিব এবং এনএসইউ এসআইপিজির প্রফেসারিয়াল ফেলো এম শহীদুল হক বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি এখন বিপজ্জনক, আরো অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি আছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনায় আরাকান আর্মি, আরাকান জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করতে হবে।
ওয়েবিনারে মূলবক্তা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাফাত আহমেদ (অব.) মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মালয়েশিয়ার সুলতান জয়নাল আবেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবুল হক।