করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের ১১ দফা নির্দেশনাকে প্রহসনমূলক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
গতকাল শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন চালু রেখেছে। এসব নির্বাচনে ব্যাপক গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ চলছে। অথচ এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার রাজনীতি বন্ধের পাঁয়তারা করছে। এটা বিরোধী মত দমন করার আরেকটি কৌশল মাত্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় ১১ দফা নির্দেশনা কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ দমন করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা অমূলক, অগণতান্ত্রিক ও সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের প্রকাশ। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, গণপরিবহনে অর্ধেক আসনে যাত্রী নেওয়ার কথা প্রথমে বলা হলেও বাস মালিক সমিতির চাপে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সারা দেশে মুজিব বর্ষের কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকে উদাসীন ছিল। সরকারের উদাসীনতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার মূল্য জনগণ জীবন দিয়ে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান পালনের জন্য সরকার বারবার সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। করোনা টিকা প্রদানেও সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। এখনো দেশের বেশির ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারেনি সরকার। এই টিকা নিয়েও নানান রকম নয়-ছয়, গোপনীয়তা, দুর্নীতি, অর্থ লোপাট ও অব্যবস্থাপনা চলছে।
করোনার মধ্যেও সরকারের দমন-পীড়ন, নির্যাতন ও হয়রানি বেড়েছে বলে দাবি করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ দেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার চাপ প্রয়োগের পর সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনী গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়ে বা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর করানোসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।
জনগণ জেগে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং এই ধারা অব্যাহত আছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বহির্বিশ্বেও বর্তমান সরকার স্বৈরাচার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অবৈধ ভোট ডাকাত ফ্যাসিবাদী সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই কেবল সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ এবং আন্দোলন দমিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে সরকার বিধিনিষেধ জারি করেছে।





